Advertisement

স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের দাবিতে নবীগঞ্জে উপজেলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন

তুহিনুর রহমান তালুকদার, স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবীতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে অবস্থান কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

উক্ত বিক্ষোভ মিছিল এ স্লোগান দেন ৫ তারিখ খবর এলো শেখ হাসিনা পালিয়ে গোলো, জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই করো, খালেদা জিয়ার ভয় নাই রাজপথ চারি নাই, তারেক রহমান বীর এর বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে, ছি ছি হাসিনা লজ্জা বাঁচিনা, আমার ভাই এর রক্ত বিধা দিতে দিবোনা ইত্যাদি।

বৃহস্পতিবার বেলা ২/৩০ মিনিটের সময় নবীগঞ্জ শহরে বিএনপির আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আহবায়ক নবীগঞ্জ সরকারী কলেজ ছাত্রদল এবং সদস্য হবিগঞ্জ জেলা যুবদল অলিউর রহমান অলি, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল এর সিনিয়র সদস্য জামিল আহমেদ, জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দল ২ নং পুর্ব বড় ভাইকৈর ইউপির যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ৬নং কুর্শি ইউপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাদিম আহমেদ, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদল এর সদস্য সচিব সৈয়দ শিহাব আহমেদ, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদল অন্যতম সদস্য মো. তায়েম চৌধুরী, নবীগঞ্জ ছাত্রদলের বিপ্লবী আহবায়ক হোসাইন তালুকদার, নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক সোহাগ চৌধুরী, নবীগঞ্জ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. ফেরদৌস আহমেদ অনিক, মিনাল, আলমগীর, জাহিনুর আলম, মো. আবির আহমেদ, মো. দোলন মিয়া, মো. রেজাউল আহমেদ প্রমুখসহ নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ।

কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মিছিল এ বক্তব্য রাখেন অলিউর রহমান অলি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় সারা বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগসহ অনেকেই হাহাকার করে রাস্তা ঘাটে কাঁদছে বলে জানান তিনি। উক্ত গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল দোয়া ও মোনাজাত এর মাধ্যমে সমাপ্তি হয়।

টঙ্গীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

কালিমুল্লাহ ইকবাল, টঙ্গী, গাজীপুর : সারা দেশে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনায় আজ ১৫ আগস্ট বিকেলে টঙ্গীর স্টেশন রোড হতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক দখল করে বিশাল এক মিছিল নিয়ে চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ডে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির নেতারা।

এসময় বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং খুনি হাসিনাসহ তার খুনি দোসরদের বিচারের দাবি করতে হবে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন।

এ সময় গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণত সম্পাদক এম মন্জুরুল করিম রনির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদার, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি জাবেদ আহমেদ সুমন সরকার, টঙ্গী পশ্চিম থানার বিএনপি সভাপতি প্রভাষক বশির আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর, গাজী সালাউদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম সফিক, গাজীপুর মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান রাজু, সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

এবি পার্টি গাজীপুরের নেতৃবৃন্দের গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপারের সাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময়

গোলাম রসুল দিনার, গাজীপুর সদর মেট্রো থানা প্রতিনিধি : গতকাল ১৪ আগষ্ট বুধবার বিকেলে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এবি পার্টির গাজীপুর জেলা ও মহানগরের একটি প্রতিনিধি দল গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমের সাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও এবি পার্টির রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা নিয়ে মতবিনিময় করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির গাজীপুর জেলা ও মহানগরের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এস এম ইকবাল হোসেন, এবি পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গাজীপুর জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব এম. আমজাদ খান, এবি যুব পার্টি গাজীপুর জেলা ও মহানগরের আহবায়ক মাসুদ জমাদ্দার রাণা ও সদস্য সচিব এড. সুলতানা রাজিয়া, যুগ্ম আহবায়ক মঈনুল ইসলাম, যুবনেতা গোলাম রসুল দিনার, এবি পার্টি গাজীপুর সদর মেট্রো থানার সদস্য সচিব মাও. সফিকুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আলমগীর ওয়েছী, এবি যুব পার্টির গাছা থানার আহবায়ক সোহেল রানা প্রমুখ।

এসময় খুবই আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে আইনশৃংখলা পরিস্থতির উপর বিস্তারিত আলোচনা হয় ও এবি পার্টির সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখার বিভিন্ন দিক ও বিভাগ নিয়ে মতবিনিময় করা হয়।

এসময় পুলিশ সুপার কাজী সফিকুল আলম বলেন, আপনাদের সেবা করাই আমাদের কাজ, আপনাদের জন্য আমাদের দুয়ার সবসময় খোলা। যেকোনো সমস্যা নিয়ে আমার কাছে এলে যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমস্যা সমাধানের।

সনাতনীদের ছদ্মবেশে যুব-ছাত্রলীগের সমাবেশের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিএনপির বিক্ষোভ

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ছদ্মবেশে যুবলীগ-ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সন্ত্রাসীরা তথাকথিত সংখ্যালগু নির্যাতনের কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাঁনোর অপচেষ্ঠার বিরুদ্ধে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্ত্বরে এসে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।

শহরের দোয়েল চত্বর এলাকায় অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, শান্ত রাঙামাটিকে অশান্ত করার লক্ষ্যে রাঙামাটির যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কতিপয় সন্ত্রাসীরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ছদ্মবেশে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনদের যুবলীগ-ছাত্রলীগের প্রতারণা থেকে দূরে রাখার আহবান জানিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও থাকবে।

সমাবেশে সাম্প্রতিক সময়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ঠা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াৎ হোসেনের সমালোচনা করে বলেন, একটি সন্ত্রাসী খুনি দলের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য তাকে ছাত্র-জনতা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে বসায়নি। যে আওয়ামীলীগ ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাজারো ছাত্র-জনতাকে খুন করে রক্তের হোলি খেলায় মেতেছিল, সেই সন্ত্রাসী দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করে তাদেরকে তিনি দল গোছানোর পরামর্শ দিয়ে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করেছেন।

রাঙামাটি জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান। ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউছুফ চৌধুরীর সঞ্চালনায় উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল, পৌর বিএনপি’র সভাপতি শফিউল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বাসেত অপু, সদর বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শামীম মোস্তফা, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, জেলা জাসাসের সভাপতি কামাল হোসেন, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক জসীম উদ্দীন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বির, সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর সুমন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন সাকু, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মমতাজ মিয়া, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বাবলু সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়তোষ দেওয়ান, জেলা তাঁতি দলে সাংগঠনিক সম্পাদক রতন মহাজনসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষকদল ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

দেশব্যাপী হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এর প্রতিবাদে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা

মো. নবী হোসেন, নারায়ণগঞ্জ : আজ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশ, কাশীপুর ইউনিয়নের উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তথা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও দেশব্যাপী হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়।

জুম্মার নামাজের পরে কাশীপুর খিলমার্কেট মেইন সড়কে এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাউছিয়া খলিলিয়া সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার সাধারণ সম্পাদক, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশ, কাশীপুর ইউনিয়ন এর সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আফজাল হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কাশীপুর ইউনিয়ন আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক, কাশীপুর দক্ষিক গোয়ালবন্দ জামে মসজিদের ইমান ও খতিব, দেশবরেণ্য স্পষ্টবাদী বক্তা ক্বারী ওবায়দুল্লাহ আশরাফী। আরো বক্তব্য রাখেন সুন্নিয়াতের খাদেম আলহাজ্ব ফয়সাল মাহমুদ। হযরত মাওলানা ক্বারী ওবায়দুল্লাহ আশরাফী হুশিয়ার কন্ঠে বলেন, কেউ যদি দাঙ্গা সংঘটিত করতে চান সাবধান, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, কোন মাজারে আঘাত আনলে আমরা চুপ থাকব না কারন, মাজার তৈরি করা আল্লাহর সুন্নত, কাজেই সাবধান, সাবধান, কোথাও লুট করা, ডাকাতি করা চলবে না,আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ করব। কাশীপুরের সকল মুসলিম এই বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা ও মিছিলে যোগদান করেন।

লুটপাট ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান নতুনধারার

বিশেষ প্রতিনিধি : লুটপাট ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতৃবৃন্দ।

গতকাল ৭ আগস্ট প্রেরিত বিবৃতিতে নতুনধারার চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষকবন্ধু আব্দুল মান্নান আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেন পলাশ, ডা. নূরজাহান নীরা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা প্রমুখ বলেন, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতেই সীমাহীন লুটতরাজ চালাচ্ছে ছাত্র-যুব-জনতা বিরোধী সন্ত্রাসী চক্র।

সেই সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে সাংবাদিকবৃন্দ। এই লুটতরাজ ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে এখনই প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহবান জানান নতুনধারার চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাজধানী ঢাকার শতাধিক ভবন, মার্কেট, এমন কি এফডিসির মত প্রতিষ্ঠানও দখলের অভিযোগ উঠেছে। অতএব, এখনই পদক্ষেপ নিন।

এই বিজয় ছাত্র-জনতার, এই বিপ্লব বেহাত হতে দেয়া যাবে না : খেলাফত মজলিস

স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়াতে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ছাত্র-জনতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শহরে বিজয় মিছিল করেছে খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখা।
খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন বলেন, গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এদেশের ছাত্র-জনতার গণআকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট-স্বৈর শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটেছে। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমরা এই আন্দোলনসহ বিগত সময়ে যত মানুষ অন্যায়ভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করছি। যত মানুষ আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদেরকে আবারো স্মরণ করছি এবং সুস্থতা কামনা করছি। সাম্প্রতিক আন্দোলন সংগ্রামে সাহসিকতার সাথে রাজপথে অংশগ্রহণ করার জন্য আমরা সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এই বিজয় ছাত্র-জনতার। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিনির্মাণের শপথ নিতে হবে। এই অর্জন কুক্ষিগত হতে দেয়া যাবে না। ছাত্র-জনতাকে তা পাহারা দিতে হবে। আমরা অবিলম্বে আন্দোলনরত ছাত্র ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি। একটি কুচক্রী মহল আন্দোলনে ঢুকে পড়ে সহিংসতা চালিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। ছাত্র-জনতা এসব কিছু রুখে দিবে, এই বিপ্লব বেহাত হতে দিবে না ইনশাআল্লাহ।
৬ আগস্ট মঙ্গলবার বাদ যোহর, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন- খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যাপক শাহ আলম, ডা. শামীম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কবির হোসাইন, হানিফ কবির বাবুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল গনী, ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাফেজ মুহাম্মাদ আওলাদ, বন্দর থানা সভাপতি মুফতী আবুল কাসেম, সোনারগাঁও থানা সভাপতি মুফতী সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী যুব মজলিসের মহানগর সভাপতি প্রভাষক মাইদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ, জেলা সভাপতি তৌফিক বিন হারিছ প্রমুখ।

টঙ্গীতে জামায়াতের উদ্যোগে বিজয় ও শোকরানা মিছিল অনুষ্ঠিত

শেষ মুহূর্তে দিল্লির সহযোগিতাও পেলেন না শেখ হাসিনা

এস এম ইকবাল হোসেন, সম্পাদক : ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে নেয়া হয়। 

এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারা হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেন।

সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর গণভবন দখলে নেয় ছাত্র-জনতা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও দখল করে নেয় তারা।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যান। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে সুযোগ তাকে দেয়া হয় নি।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, শেষ সময়ে শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে বিমান পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি।

ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারত কোনো বিমান পাঠাতে পারে না। কারণ, তাতে আইন লঙ্ঘিত হতে পারে। ভারত থেকে জানানো হয়, শেখ হাসিনাকে আগে ভারতে পৌঁছতে হবে। তারপর সেখান থেকে তাকে দিল্লিতে নেয়খ যেতে পারে।

হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে তার নিকটবর্তী অবতরণ স্থান ছিল আগরতলা বিমানবন্দর। সেখানেই নেমেছেন শেখ হাসিনা। আগরতলা থেকে তাকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আত্রাইয়ে শেখ হাসিনার পদত্যাগে জনসাধারণের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

এমরান মাহমুদ প্রত্যয়, নওগাঁ : শেখ হাসিনার পদত্যাগে নওগাঁর আত্রাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিজয় মিছিল, মিষ্টি বিতরণ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সংবাদে খুশিতে বিজয় মিছিল করছে ও মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ মানুষ।

সোমবার বিকেল ৩টার দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বের হয় হাজারো জনতা। এরপর উপজেলার জিরো পয়েন্ট ও উপজেলা চত্বরে জড়ো হয় কয়েক হাজার মানুষ। বিজয় মিছিল থেকে শেখ হাসিনার পালানো নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মুখর করে তোলে পরিবেশ।

আনন্দ উল্লাসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে সর্বস্তরের জনগণ। বিজয় মিছিল থেকে শহরে আওয়ামী লীগের সকল ব্যানার ফেস্টুন অফিস ভাঙচুর করা হয়। পুরো শহর জুড়ে মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে সরকারবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা।