Advertisement

বিআরটিসি পাবলিক স্কুল, গাজীপুর এর নবনির্মিত ভবন এর শুভ উদ্বোধন

এস এম ইকবাল হোসেন, সম্পাদক  : অদ্য ২৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মহানগরের বিআরটিসি কার্যালয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন পাবলিক স্কুল এর নবনির্মিত ভবন ও প্রধান ফটক এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসি (গ্রেড-১) এর চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমি বিআরটিসির সর্বক্ষেত্রে দূর্নীতিকে শতভাগ নির্মূল করতে না পারলেও শূন্যের কাছাকাছি পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার দাবি পূরণে আমি আগেও সোচ্চার ছিলাম, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআরটিসি (আইসিডব্লিউএস ও ট্রেনিং) এর জিএম ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন পাবলিক স্কুল, গাজীপুর এর সভাপতি প্রকৌশলী ফাতেমা বেগম।

সার্বিক তত্ত্বাবধানে থেকে উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন অত্র স্কুল এর প্রধান শিক্ষক এস. এম ফয়জুল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও এবি পার্টি গাজীপুর জেলা ও মহানগর এর সদস্য সচিব সাংবাদিক এম. আমজাদ খান।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গাজীপুর এর ম্যানেজার (ট্রেনিং) প্রকৌশলী মুহাম্মদ মশিউজ্জামান ও ম্যানেজার (ডিপো) রাকিবুল ইসলাম শুভ।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে গাজীপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আসাদুজ্জামান আকাশ : বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরে শিক্ষাভবন, ঢাকায় সেসিপ প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ও সরকারি মাধ্যমিক বিভাগের বিভিন্ন শুন্য পদে দ্রুত পদোন্নতি/পদায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শহরের রাজবাড়ী রোডে রাণী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে বক্তারা শিক্ষাভবনে শিক্ষকের উপর হামলাকারীর শাস্তি দাবি করেন যাতে অনুরূপ ঘটনার পুণরাবৃত্তি না ঘটে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরেরর অধীনে সরকারী মাধ্যমিক শাখার বিভিন্ন দপ্তরের শুন্যপদে দ্রুত পদোন্নতি /পদায়নের দাবি জানানো হয়।

উক্ত মানববন্ধনে রানী বিলাশমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইয়েদ আমিনুল এহসান এর সভাপতিত্বে ও মোখলেছুর রহমান চৌধুরী টুটুল এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ, আসাদুজ্জামান, আব্দুল মতিন মিয়া, নাছরিন আঞ্জুমান রুনী, রায়হান উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, মো. রুবেল মিয়া প্রমুখ।

মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি দিলরুবা খান

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ) ড. শাহনওয়াজ দিলরুবা খান মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন।

গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। ড. শাহনওয়াজ দিলরুবা খান ১৭তম বিসিএস- এ প্রশাসন ক্যাডারে প্রবেশ করেন।

চাকরিজীবনে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকসহ মাঠ প্রশাসনে তিনি দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, মহিলা বিষক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক, ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি সরকারের একজন সৎ নিঃলোভ ও মানবিক কর্মকর্তা। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার এই কৃতি সন্তান এলাকায়ও সাধ্যমত মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। এলাকার নারী সমাজের উন্নয়নে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ফিরোজা আরিফ মহিলা উন্নয়ন সংস্থা ও ফিরোজা আরিফ টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।

শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল

সুফি আলম মন্ডল, নিজস্ব প্রতিবেদক, টাংগাইল : আজ রবিবার বেলা দশটায় কলেজে বর্তমানে অধ্যায়নরত সকল শিক্ষার্থী উক্ত কলেজের প্রিন্সিপাল বখতিয়ার হোসেনের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদত্যাগের দাবিতে একাডেমিক ভবনের সামনে একত্রিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা সুশৃংখল ভাবে প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে প্রবেশ করে এবং পদত্যাগের কারণসমূহ স্যারের সামনে তুলে ধরে। শিক্ষার্থীদের কারণসমূহ শুনে প্রিন্সিপাল স্যার পদত্যাগের জন্য রাজি হন এবং পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন। শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করা পদত্যাগের কারণসমূহ তুলে ধরা হলো :

১) বৈষম্য বিরোধী যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো প্রকার সাহায্য করা হয়নি এমনকি বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও নিম্নর কোনো প্রকান্তা না করে আমাদের জোরপূর্বক বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আমাদের হল ত্যাগে বাধ্য করেছে।

২) উনি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে ক্যাম্পাসের জন্য বাজেট হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রকার দৃশ্যমান উন্নয়ন করেনি। যেমন : হল, ৬ দফা, একাডেমিক ভবন, সাবস্টেশন, সোলার, জেনারেটর ইত্যাদি।

৩) প্রতি বছর ২ টি মিল ভিজিট আবশ্যিক থাকা সত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাচের মিল ভিজিট করাতে ব্যার্থ হয়েছেন এবং মিল ভিজিটের টাকা কুক্ষিগত করে রেখেছে।

৪) উনার দায়িত্ব নেওয়ার পূর্ববর্তী বছরে বুটেক্সের সকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমুহের মধ্যে আমাদের কলেজ ১ম হয়েছিলো। অথচ উনার দায়িত্বকালীন সময়ে সেশনজট, ফলাফল বিপর্যয় এবং নিয়মিত ইয়ারলসের মত ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে দাড়িয়েছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যথগাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ হয়েছে।

৫) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বাবদ যে টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ও সরকারি ভাবে নেয়া হয় তার যথাযথ ব্যাবহার করা হয়না এবং এর হিসেব জানতে চাইলে পরোক্ষভাবে ইয়ারলসের হুমকি দেয়া হয়।

৬) প্রিন্সিপালের অনিয়ম ও স্বৈরাচারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষার্থী মুখ খুললেই তার নেতৃত্বাধীন গোপন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেই শিক্ষার্থীকে একাডেমিক ও মানষিকভাবে হয়রানি করা হয় এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে রিটেক/ইয়ারলসের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষকদের কম নাম্বার প্রদানে বাধ্য করা হয়।

৭) ক্যাম্পাস ও ছাত্রীহলের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এমনকি পূর্বে ছাত্রী হলে চুরির ঘটনা ঘটা সত্বেও এর সুষ্ঠু সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

৮) ক্যাম্পাসের ল্যাবগুলো প্রায় অচল হওয়া সত্বেও এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

৯) যেকোনো প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উনার সাথে সাক্ষাত করতে চাইলে অনুমতি প্রদান করে না। এ সময় প্রিন্সিপাল স্যারের বিদায় কালে কলেজের প্রত্যেক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্যারকে ফুল দিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।