Advertisement

বাগেরহাটে মাকছুদ এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটে জামায়েত নেতা ও ইমাম শহীদ ক্বারী মাকছুদুর রহমানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ক্বারী মাকসুদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বাখরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় স্থানীয় নওশের শেখ, শহীদ কারী মাকছুদের ছেলে নাজমুল শেখ, ব্যবসায়ী আলফাজ শেখ, আবুল কালাম, লুৎফর রহমান ঠান্ডা, সাইদুল ইসলাম, শিমুল তরফদার, ফরিদ ফকির, শেখ রবিউল ইসলাম, জনি শেখ, মোবাশ্বের শেখ, মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, আনারুল ইসলাম সহ সহস্রাধিক এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে ২০১৩ সালে জামায়েত নেতা কারী মাকছুদুর রহমানকে মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালাকে বাকরগঞ্জ বাজারে তার হা ,পা ও রগ কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন বাহিনী ও তার সহযোগী আফজাল, সুজন, সাথী লিটু, নজু, সোহেল ও তার সহযোগীরা।

এ সময় হত্যার সাথে যারা যারা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

গাছায় গলার ও মাথায় আঘাত করে অপহরণের চেষ্ঠা

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুর মহানগরে গাছা থানা এলাকার অবস্থিত সিদ্দিক মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন করে চাপাতি দিয়ে মাথায় আঘাত ও জবাই করার উদ্দেশ্যে দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে গলায় পোচ দেওয়া মুমূর্ষু অবস্থায় সাইদুল নামে এক ব্যক্তিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করেছে গাছা থানার টহল পুলিশ।

পরবর্তীতে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ই অক্টোবর বুধবার।

সরে জমিন অনুসন্ধান করে ঘটনার প্রত্যক্ষ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে এবং এফ আই এর কপি থেকে জানা যায়, গত মঙ্গলবার মোঃ নিশাত খান, নবী হোসেন, মোঃ শাকিল খান ও মোহাম্মদ রাকিব হোসেন সহ তাদের সহযোগী আমার আরো ৬/৭ জন আসামি ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে ১৬/১০/২৪ ইং গাছা থানার একটি মামলা হয়। পরবর্তী তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে তথ্য দাতা হিসেবে সাইদুলকে সন্দেহ করে তার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।

অপহরণ ও আক্রমণকারীরা হলেন, গাজীপুর গাছা এলাকার আন্ত: জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য, ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ে রোডে একাধিক ডাকাতির অভিযুক্ত, সরকার পতনের পর গাছা থানা এলাকার ডাকাতির আতঙ্ক সৃষ্টিকারী, সরকারী বিভিন্ন মালামাল চুরির দায়ে অভিযুক্ত, এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের যোগানদাতা ও মাদক সম্পর্কে প্রতিবাদ করতে গেলে মানুষকে নির্যাতনের করা, গার্মেন্টস নারী কর্মীদের কাছ থেকে বেতনের টাকা জোরপূর্বক ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া, রাস্তাঘাটে অলিতে-গলিতে নারীদের শ্লীলতাহানি , একাধিক মামলার আসামি, দেশীয় অস্ত্র ক্রয় বিক্রয় চক্রের সক্রিয় সদস্য, সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত গাছা এলাকার দক্ষিণ কলমেশ্বর এলাকার মোঃ শাহিন আহাদ, মোঃ আতিকুল, মোঃ জুবায়ের, রিনা আক্তার, খাদিজা আক্তার, মোঃ ফারুক, নিশাত খান, নবী হোসেন, মোহাম্মদ রাকিব হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা আরও সাত থেকে আটজন।

গত ১৬ অক্টোবর বুধবার আনুমানিক ৪টার সময় দক্ষিণ কলমেশ্বর সিদ্দিক মার্কেটের সামনে পথ রোধ করে দলবদ্ধভাবে লোহার রোড, বাসের লাঠি, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি সহ দেশী অস্ত্রশয্যা সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও আঘাত করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় চাপাতি ও গলায় ছুরি দিয়ে গুরুতর যখন করেন।

প্রত্যেক্ষদর্শীরা গাছা থানায় সংবাদ দিলে গাছা থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আসামীগণ দৌড়াইয়া পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় নারী পুলিশ সদস্য কর্তৃক আসামি রিনা আক্তার (৪৫) ও খাদিজা আক্তার (১৯) কে আটক করে। হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বিবাদিদের ফেলে যাওয়া ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, ১টি কোড়াল, ও রামদা এবং ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল সহ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে গাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে থেকে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে চুরিকৃত নগদ টাকা সহ মালামাল এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ব্যপারে গাছা থানায় ০৯-১৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে মামলা হয়। পরবর্তী তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

গাজীপুরে বাইতুল মামুর জামে মসজিদ ও ইসলামীয়া মাদ্রাসা ওয়াকফ এস্টেট এর কমিটি বাতিল

গাজীপুরে গাছা থানার পূর্ব কমলেশ্বর বাইতুল মামুর জামে মসজিদ ও ইসলামীয়া মাদ্রাসা ওয়াকফ্ এস্টেট এর কমিটি বাতিল করা হয়েছে নতুন কমিটি গঠন করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অত্র কমিটির মোতায়াল্লি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ সাগর।

গতকাল মঙ্গলবার ১৫-১০-২০২৪ইং মাগরিবের নামাজের আগমুহূর্তে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় , মোতায়াল্লী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ সাগর বলেন বায়তুল মামুর জামে মসজিদ ও ইসলামীয়া মাদ্রাসা ওয়াকফ এস্টেট এর মসজিদ বন্ধ করে সাধারণ সম্পাদক মাদ্রাসাতুল মাদিনা নামে মাদ্রাসা পরিচালনা করে এবং ইসলামিয়া মাদ্রাসার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের তার মাদ্রাসায় ভর্তি করে। এ কারণে মসজিদ কমিটি বাতিল ঘোষণা করেন মোতায়াল্লি।

পূর্বের কমিটির ১৩ মাস থাকতে মীর ওসমান গনি কাজল (কাউন্সিল) এর নিদেশে সৈয়দ বজলুল রশিদ, আব্দুল রশিদ, কমিটি ভেঙে দেয় এবং বতমান সভাপতি আঃরশিদ ও মাওলানা ছিদিকুর রহমন, আক্তারুজ্জামান মামুন মোতায়াল্লিকে প্রান-নাসের ভয় দেখিয়ে কমিটি বাতিল ঘোষণা করে ২মাসে কমিটি ছাড়া থাকে পরবর্তীতে নতুন কমিটি অনুমোদন করার জন্য হাজী মুছা সই করিয়ে নেয়। কমিটির মেয়াদ ২বছর।

বায়তুল মামুর জামে মসজিদ ও ইসলামীয়া মাদ্রাসা ওয়াকফ্ এস্টেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওঃ সিদ্দিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন আমি কমিটির বাকি যতদিন মেয়াদ আছে আমরা বলবৎ থাকবো।

তার এই বক্তব্যে মুসল্লিদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয় বলেও জানিয়েছেন মসজিদের ভেতরে থাকা নামাজী মুসল্লিরা।

গাছায় জুট ব্যবসার আদিপত্য নিয়ন্ত্রনে যুবদলের সভাপতি প্রার্থীর

আলাদিনের চেরাগ ক্ষ্যাত জুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রন, দখলবাজি সংক্রান্ত সংবাদ মাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রচারিত হলে রুপরেখা পরিবর্তন করেছে জুট নিয়ন্ত্রণকারীরা। রাজনীতি থেকে পারিবারিক কিংবা সামাজিক বা বংশীয় প্রভাব কাটিয়ে আবার আ’লীগ বিএনপির সমন্বয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জুট বাণিজ্য। রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পেশি শক্তির কারণে থামছেইনা এ ব্যবসার সংশয়।

তাদের মধ্যে গাছা থানা এলাকার জুট ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ও মদদদাতা সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও গাজীপুরের গাছা থানা যুবলীগ সভাপতি পদপ্রার্থী ও আওয়ামী সরকারের আমলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান জুয়েল মণ্ডল। সরকার পতনের পর গাছা এলাকার জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে মূখ্য অবস্থানে দাড় করিয়েছেন জুয়েল মন্ডলের শ্যালক ডিস ব্যবসায়ী ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের গাছা থানা সভাপতি পদ প্রত্যাশী রাব্বি চৌধুরী। এ যেন ভগ্নিপতি রামরাজত্ব থেকে আড়ালে গিয়ে শ্যালক হাল ধরার চেষ্টায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ই আগস্ট এর পূর্বে নগরীর ৩৭ নং ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ঝুট নিতেন রাব্বি চৌধুরীর ভগ্নিপতি সাবেক কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান জুয়েল মণ্ডল। আ’লীগ সরকার পতনের পর সাবেক কাউন্সিলর এর ছত্রছায়ায় রাব্বি চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় দলবল নিয়ে “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস এর জুটের নিয়ন্ত্রন নিতে কারখানার সামনে অবস্থান নেন।

এ বিষয়ে রাব্বি চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফ্যাক্টরির জমি আমাদের, গার্মেন্টস আমাদের সাথে চুক্তিপত্র ও গেটপাস করে জুট দিয়েছে। যেহেতু ফ্যাক্টরীর জমি ও জুট দখলের জন্য কিছু লোক হুমকি দিয়েছে এ বিষয়ে গতকাল থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমরা আমাদের ব্যবসা স্থলে গিয়েছি নিরাপত্তার স্বার্থে। সংবাদকর্মীগণ মালিকানা সংক্রান্ত ও চুক্তিপত্র দেখতে চাইলে রাব্বি চৌধুরী কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় ইন্টারফ্যার গামেন্টর্স এর জুট নিয়ে দুই পক্ষের সাংঘর্ষিক অবস্থানের সংবাদ প্রচারিত হলে নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় বিএনপি।

এ বিষয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস সম্পর্কে রাব্বি চৌধুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় উভয় পক্ষ আসলে তাদেরকে শান্তি শৃঙ্কলা বিঘ্ন হয় এমন কার্যক্রমে থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছি। যদি শান্তি শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে তাহলে আইন শৃঙ্খলা ও জনগনের স্বার্থে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব। উভয়ের সম্মতিতে বিএনপির গাছা থানার সাবেক সভাপতি, রাব্বি চৌধুরীর মামা ও জুয়েল মন্ডলের আপন বড় ভাই আসাদ কে ঘটনা যাচাই বাচাই করে স্থানীয় ভাবে সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা আসাদ জানান, স্থানীয় ছাত্র লীগের নেতা কামরুল ও তার দলবল নিয়ে গার্মেন্টস জুট দখল করতে আসলে রাব্বি চৌধুরীর ও পরিবারের লোকজন সাথে নিয়ে গার্মেন্টসের সামনে অবস্থান নেন। আমি উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের বিষয়ে জানানো হবে।

বাগেরহাটের বিএনপি-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হামলা, ছাত্রশিবিরের ১৫ জন আহত

বাগেরহাটের রামপালে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডাকা মিছিলে যোগ না দেওয়ায় ছাত্রশিবিরের ইউনিয়ন সভাপতিসহ ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রদলের পরিচয়ে চলা সন্ত্রাসীরা। বুধবার দুপুরে ছাত্রদল ও বিএনপির লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপের একটি অংশ গৌরম্ভা কলেজের এক শিক্ষকের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এ সময়ে ছাত্র শিবির ও জামায়াতের লোকদের ওই মিছিলে যোগ দিতে বলে। কিন্তু ওই মিছিলে কেউ যোগ না দেওযায় ছাত্রদল ও বিএনপির পরিচয়ে চলা ওই গ্রুপটি লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিবিরের ছেলেদের উপর হামলা করে। এতে শিবিরের গৌরম্ভা ইউনিয়ন সভাপতি নকিব তালুকদারসহ ৭/৮ জন আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিমাংসার বৈঠকে বসলে বিকালে পুন:রায় বিএনপি নেতা লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজন হামলা চালায় এতে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আবু মুসা আকুঞ্জী, শিবির নেতা মুরসালিম,বাপ্পী গাজীসহ ৫/৬ জন আহত হয়। আহতদের গুরুতর অবস্থায় প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা আবু মুসা আকুঞ্জী জানান, বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী মুজিবর জোয়ার্দ্দার, যুবদল নেতা বাহাদুর ইসলাম কুট্টি, আমিরুল ইসলাম কুট্টি ও রুবেল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে ছাত্রদল, বিএনপি ও যুবদলের পরিচয়ে চলা সন্ত্রাসীরা ছাত্রশিবিরের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময়ে ১৫ জন শিবির ও জামায়াতের নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময়ে ওই সন্ত্রাসীরা স্থানীয় জামায়াত অফিস ভাংচুর করেছে বলে আবু মুসা জানান।

এ ব্যাপারে গৌরম্ভা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী ও থানা আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজিবর জোয়ার্দ্দার জানান, তিনি জেলা বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলামের একনিষ্ঠ সমর্থক। এদিনের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ছাত্রদলের মিছিল চলাকালে শিবির নেতৃবৃন্দ তাতে বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তবে তেমন কেউ আহত হয়েছে কি না তার জানা নেই।
অপরদিকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আকরাম হোসেন তালিম তিনি ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তার তীব্র নিন্দা জানান। ঘটনার বিস্তারিত জেনে সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ্ করেন।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদিউজ্জামানের আমল নামা

বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট : কোটিপতি হওয়া ওসিদের দৌড়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বদিউজ্জামানের। নাম রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জের যেসব কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, রেলওয়ের স্থাপনাসহ পাথর লুট, সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র ধ্বংসের মাস্টারমাইন্ড, পাথর কোয়ারিগুলোতে পাথর-বালু লুটপাট থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা আয়ের অভিযোগ রয়েছে।

অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন ছাড়াও সীমান্তবর্তী থানায় মামলা রুজু, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ভারতীয় চোরাই চিনি, ভারতীয় নাছির বিড়ি, মদ, ফেনসিডিল, কাপড়, গরু-মহিষ, কসমেটিকস্, ঔষধ, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকেও মাসোয়ারা গ্রহণ করতেন তিনি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদে ঢুকতে চেষ্টা করলে কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেন তিনি। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও বিএনপি, জামায়াতসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের থানায় এনে সমঝোতা করেন। যার ফলে থানায় কোন ধরণের হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি।

ইতিপূর্বে তিনি এসআই হিসেবে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মরত অবস্থায় ব্যাপক ঘুষ, দুর্নীতি, মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতার অভিযোগে তাকে থানা হতে পুলিশ লাইন ক্লোজড করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নিজের খোলস পরিবর্তন করেন তিনি। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বদিউজ্জামানকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

গাজীপুরে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো যুগলের লাশ পরিকল্পিত খুন বলে দাবি স্বজনদের

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন দক্ষিণ ছয়দানার হাজির পুকুর এলাকার বিল্লাল মিয়ার ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে গাছা থানা পুলিশ।

নিহতরা হলেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার সিমলা গ্রামের বাবুল শেখের ছেলে মোহাম্মদ বিল্লাল শেখ (২৫) ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার বীরপুরন্দ গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে শ্যামলী আক্তার (২৭)।

জানা যায়, গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা এলাকায় মা বাবা ভাই বোন সাথে নিয়ে মোহাম্মদ বিল্লাল শেখ আক্তার মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আশা ছিল ইলেকট্রনিক্স এর কাজ শিখে বিদেশে যাবে। সেই মতেই চলছিল সবকিছু। হঠাৎ যেন কালো অন্ধকার নেমে এলো তাদের পরিবারে। রহস্যজনকভাবে লাশ মিলল পাশের বাসার বিল্লাল শেখের। এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিল্লাল শেখের বাবা এবং তার পরিবারের লোকজন। স্বজনের শোকে পরিবারের অনেক সদস্য বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।

বিল্লাল শেখের মা বলেন, মৃত্যুর পরে আমার ছেলেটাকে আমি একটু চোখের দেখাও দেখতে পারি নাই! পুলিশের কাছে দেখতে চাইলে তারা বলেন, আগে কেন দেখে রাখেন নি? এখন দেখার দরকার নেই। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। আমি মামলাটা পর্যন্ত দিতে পারলাম না। আমি এর বিচার এই সরকারের কাছে চাই।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার পাশের বাসার একটি কক্ষে বিল্লাল শেখ ২৫ এবং শ্যামলী আক্তার ২৭ কে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। শ্যামলী আক্তার বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে প্রীতি সোয়েটার লিমিটেড নামের একটি পোষাক তৈরি কারখানায় কাজ করতেন। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া জুয়েল মিয়া ও অন্য রুমের লোক রান্না করতে উঠলে হঠাৎ পাশের রুম থেকে চিৎকারের শব্দ আসে। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে সজোরে দুইজন মিলে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে বিল্লাল মিয়া ও শ্যামলীকে প্রায় অর্ধ উলঙ্গ দেখে তারা বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে দেন যাতে পালিয়ে যেতে না পারে। পরবর্তীতে তারা দরজা খুলে তাদের মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পান বলে জানিয়েছেন পাশের লোকজন।

পরে তারা বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে তারা ছুটি আসেন বাড়ি মালিক বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কেউ এই বাড়ি থাকি না। শুনেছি বিল্লাল শেখ নাকি মারা যাওয়ার আগের রাতে ছাদে বসেছিল। ঘটনাস্থল থেকে ছেলের কোন কাপড় পাওয়া যায়নি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যান।

উপ-পরিদর্শক মো. সুমন খান জানান, বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো অবস্থায় যুগলের লাশ উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মোহাম্মাদ রাশেদ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে যায় এবং দুটি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।

সুপেয় পানির রিজার্ভ ট্যাংকি হিসাবে খ্যাত পঁচাদীঘিতে কেমিক্যাল দিয়ে বরশি বেয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি 

দেশের উপকুলীয় জেলার অন্যত্বম জেলা বাগেরহাট। এ জেলায় খাবার পানির তীব্র সংকট রয়েছে। খাবার বা সুপেয় পানির জন্যে এ জেলার মানুষ পুকুরের পানি ব্যবহার করে থাকে। সুপেয় পানির জন্যে প্রশিদ্ব রয়েছে, হযরত খানজান আলী (রহঃ) এর আমলে তারই খননকৃত বাগেরহাট শহরের পাশে “পঁচা দীঘি”। আর এ পঁচা দীঘি বাগেরহাট পৌরবাসীর সুপেয় পানির রিজার্ভ ট্যাংকি হিসাবে খ্যাত।এই দীঘি থেকে পানি নিয়ে জীবন বাচান হাজার হাজার এলাকাবাসী

এ দিঘিতে বরশি দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নেওয়ায় ফুসে উঠেছে এলাকা বাসী। আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দুই দিন ১১৫ টি ঘাটে মোট ২৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সৌখিন বৈশ্যেলদের জন্য বরশিবাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এলাকাবাসী জানান, এই পঁচা দীঘির পানি আমাদের এই আসপাশের জন সাধারন ব্যাবহার করেন। বরশি বাওয়ার কারনে পানি দুষিত হয় আমরা পানি খেতে পারি না। সৈরাচার হাসিনা সরকারের সময় শেখ পরিবারের সহযোগীতায় বরশি বাওয়া হতো এসময় আমরা এই দীঘির পানি ব্যাবহার করতে পারিনাই। সে সময় শেখ পরিবারের বিরুদ্বে কথা বলতে পারিনাই। এখন অন্তবর্তিকালিন সরকারের সময় ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে বরশি দিয়ে মাছ ধরছে এটা কি ধরনের আচরন।
এবিষয়ে কাড়াপাড়া মির্জাপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সদস্য শুকুমার বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসক মহদয়ের সাথে আমাদের যে শর্ত ছিল সেখানে ৭ নং সর্তে বলা হয়েছে জনস্বাস্থ্য হানিকর ও পানি দূষন কারী কোন দ্রব্য ব্যাবহার করতে পারবেন না। সেখানে কেমিক্যাল দিয়ে বিভিন্ন চার বানিয়ে বরশি বাইলে পানি দূষন করা হবে। তাহলে আমরা ৭ নং শর্ত অনুযায়ী এ শর্ত ভঙ্গ করা হল বলে মনে করি।

কাড়াপাড়া মির্জাপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ দিদারুল আলম বলেন, ২০১১ সালে আমরা আমাদের এই সমিতি প্রতিষ্ঠা করি। আমরা প্রতিদুই বছর পর পর এই সমিতির কমিটি গঠন করি আমাদের এই সমিতির মোট ২১ জন সদস্য রয়েছে তাদের মধ্য থেকে আমরা সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত করি। সম্প্রতি এই সমিতি দেকভাল করেন আলমগীর হোসেন এবছরের কোন হিসাব নিকাশ আমরা পাই নাই বিভিন্ন সময় এই আলমগী আমাদের না জানিয়ে কমিটি উপহার দেয় এটা কি করে সম্ভাব নিয়োম নিতির তোয়াক্কা নাকরে মন গড়া কমিটি দাখিল করছে। এই যে, বরশি বাওয়া দিয়েছে আমাদের কমিটির সাথে কোন আলোচনা না করে কি করে আলমগীর মাছ ধরছে এটা সম্পূর্ণ অনিয়ম আমরা এবিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

নাম প্রকাশ না শর্তে এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমাদের এলাকার খাবার পানি উপযুগি একমাত্র পুকুর “পচাদীঘি”। এ পুকুরে পানি আমরা খাই এবং গৃহস্থলির কাজে ব্যবহার করি।কিন্তু একটি স্বার্থনেশ্বীমহল এ পুকুরে মেডিসিন দিয়া টিকিটের বিনিময় মাছ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ পুকুরে মেডিসিন দিয়া মাছ ধরলে পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে যাবে। এ পুকুরের পানি নষ্ট হলে আমাদের কষ্টের সীমা থাকবে না।

এদিকে জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর বাগেরহাট এর নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত মল্লিক বলেন, ২০২১-২০২২ সালের অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যায়ে পৌর বাসির জন্য পঁচা দীঘিতে সুপেয় পানির জন্য রিজার্ভ ট্যাংকি স্থাপন করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, পঁচা দীঘিতে যদি কেমিক্যাল ব্যবহার করে বরশি দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি চলে থাকে, তার কারণে যদি পানি নষ্ট হয় আমি বিষয়টি বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

দ্বীপ-২ গার্মেন্টস এর ঝুট ভর্তি ট্রাক সন্ত্রাসীরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুর মহানগরের ৩২নং ওয়ার্ডের ডেগের চালায় অবস্থিত দ্বীপ-২ গার্মেন্টস এর ঝুট ছমির আলী চুক্তি অনুযায়ী ক্রয়করে ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে ট্রাক ভর্তি করে নেয়ার সময় ডেগেরচালা ফকির মার্কেটের ওয়াল্টন শো রুমের সামনে থেকে সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় আলমাছ খা, পিতা সরুপ খা, সোহেল, পিতা আব্দুল হামিদ মন্ডল, সালাহউদ্দিন, পিতা আলাউদ্দীন এর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ট্রাকের গতিরোধ করে ট্রাকটি বোর্ড বাজারের দিকে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ঝুট ব্যবসায়ী ছমির আলী বলেন, আমার নিজস্ব বিল্ডিং দ্বীপ-২ আমার কাছ থেকে ভাড়া নিয়াছে। শুরু থেকেই এর ঝুট কোম্পানির সাথে চুক্তি করে আমি বিক্রি করে আসছি। গতকালই প্রথম আমার বিক্রি করা ঝুট ভর্তি ট্রাক সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়।

তিনি আরোও বলেন, এলাকার কিছু সন্ত্রাসীর যোগসাজশে ট্রাক ছিনতাই করা হয়। তিনি এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাতক্ষীরায় স্বর্ণালঙ্কার ও মটরসাইকেল ছিনাইয়ের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের রাজ কুমার দেবনাথ গংয়ের বিরুদ্ধে চাঁদার টাকা না দেওয়া এক ব্যক্তির রাস্তা আটকে নগদ টাকা এবং মোটর সাইকেলসহ স্বর্ণের গহনা ছিনতায়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলানয়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কালিগঞ্জের বামনহাট গ্রামের মৃত অমল দেবনাথের ছেলে রঞ্জন দেবনাথ এই অভিযোগ করেন। তিনি এঘটনার প্রতিকারের দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি চাকুরির সুবাধে সাতক্ষীরা শহরে বসবাস করি এবং মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে যাই। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে থেকে একই গ্রামের (বামনহাট) কান্তিলাল দেবনাথের ছেলে রাজ কুমার দেবনাথ ও দেব কুমার দেবনাথ, মৃত অসিত কুমার দেবনাথের ছেলে কিংকর দেবনাথ আমার কাছে ৪লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতো।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ সেপ্টেম্বর গ্রামের বাড়ি থেকে সাতক্ষীরা আসার পথে বানিয়াজাংলা এলাকায় পৌছালে উল্লেখিত ব্যক্তিরা অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার গতিরোধ করে। এসময় তারা পুনরায় আমার কাছে চাঁদার টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বেদমমারপিট করে। এসময় আমার কাছে থাকা নগদ ৬৭ হাজার ৭শ’ টাকা, গলায় থাকা ১৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, (মূল্য-৯০ হাজার টাকা) একটি আংটি (৫৫ হাজার টাকা) এবং আমার ব্যবহৃত ২ লক্ষ ১০
হাজার টাকা মূল্যের সুজুকি জিক্সার ১৫৫ সিসি মোটর সাইকেল (সাতক্ষীরা ল-১২-৫৪৭০) জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।

রঞ্জন দেবনাথ আরো বলেন, ঘটনার সময় তাদের কাছে থাকা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ফাঁকা একটি প্যাডে আমার স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। এছাড়া একটি ভিডিও ধারণ করে নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। এসব বিষয়ে থানা পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে রাজ কুমার গংরা। এসময় আমি জীবনের ভয়ে সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে তারা আমাকে সাথে করে নিয়ে কালিগঞ্জ পার দেয়। যাতে আমি থানায় যেতে না পারি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পরের দিন কালিগঞ্জ গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বললেও তাদের কাছ থেকে কোন সহযোগিতার আশ্বাস পায়নি। ফলে এখন পর্যন্ত আমার মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পারিনি। তিনি ওই ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের কবল থেকে মোটরসাইকেল, নগদ টাকা এবং স্বর্ণের গহনা উদ্ধার পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামানা করেন।

এঘটনায় বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেন জানান, কান্তি দেবনাথের ছেলের চাকরি দেওয়ার কথা বলে রঞ্জন ও পলাশ ৫ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু আজ ৮ মাস হয়ে গেল চাকরি ও টাকা কোনটাই দেয় না। গত ৭ সেপ্টেম্বর রঞ্জন গ্রামে আসলে লোকজন তাকে নিয়ে আমার পরিষদে আসেন। সেখানে একটা শালিস করা হয় এবং টাকা আগামী ১ মাসের মধে দিবে বলে. আঙ্গীকার করে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে লিখিত দেয়। তার মটর সাইকেলটি আমার জিম্মায় আছে। টাকা দিয়ে
মটরসাইকেল নিয়ে যাবে।