Advertisement

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে বক্তব্য স্পষ্ট করলেন রাষ্ট্রপতি

শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিসয়টিকে মীমাংসিত উল্লেখ করে এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করা এবং সরকারকে অস্থিতিশীল বা বিব্রত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃস্টি করেছে। এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পস্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের গত ৮ আগস্ট, ২০২৪ এর আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।

‘উল্লেখ্য, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৮ আগস্ট, ২০২৪ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এই মতামত দিয়েছিলেন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃস্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’

বাগেরহাটে মাকছুদ এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটে জামায়েত নেতা ও ইমাম শহীদ ক্বারী মাকছুদুর রহমানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ক্বারী মাকসুদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বাখরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় স্থানীয় নওশের শেখ, শহীদ কারী মাকছুদের ছেলে নাজমুল শেখ, ব্যবসায়ী আলফাজ শেখ, আবুল কালাম, লুৎফর রহমান ঠান্ডা, সাইদুল ইসলাম, শিমুল তরফদার, ফরিদ ফকির, শেখ রবিউল ইসলাম, জনি শেখ, মোবাশ্বের শেখ, মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, আনারুল ইসলাম সহ সহস্রাধিক এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে ২০১৩ সালে জামায়েত নেতা কারী মাকছুদুর রহমানকে মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালাকে বাকরগঞ্জ বাজারে তার হা ,পা ও রগ কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন বাহিনী ও তার সহযোগী আফজাল, সুজন, সাথী লিটু, নজু, সোহেল ও তার সহযোগীরা।

এ সময় হত্যার সাথে যারা যারা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

গাছায় জুট ব্যবসার আদিপত্য নিয়ন্ত্রনে যুবদলের সভাপতি প্রার্থীর

আলাদিনের চেরাগ ক্ষ্যাত জুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রন, দখলবাজি সংক্রান্ত সংবাদ মাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রচারিত হলে রুপরেখা পরিবর্তন করেছে জুট নিয়ন্ত্রণকারীরা। রাজনীতি থেকে পারিবারিক কিংবা সামাজিক বা বংশীয় প্রভাব কাটিয়ে আবার আ’লীগ বিএনপির সমন্বয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জুট বাণিজ্য। রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পেশি শক্তির কারণে থামছেইনা এ ব্যবসার সংশয়।

তাদের মধ্যে গাছা থানা এলাকার জুট ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ও মদদদাতা সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও গাজীপুরের গাছা থানা যুবলীগ সভাপতি পদপ্রার্থী ও আওয়ামী সরকারের আমলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান জুয়েল মণ্ডল। সরকার পতনের পর গাছা এলাকার জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে মূখ্য অবস্থানে দাড় করিয়েছেন জুয়েল মন্ডলের শ্যালক ডিস ব্যবসায়ী ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের গাছা থানা সভাপতি পদ প্রত্যাশী রাব্বি চৌধুরী। এ যেন ভগ্নিপতি রামরাজত্ব থেকে আড়ালে গিয়ে শ্যালক হাল ধরার চেষ্টায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ই আগস্ট এর পূর্বে নগরীর ৩৭ নং ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ঝুট নিতেন রাব্বি চৌধুরীর ভগ্নিপতি সাবেক কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান জুয়েল মণ্ডল। আ’লীগ সরকার পতনের পর সাবেক কাউন্সিলর এর ছত্রছায়ায় রাব্বি চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় দলবল নিয়ে “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস এর জুটের নিয়ন্ত্রন নিতে কারখানার সামনে অবস্থান নেন।

এ বিষয়ে রাব্বি চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফ্যাক্টরির জমি আমাদের, গার্মেন্টস আমাদের সাথে চুক্তিপত্র ও গেটপাস করে জুট দিয়েছে। যেহেতু ফ্যাক্টরীর জমি ও জুট দখলের জন্য কিছু লোক হুমকি দিয়েছে এ বিষয়ে গতকাল থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমরা আমাদের ব্যবসা স্থলে গিয়েছি নিরাপত্তার স্বার্থে। সংবাদকর্মীগণ মালিকানা সংক্রান্ত ও চুক্তিপত্র দেখতে চাইলে রাব্বি চৌধুরী কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় ইন্টারফ্যার গামেন্টর্স এর জুট নিয়ে দুই পক্ষের সাংঘর্ষিক অবস্থানের সংবাদ প্রচারিত হলে নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় বিএনপি।

এ বিষয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস সম্পর্কে রাব্বি চৌধুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় উভয় পক্ষ আসলে তাদেরকে শান্তি শৃঙ্কলা বিঘ্ন হয় এমন কার্যক্রমে থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছি। যদি শান্তি শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে তাহলে আইন শৃঙ্খলা ও জনগনের স্বার্থে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব। উভয়ের সম্মতিতে বিএনপির গাছা থানার সাবেক সভাপতি, রাব্বি চৌধুরীর মামা ও জুয়েল মন্ডলের আপন বড় ভাই আসাদ কে ঘটনা যাচাই বাচাই করে স্থানীয় ভাবে সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা আসাদ জানান, স্থানীয় ছাত্র লীগের নেতা কামরুল ও তার দলবল নিয়ে গার্মেন্টস জুট দখল করতে আসলে রাব্বি চৌধুরীর ও পরিবারের লোকজন সাথে নিয়ে গার্মেন্টসের সামনে অবস্থান নেন। আমি উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের বিষয়ে জানানো হবে।

বাগেরহাটের বিএনপি-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হামলা, ছাত্রশিবিরের ১৫ জন আহত

বাগেরহাটের রামপালে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডাকা মিছিলে যোগ না দেওয়ায় ছাত্রশিবিরের ইউনিয়ন সভাপতিসহ ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রদলের পরিচয়ে চলা সন্ত্রাসীরা। বুধবার দুপুরে ছাত্রদল ও বিএনপির লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপের একটি অংশ গৌরম্ভা কলেজের এক শিক্ষকের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এ সময়ে ছাত্র শিবির ও জামায়াতের লোকদের ওই মিছিলে যোগ দিতে বলে। কিন্তু ওই মিছিলে কেউ যোগ না দেওযায় ছাত্রদল ও বিএনপির পরিচয়ে চলা ওই গ্রুপটি লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিবিরের ছেলেদের উপর হামলা করে। এতে শিবিরের গৌরম্ভা ইউনিয়ন সভাপতি নকিব তালুকদারসহ ৭/৮ জন আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিমাংসার বৈঠকে বসলে বিকালে পুন:রায় বিএনপি নেতা লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজন হামলা চালায় এতে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আবু মুসা আকুঞ্জী, শিবির নেতা মুরসালিম,বাপ্পী গাজীসহ ৫/৬ জন আহত হয়। আহতদের গুরুতর অবস্থায় প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা আবু মুসা আকুঞ্জী জানান, বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী মুজিবর জোয়ার্দ্দার, যুবদল নেতা বাহাদুর ইসলাম কুট্টি, আমিরুল ইসলাম কুট্টি ও রুবেল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে ছাত্রদল, বিএনপি ও যুবদলের পরিচয়ে চলা সন্ত্রাসীরা ছাত্রশিবিরের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময়ে ১৫ জন শিবির ও জামায়াতের নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময়ে ওই সন্ত্রাসীরা স্থানীয় জামায়াত অফিস ভাংচুর করেছে বলে আবু মুসা জানান।

এ ব্যাপারে গৌরম্ভা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী ও থানা আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজিবর জোয়ার্দ্দার জানান, তিনি জেলা বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলামের একনিষ্ঠ সমর্থক। এদিনের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ছাত্রদলের মিছিল চলাকালে শিবির নেতৃবৃন্দ তাতে বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তবে তেমন কেউ আহত হয়েছে কি না তার জানা নেই।
অপরদিকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আকরাম হোসেন তালিম তিনি ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তার তীব্র নিন্দা জানান। ঘটনার বিস্তারিত জেনে সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ্ করেন।

গাজীপুরে শিল্প কারখানায় দুষ্কৃতকারীদের বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে বিএনপির শান্তিপূর্ণ শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

এম. আমজাদ খান : গতকাল ২৮ অক্টোবর বিকেলে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠে গার্মেন্টস-ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুষ্কৃতকারীদের বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়মিত পরিশোধের দাবীতে গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শেখ হাসিনা পালাইলেও তার দোসররা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত! তাদেরকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। না হলে আবারও তারা ফ্যাসিবাদের আগ্রাসন চালাবে। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি করবো শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করার ব্যাবস্থা করতে হবে। তাহলেই দীর্ঘ আন্দোলনের সু-ফল আমরা পাব। বহু রক্তের বিনিময়ে আজকে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি।

নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস অনেক বড় মাপের মানুষ। আমরা চাই তিনি দ্রুত রাষ্ট্রের সংস্থার করে একটি সুন্দর নির্বাচন ব্যবস্থা করবেন। এটাই আমাদের পরিস্কার বক্তব্য। আমার ভোট আমি দেব এর মাধ্যমেই দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। এর জন্য আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে হবে। শ্রমিক সমাবেশে বিএনপি শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন এড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, গাজীপুর জেলার সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন, গাজীপুর মহানগর বিএনপি সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকার, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসাইন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহ রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এম. মনজুরুল করিম রনির প্রতিনিধি, গাজীপুর জেলা শ্রমিক দল সভাপতি মো. মিনার উদ্দীন, গাজীপুর মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ সরকার।

শ্রমিক সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বিএনপির সহ-শ্রমবিষক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দীন সরকার, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, বিএনপির নেতা রাকিব উদ্দীন সরকার পাপ্পু প্রমুখ।

রাঙামাটিতে জামায়াত-শিবির কর্মীদের মিডিয়া বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো জামায়াত-শিবিরের বাছাইকৃত কর্মীদের গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙামাটি জেলা শাখা। সাংগঠনিকভাবে দলীয় কর্মীদের নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ে আগ্রহী ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জামায়াত নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে রাঙামাটির বনরূপায় জামায়াতের কার্যালয়ের হলরুমে মিডিয়াকর্মী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম। এতে অন্যান্যের মধ্যে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সেক্রেটারি মনসুরুল হক, প্রচার সেক্রেটারি এড. হারুনুর রশিদসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আনোয়ার আল হক, প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য ও এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোলায়মান, দৈনিক মানবজমিন, এশিয়ান টিভির রাঙামাটি প্রতিনিধি ও সিএইচটি টাইমস টোয়েন্টি ফোর ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক আলমগীর মানিক।

কর্মশালায় রাঙামাটির সরকারী কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট, পৌর এলাকা, সদর উপজেলাসহ কাপ্তাই, লংগদু, নানিয়ারচর, রাজস্থলী, চন্দ্রঘোনাসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামায়াত ও শিবিরের বাছাইকৃত ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এই কর্মশালার মাধ্যমে তাদের নেতাকর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে যাতে ভবিষ্যতে এই প্রশিক্ষণার্থীরা সংগঠনের প্রচার সেলকে আরো শক্তিশালী করতে পারে এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম মিডিয়ায় তুলে ধরতে পারে।

এছাড়াও প্রত্যেকের এলাকার সফলতার গল্প এবং দূর্ভোগের চিত্র দেশ তথা সারাবিশ্বে তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবেন। জামায়াত-শিবিরের এই মিডিয়া প্রশিক্ষণার্থীরাই আগামীতে নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবে বলেও মন্তব্য করেছেন রাঙামাটির জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

কাপাসিয়ায় সাংবাদিক নেতা মিজানুর রহমানের এবি পার্টিতে যোগদান

বিশেষ প্রতিনিধি, কাপাসিয়া, গাজীপুর : গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) তে যোগদান করেন। তিনি এবি পার্টির কার্যক্রম দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই পার্টিতে যোগদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সদস্য সচিব ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য এবং এবি পার্টি গাজীপুর জেলা ও মহানগর এর সদস্য সচিব এম. আমজাদ খান, গাজীপুর জেলা ও মহানগর এর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ইকবাল হোসেন, এবি পার্টি গাজীপুর মহানগর এর বাসন থানার সদস্য সচিব সাংবাদিক মো. মমিন মিয়া ও কাপাসিয়া উপজেলার সমন্বয়ক আলী আকবর মাস্টার।

এসময় সদ্য যোগদানকৃত নেতা মিজানুর রহমান বলেন, আমি এবি পার্টিতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে সচেষ্ট থাকব এবং কাপাসিয়া উপজেলার একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে এবি পার্টির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

কাপাসিয়ায় ব্রিগে. জেনা. (অব.) আ.স.ম হান্নান শাহ’র ৮ম মৃতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

এম. আমজাদ খান : গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ১১/১ এর প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ.স.ম হান্নান শাহ’র ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণসভায় গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্রিগে. জেনারেল আসম হান্নান শাহ আজীবন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন, শেখ হাছিনা সরকার ধরেনিয়েছিল আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। এজন্য তারা দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছে। আজকে পত্রিকা খুললে শুধু তাদের দুর্নীতির চিত্র। হাছিনা বললো, সে পালায়না। আজ কে হেলিকপ্টার দিয়ে পালিয়েছে? হান্নান শাহ বিএনপি’র সকল দুর্দিনে বেগম খালেদা জিয়ার পাশে ছিল। আজ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামীলীগের কুচক্রী মহলরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বেপারে শতর্ক থাকতে হবে। আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের কাজ হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। আমি পরিস্কার করে বলতে চাই, সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করা হউক। তিনি আরো বলেন, সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যাবস্থা করলেই দেশের মঙ্গল, দেশের মানুষের মঙ্গল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা এম এ কাইয়ুম, বিএনপির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, হুমায়ুন কবির খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কালিয়াকৈর পৌরসভা মেয়র মো. মজিবুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর ফারুক সাফিন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা নায়েবে আমীর মাও. সেফাউল হক, গাজীপুর মহানগর বিএনপি সভাপতি শওকত হোসেন সরকার ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন রাকিব উদ্দীন সরকার পাপ্পু, মমতাজ উদ্দীন রেনুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আ.স.ম হান্নান শাহ ১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর গাজীপুরের কাপাসিয়ার ঘাগটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফকির আব্দুল মান্নান ছিলেন পাকিস্তান সরকারের খাদ্যমন্ত্রী। তার ছোট ভাই শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জেষ্ঠ বিচারপতি। হান্নান শাহ ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন, মুক্তি যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তান কারাগারে বন্দি ছিলেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে বিএনপিতে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ও পাটমন্ত্রী হন। ২০১৬ সালে ৬ সেপ্টেম্বর একটি গায়েবি মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার ডিওএইচএসের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১১ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে রেফেলস হার্ট সেন্টারে ৭৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

রংপুরে ৩২ জন ছাত্র ও যুবকের এবি পার্টিতে যোগদান

বিশেষ প্রতিনিধি, রংপুর : গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে এবি পার্টি রংপুর মহানগর আহ্বায়ক এডভোকেট আব্দুর রউফ এর রংপুর জজ কোটস্থ চেম্বারে রংপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইমুন ইসলামের নেতৃত্বে ৩২ জন ছাত্র ও যুবক দেশ মেরামতের আহবানে সাড়া দিয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টিতে (এবি পার্টি) যোগদান করেন।

এবি পার্টির কোতোয়ালী মেট্রো থানার আহবায়ক আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির রংপুর মহানগর আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ, রংপুর জেলা আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মারজান ও মহানগর এবি পার্টির অন্যতম নেতা জামান।

যোগদান অনুষ্ঠানে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ সদ্য যোগদানকৃত ছাত্র-যুবকবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং আশা পোষণ করেন যে এভাবে ছাত্র যুবকদের হাত ধরে গড়ে উঠবে তারুণ্য দীপ্ত এক নতুন বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি গাজীপুর জেলা ও মহানগর এর এবি যুব পার্টিতে যোগদানকৃত যুবনেতা গোলাম রসুল দিনার এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে উক্ত ৩২ জন যুবক ও ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবি পার্টিতে যোগদান করেন।

ছাত্রসমাজ ও আলেম সমাজকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে : মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘৫ আগস্ট একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন মানুষের চোখে ভেসে উঠেছে। ছাত্রসমাজ ও আলেম সমাজকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সব ইসলামপন্থি দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেউ যাতে ঐক্য বিনষ্ট করতে না পারে, সেদিকে ছাত্র এবং উলামায়ে কেরামকে সচেতন থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বাগেরহাট জেলা খেলাফত মজলিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিনতাইয়ের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী বন্ধুরূপী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বুকের ওপর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী নীতিমালার আলোকে গণঅভিপ্রায় বিরোধী সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।’

মামুনুল হক বলেন, ‘হিন্দুরা যত ইচ্ছা মূর্তি তৈরি করতে পারবে; কিন্তু মুসলমানের কোনও স্থাপনার সামনে মূর্তি থাকতে পারবে না। হিন্দুদের পূজাকে সামনে রেখে নৈরাজ্যবাদীরা যাতে কোনও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলামসহ সব ইসলামি দলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। হিন্দুদের কোন মুর্তিতে কেউ হাত দেয়ার চেষ্টা করলে সেই হাত ভেঙ্গে দেয়া হবে।’

‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল বিভাজনের রাজনীতি। আমরা আর বিভাজন চাই না, আমরা সবাই মিলে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো। সেখানে সব ধর্মের লোক সমান অধিকার ভোগ করবে।’ বলে উল্লেখ করেন মাওলানা মামুনুল হক।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বাগেরহাট জেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা রমিজউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যয়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।