Advertisement

বাগেরহাটে মাকছুদ এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটে জামায়েত নেতা ও ইমাম শহীদ ক্বারী মাকছুদুর রহমানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ক্বারী মাকসুদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বাখরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় স্থানীয় নওশের শেখ, শহীদ কারী মাকছুদের ছেলে নাজমুল শেখ, ব্যবসায়ী আলফাজ শেখ, আবুল কালাম, লুৎফর রহমান ঠান্ডা, সাইদুল ইসলাম, শিমুল তরফদার, ফরিদ ফকির, শেখ রবিউল ইসলাম, জনি শেখ, মোবাশ্বের শেখ, মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, আনারুল ইসলাম সহ সহস্রাধিক এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে ২০১৩ সালে জামায়েত নেতা কারী মাকছুদুর রহমানকে মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালাকে বাকরগঞ্জ বাজারে তার হা ,পা ও রগ কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন বাহিনী ও তার সহযোগী আফজাল, সুজন, সাথী লিটু, নজু, সোহেল ও তার সহযোগীরা।

এ সময় হত্যার সাথে যারা যারা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

গাজীপুরে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো যুগলের লাশ পরিকল্পিত খুন বলে দাবি স্বজনদের

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন দক্ষিণ ছয়দানার হাজির পুকুর এলাকার বিল্লাল মিয়ার ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে গাছা থানা পুলিশ।

নিহতরা হলেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার সিমলা গ্রামের বাবুল শেখের ছেলে মোহাম্মদ বিল্লাল শেখ (২৫) ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার বীরপুরন্দ গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে শ্যামলী আক্তার (২৭)।

জানা যায়, গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা এলাকায় মা বাবা ভাই বোন সাথে নিয়ে মোহাম্মদ বিল্লাল শেখ আক্তার মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আশা ছিল ইলেকট্রনিক্স এর কাজ শিখে বিদেশে যাবে। সেই মতেই চলছিল সবকিছু। হঠাৎ যেন কালো অন্ধকার নেমে এলো তাদের পরিবারে। রহস্যজনকভাবে লাশ মিলল পাশের বাসার বিল্লাল শেখের। এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিল্লাল শেখের বাবা এবং তার পরিবারের লোকজন। স্বজনের শোকে পরিবারের অনেক সদস্য বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।

বিল্লাল শেখের মা বলেন, মৃত্যুর পরে আমার ছেলেটাকে আমি একটু চোখের দেখাও দেখতে পারি নাই! পুলিশের কাছে দেখতে চাইলে তারা বলেন, আগে কেন দেখে রাখেন নি? এখন দেখার দরকার নেই। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। আমি মামলাটা পর্যন্ত দিতে পারলাম না। আমি এর বিচার এই সরকারের কাছে চাই।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার পাশের বাসার একটি কক্ষে বিল্লাল শেখ ২৫ এবং শ্যামলী আক্তার ২৭ কে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। শ্যামলী আক্তার বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে প্রীতি সোয়েটার লিমিটেড নামের একটি পোষাক তৈরি কারখানায় কাজ করতেন। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া জুয়েল মিয়া ও অন্য রুমের লোক রান্না করতে উঠলে হঠাৎ পাশের রুম থেকে চিৎকারের শব্দ আসে। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে সজোরে দুইজন মিলে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে বিল্লাল মিয়া ও শ্যামলীকে প্রায় অর্ধ উলঙ্গ দেখে তারা বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে দেন যাতে পালিয়ে যেতে না পারে। পরবর্তীতে তারা দরজা খুলে তাদের মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পান বলে জানিয়েছেন পাশের লোকজন।

পরে তারা বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে তারা ছুটি আসেন বাড়ি মালিক বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কেউ এই বাড়ি থাকি না। শুনেছি বিল্লাল শেখ নাকি মারা যাওয়ার আগের রাতে ছাদে বসেছিল। ঘটনাস্থল থেকে ছেলের কোন কাপড় পাওয়া যায়নি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যান।

উপ-পরিদর্শক মো. সুমন খান জানান, বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো অবস্থায় যুগলের লাশ উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মোহাম্মাদ রাশেদ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে যায় এবং দুটি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।

সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের শোক প্রকাশ

বিশেষ প্রতিনিধি, গাজীপুর : সিনিয়র সাংবাদিক ও বিএফইউজে’র সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আমজাদ খান এবং সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সোনালী ভোর এর সম্পাদক এস এম ইকবাল হোসেন।

উল্লেখ্য, রুহুল আমিন গাজী রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তারা বলেন, রুহুল আমিন গাজী ছিলেন সংবাদপত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ছিলেন।

সারাজীবন তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদকর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে পতিত স্বৈরাচার সরকারের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সরব ছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে স্বৈরাচার সরকারের রোষানলে পড়ে তিনি দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ জীবন যাপন করেন। দীর্ঘ কারাবাসে থাকাবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ও মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

ফকিরহাটে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সৈয়দ ওবায়দুল হোসেন, বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় আনিকা সুলতানা নিশি (২০) নামে নার্সিং পড়ুয়া এক কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং এর শেষ বর্ষের ছাত্রী নিশি ফকিরহাট উপজেলার জয়পুর গ্রামের শেখ আরিফুল ইসলামের মেয়ে।

ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম শেখ নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার ভোররাতে পরিবারের লোকজন নিশিকে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা শেখ আরিফুল ইসলাম জানান, এক বছর আগে আনিকা সুলতানা নিশির সাথে খুলনা পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে গাজী তানজিম শাহেদ সামিও ওরফে জোনায়েদের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হতে থাকে। এরই জের ধরে স্বামীর ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

এদিকে ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার তাদের বিবাহবার্ষিকী ছিলো বলেও জানান তিনি।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে।

রাঙামাটির সীমান্ত সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৬

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি :  রাঙামাটির রাজস্থলীর সীমান্ত সড়কে চাঁদের গাড়ী (জীপগাড়ী) খাদে পড়ে ২জন নিহত হয়েছে। এ সময় আরও ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় থুম পাড়া জুরাছড়ি উপজেলার পানকাটা ছড়া যাওয়ার পথে একটি চাঁদের গাড়ী  নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চিনিমং মারমা (২০) রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বালুমুড়া গ্রামের বাসিন্দা পুচিংমং মারমার ছেলে। মনু চাকমা নামক আরেক ব্যক্তি নিহত হয় ।

এই ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্যে কালাকেতু (৫০) বর্ম চাকমা(২০) বস্তা চাকমা (৪৫) দলাইয়ে চাকমা (৪০) কেচিনো মারমা (৩৮) সুরেশ চাকমা (২৫) তারা সকলে জুরাছড়ি এলাকার  একই গ্রামের  বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বিলাইছড়ি-রাজস্থলীর সীমান্ত সড়কের কাজ শেষ করে চাঁদের  গাড়িটি  বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া বাজার হতে বাজার করে গন্তব্যের  উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পানকাটা ছড়া নামক  এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাঁদে পড়ে যায়।

গাড়িটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই গাড়িতে থাকা চালকের মৃত্যু হয়। অন্য সাতজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজস্থলী সদর হাসপাতালে আনার পথে আরেক জনের মৃত্যু হয়।

আহতের মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর হওয়াতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছে বলে মেডিকেল অফিসার সৌমেন্দ্র নাথ জানান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজস্থলী সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক সৌমেন্দ্র নাথ জানান, মঙ্গলবার রাত ৭ টায় হাসপাতালে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা থেকে আটজন রোগী আনা হলে ২জনকে মৃত পাওয়া যায়।

অপর ৬জনের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

কাপ্তাই হ্রদে গোসল করতে নেমে ২ বন্ধুর সলিল সমাধি; আহত-১

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : কাপ্তাই হ্রদে গোসল করতে নেমে পানির নীচে তলিয়ে দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত দু’জন হলো অর্ণব চৌধুরী (১৫) ও এডিশন সাহা (১৬)।
এই ঘটনায় গুরুত্বর আহত শিবম দাশ গুপ্ত নামের আরো একজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার্ড করেছে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহত তিনজনই বন্ধু বলে জানা গেছে। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শওকত আকবর খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে তিন কিশোর বন্ধু রাঙামাটি শহরের তবলছড়িস্থ ভূট্টোর স’মিলের সামনের সিঁড়ি ঘাটে কাপ্তাই হ্রদে গোসল করতে নেমে পানির নীচে তলিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয়রা বিষয়টি দেখেই তিনজনকে খুঁজতে পানিতে নেমে পড়ে। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই তিনজনকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্ণব চৌধুরী ও এডিশন সাহাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় মুমুর্ষ অবস্থায় শিবম দাশ গুপ্তকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার্ড করে।
জানা গেছে, মারা যাওয়া অর্ণব চৌধুরী রাঙামাটি শহরের তবলছড়িস্থ ৪নং ওয়ার্ডের মাস্টার কলোনীর মৃত বাবুল চৌধুরীর সন্তান। আর এডিশন সাহা আর্ট কাউন্সিল কলোনীর অমিত সাহার সন্তান। এছাড়াও আহত শিবম দাশ গুপ্ত ৩নং ওয়ার্ডের জেল রোড এলাকার নয়ন দাশের সন্তান।
শুক্রবার বন্ধের দিনে মর্মান্তিক এই ঘটনায় পুরো শহরেই শোকের ছায়া নেমে আসে।