Advertisement

ছাত্রসমাজ ও আলেম সমাজকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে : মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘৫ আগস্ট একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন মানুষের চোখে ভেসে উঠেছে। ছাত্রসমাজ ও আলেম সমাজকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সব ইসলামপন্থি দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেউ যাতে ঐক্য বিনষ্ট করতে না পারে, সেদিকে ছাত্র এবং উলামায়ে কেরামকে সচেতন থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বাগেরহাট জেলা খেলাফত মজলিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিনতাইয়ের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী বন্ধুরূপী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বুকের ওপর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী নীতিমালার আলোকে গণঅভিপ্রায় বিরোধী সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।’

মামুনুল হক বলেন, ‘হিন্দুরা যত ইচ্ছা মূর্তি তৈরি করতে পারবে; কিন্তু মুসলমানের কোনও স্থাপনার সামনে মূর্তি থাকতে পারবে না। হিন্দুদের পূজাকে সামনে রেখে নৈরাজ্যবাদীরা যাতে কোনও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলামসহ সব ইসলামি দলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। হিন্দুদের কোন মুর্তিতে কেউ হাত দেয়ার চেষ্টা করলে সেই হাত ভেঙ্গে দেয়া হবে।’

‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল বিভাজনের রাজনীতি। আমরা আর বিভাজন চাই না, আমরা সবাই মিলে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো। সেখানে সব ধর্মের লোক সমান অধিকার ভোগ করবে।’ বলে উল্লেখ করেন মাওলানা মামুনুল হক।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বাগেরহাট জেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা রমিজউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যয়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একমাসে ১৯৮ অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে 

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের একমাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ১৯৮টি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অতি স্বল্প জনবল নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করা হলেও প্রথম দিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পাঠানো বিবিধ প্রস্তাব বিষয়ে দ্রুত গতিতে এবং আইনগত সব বাধ্যবাধকতা মেনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত একমাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ১৯৮টি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনপ্রশাসনের ১৩৫ জন অতিরিক্ত সচিব, ২২৭ জন যুগ্মসচিব ও ১২০ জন উপসচিবকে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৯টি জেলার জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নতুন ৫৯ জন জেলা প্রশাসককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৬৭ জন কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ১০ জন যুগ্ম সচিব, ৮ জন অতিরিক্ত সচিব এবং ৬ জন সচিবকে ওএসডি করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের ৮০ জন ডিআইজি, ৩০ জন পুলিশ সুপারসহ ১১০ জনকে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। একজন ডিআইজি, একজন এডিশনাল ডিআইজি এবং চারজন পুলিশ সুপারকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। আইজিপিসহ ১০ জন অতিরিক্ত আইজি, ৮৮ জন ডিআইজি, ২১ জন অ্যাডিশনাল ডিআইজি এবং ১৭৭ জন পুলিশ সুপারসহ মোট ২৯৭ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

ছয়টি কমিশনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সরফরাজ চৌধুরী, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এসব কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। কমিশনগুলোর আলোচনা ও পরামর্শসভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র, শ্রমিক, জনতা আন্দোলনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাজ আগামী পয়লা অক্টোবর থেকে শুরু করতে পারবে বলে আশা করছি এবং এটি পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আমরা ধারণা করছি। কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ সভার আয়োজন করবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র সমাজ, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক তিন থেকে সাত দিনব্যাপী একটি পরামর্শসভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এতে এই রূপরেখা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তার একটি ধারণাও দেয়া হবে।

এই আয়োজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্র পুনঃনির্মাণ তাগিদের ঐক্যবন্ধনে গোটা জাতিকে শক্তিশালী ও আশাবাদী করে তুলবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

 

জলঢাকায় মুকুলের দুটি কিডনি নষ্ট প্রয়োজন কয়েক লাখ টাকা

মানুষ মানুষের জন্য। তাই সকলের সহমর্মিতা ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করলে আর সকলের মতো বেচেঁ থাকার স্বপ্ন পুরন হতো এক সন্তানের জনক দুটি কিডনি নষ্ট  হওয়া মুকুল ইসলাম (৩২ )। নিজের যা ছিল সব কিছু বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়ে চিকিৎসা করলে ও চিকিৎসায়  রোগের কোন প্রতিকার না পেয়ে নিজ বাড়ীতে  ফিরে বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর ঘুনছেন তিনি।
অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধ পিতা মাতা চোঁখের সামনে সন্তানের কষ্ট দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে নির্বাক চোখে অশ্রু ঝরাচ্ছেন।  এদিকে নিরুপায় হয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের নিকট অসুস্থ  ছেলের দুটি কিডনি প্রতিস্থাপনের চিকিৎসার  জন্য আর্থিক সাহায্য ও সহায়তা চেয়েছেন দরিদ্র পরিবারটি৷ কর্মবিহিন অসুস্থ  মুকুল বর্তমানে  ঔষুধ কিনে যে খাবেন তার সেই আর্থিক অবস্থাও নেই।
এদিকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মুকুলকে উন্নত চিকিৎসা ও দুটো কিডনি প্রতিস্থাপনের ঙ জন্য দেশের বাহিরে নিয়ে চিকিৎসা করালে হয়তো নতুন এক জীবন ফিরে পেতে পারে। কিন্তূ উন্নত চিকিৎসা করাবেন সে সামর্থও নেই অসহায় মুকুলের। মুকুলের এমন অসহায়ত্ব দেখে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রম।
এলাকাবাসীর এ  কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে  এ যেন বাংলায় নির্মিত চলচিত্রের দুঃখী সিনেমার কল্প কাহিনীর বাস্তব চিত্র।
জানা যায়, দরিদ্র অসহায় দুটি কিডনি নষ্ট হওয়া মুকুলের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর চেড়েঙ্গা ময়দানের পাড় এলাকার হাজীপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার নুর মোহাম্মদ ধোঁদা ( ৭৮ ) এর তৃতীয় পুত্র। বৈবাহিক জীবনে মুকুল ৫ বছর বয়সের এক পুত্র সন্তানের জনক। সে কপি চায়ের মেশিন কিস্তিতে কিনে তা দিয়ে এলাকায়  ব্যবসা করে কোন মতে সংসার চালাচ্ছিলেন। এঅবস্থায় মুকুল গত ৩ বছর পূর্বে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ার ২ বছর পর পরীক্ষা করে জানতে পারেন তার দুটি কিডনি নষ্ট  হয়ে গেছে। গত ৩ বছর ধরে চিকিৎসা করে কোন প্রতিকার না পেয়ে আর্থিক সংকটের কারণে দেশের বাহিরে গিয়ে  চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ না থাকায় মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে ঘরের বিছানায় কাতরাচ্ছে।
মুকুলের পিতা নুর মোহাম্মদ ধোঁদা অশ্রু সিক্ত নয়নে প্রতিনিধিকে বলেন, ছেলের কষ্ট ও যন্ত্রণা দেখে মোর নিজের একটা কিডনি দিতে চাছুং বাবা। আমি শারীরিক অসুস্থতা থাকার কারণে ডাক্তার বলেছে এখানে হবে না, ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করালে সুস্থ হবে। কিন্তূ হামার সে সামর্থ নেই। আমরা গরিব মানুষ এতো টাকা কোটে পামো। এ জন্য আমি৷ দেশের  সকল শ্রেণী পেশার মানুষের নিকট ছেলের চিকিৎসার  জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন।
ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম জানান, আমাদের গ্রামের মধ্যে সব চেয়ে গরীব ও দরিদ্র মুকুলের পরিবার। চোঁখের সামনে ছেলেটার এমন মৃত্যু যন্ত্রণা এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই আমি সকলের প্রতি অনুরোধ করছি আপনাদের একটু আর্থিক সহযোগিতায় পারে দরিদ্র রোগাক্রান্ত মুকুলের জীবন রক্ষা করতে। পৌরসভার ৭ং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল মোশফেকুর রহমান বলেন, আমরা এলাকাবাসী উদ্দ্যেগ নিয়েছি আর্থিক সহযোগিতার। পাশাপাশি সকল মানুষের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি অসহায় মুকুলের পাশে একটু দাঁড়াতে।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, এ রোগিকে উপজেলা সমাজ সেবা অফিস কর্তৃক আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পূর্ণাবিত্তি দরখাস্ত আহবানের মাধ্যমে রোগী আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করলে নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সহ নগদ আর্থিক সহায়তা পাওয়া সুযোগ আছে।
অসহায় দারিদ্র্য মুকুল মিয়াকে আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শাখা জনতা ব্যাংকের হিসাব নাম্বার ০১০০১৯০০০১৫০০ বিকাশ ও নগদ  নম্বর ০১৭৪৮১৫১৪৫৯,  ০১৭৪৮১৫১৪৫৯

সাতক্ষীরায় স্বর্ণালঙ্কার ও মটরসাইকেল ছিনাইয়ের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের রাজ কুমার দেবনাথ গংয়ের বিরুদ্ধে চাঁদার টাকা না দেওয়া এক ব্যক্তির রাস্তা আটকে নগদ টাকা এবং মোটর সাইকেলসহ স্বর্ণের গহনা ছিনতায়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলানয়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কালিগঞ্জের বামনহাট গ্রামের মৃত অমল দেবনাথের ছেলে রঞ্জন দেবনাথ এই অভিযোগ করেন। তিনি এঘটনার প্রতিকারের দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি চাকুরির সুবাধে সাতক্ষীরা শহরে বসবাস করি এবং মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে যাই। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে থেকে একই গ্রামের (বামনহাট) কান্তিলাল দেবনাথের ছেলে রাজ কুমার দেবনাথ ও দেব কুমার দেবনাথ, মৃত অসিত কুমার দেবনাথের ছেলে কিংকর দেবনাথ আমার কাছে ৪লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতো।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ সেপ্টেম্বর গ্রামের বাড়ি থেকে সাতক্ষীরা আসার পথে বানিয়াজাংলা এলাকায় পৌছালে উল্লেখিত ব্যক্তিরা অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার গতিরোধ করে। এসময় তারা পুনরায় আমার কাছে চাঁদার টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বেদমমারপিট করে। এসময় আমার কাছে থাকা নগদ ৬৭ হাজার ৭শ’ টাকা, গলায় থাকা ১৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, (মূল্য-৯০ হাজার টাকা) একটি আংটি (৫৫ হাজার টাকা) এবং আমার ব্যবহৃত ২ লক্ষ ১০
হাজার টাকা মূল্যের সুজুকি জিক্সার ১৫৫ সিসি মোটর সাইকেল (সাতক্ষীরা ল-১২-৫৪৭০) জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।

রঞ্জন দেবনাথ আরো বলেন, ঘটনার সময় তাদের কাছে থাকা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ফাঁকা একটি প্যাডে আমার স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। এছাড়া একটি ভিডিও ধারণ করে নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। এসব বিষয়ে থানা পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে রাজ কুমার গংরা। এসময় আমি জীবনের ভয়ে সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে তারা আমাকে সাথে করে নিয়ে কালিগঞ্জ পার দেয়। যাতে আমি থানায় যেতে না পারি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পরের দিন কালিগঞ্জ গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বললেও তাদের কাছ থেকে কোন সহযোগিতার আশ্বাস পায়নি। ফলে এখন পর্যন্ত আমার মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পারিনি। তিনি ওই ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের কবল থেকে মোটরসাইকেল, নগদ টাকা এবং স্বর্ণের গহনা উদ্ধার পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামানা করেন।

এঘটনায় বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেন জানান, কান্তি দেবনাথের ছেলের চাকরি দেওয়ার কথা বলে রঞ্জন ও পলাশ ৫ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু আজ ৮ মাস হয়ে গেল চাকরি ও টাকা কোনটাই দেয় না। গত ৭ সেপ্টেম্বর রঞ্জন গ্রামে আসলে লোকজন তাকে নিয়ে আমার পরিষদে আসেন। সেখানে একটা শালিস করা হয় এবং টাকা আগামী ১ মাসের মধে দিবে বলে. আঙ্গীকার করে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে লিখিত দেয়। তার মটর সাইকেলটি আমার জিম্মায় আছে। টাকা দিয়ে
মটরসাইকেল নিয়ে যাবে।

প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গত ১ সেপ্টেম্বর দেশ বার্তা নামক একটি অনলাইন পোর্টালে “মামলা তুলে নিতে বাদীকে অপহরণ” নরসিংদী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।

সংবাদটিতে আমাকে জড়িয়ে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদটি কারো প্ররোচনায় করা হয়েছে এটা সু-স্পষ্ট।

কারণ প্রতিবেদক আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই ছাড়া এমনকি আমার বক্তব্য গ্রহণ না করে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এতে প্রতিবেদক আমার উপর অবিচার করেছেন বলে আমি মনে করি।

আমি প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মনজুর এলাহী
সদস্য সচিব
নরসিংদী জেলা বিএনপি।

গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ ২৫ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

গাজীপুরে বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় কারখানায় ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার টঙ্গী, মহানগর, শ্রীপুর জয়দেবপুর এর বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের আন্দোলন শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সকাল ৯টা থেকে গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৩ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে এমট্রানেট গ্রুপ লিমিটেড নামে কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন পিনাকি গ্রুপ, ড্রেস ম্যান ও নোমান গ্রুপের শ্রমিকরা। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শ্রমিকও অংশ নেন। দুপুর আড়াইটার দিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ, পুলিশ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের দাবি মেনে নেন। পর এমট্রানেট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা সুজন, লাকি, সফিউল্লাহ, সুমন, পিএম মো. রানা, রফিক, সুপারভাইজার মুসা, নিলুফা, শান্তা, পিএম ফরিদ ও ওয়াহিদের পদত্যাগের দাবিতে বিকেল ৩টার পর থেকে আবারও আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা।
টঙ্গীর এমট্রানেট গ্রুপের শ্রমিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবিগুলো কয়েক বছর যাবৎ মৌখিক ও লিখিতভাবে উপস্থাপন করে আসছি। আজ মঙ্গলবার সকালে আমরা পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা একত্রে মিলে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছি।
অপরদিকে,শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার মেঘনা গ্রুপের হাই ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকরা ১৪ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী হাউ আর ইউ টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকদের বের করে আনতে গেলে হামলার শিকার হন হাই ফ্যাশনের শ্রমিকরা। এতে উত্তেজিত শ্রমিকরা হাউ আর ইউ টেক্সটাইলে ঢুকে ভাঙচুর চালান।
এদিকে, জেলার জয়দেবপুর থানার নতুন বাজার এলাকার এসএম নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় কারখানায় প্রবেশ করে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে অ্যাসরোটেক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা দুপুর ১২টার দিকে কারখানার প্রধান গেটে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে এসএম নিটওয়্যার ও অ্যাসরোটেক্স  লিমিটেডের শ্রমিকরা এ্যাপারেলস্-২১ লি. ও গ্রিন ফাইবার কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার গেটে গেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই দুটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেন। পরে দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকরা যার যার অবস্থান থেকে সরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন,  কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর দুপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, বিজিবির সঙ্গে মিলে পুলিশ কাজ করছে।

গাছা থানার ওসিকে অপসারণ চায় ছাত্র জনতা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস পূর্তি উপলক্ষে আজ এই দিনে সারাদেশে কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আন্দোলন চলাকালীন বাংলা ব্লকেট, মার্চ ফর জাস্টিজ, কমপ্লিট শাটডাউন এর মতো কর্মসূচীর কারণে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের এক মাস পর শহীদদের স্বরণে আজ দেশব্যাপি পালিত হচ্ছে ‘শহীদি মার্চ’। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কর্মসূচী মোতাবেক গাজীপুরেও পালিত হয়েছে এ দিবসটি।

এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাছা থানার বিভিন্ন এলাকা হতে পদযাত্রা করে থানার সামনে মানববন্ধন কর্মসূচীতে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। ছাত্র ও যুব সমাজের কর্মসূচীতে একাত্বতা প্রকাশ করে সকল পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করে।

মানববন্ধনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার পতন আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং ছাত্র জনতার ওপর গুলির নির্দেশদাতা গাছা থানার ওসি জিয়াউল ইসলামের প্রত্যাহার ও এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন অনুষ্ঠানে আন্দোলনকারীরা বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত ওসি জিয়াউল ইসলাম আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন দুষ্কৃতীকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে চাদাবাজি ও গার্মেন্টসের ঝুট ব্যাবসার ভাগ পেয়ে আসছে। এবং বিভিন্ন হামলার সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া সহ ছাত্র জনতার উপর গুলির নির্দেশদাতা ওসি জিয়াউল ইসলামের অবিলম্বে অপসারণ দাবি করছি।

পূর্ব শত্রুতার জেরে গাজীপুরে বসতবাড়ীতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট আহত-৫

পূর্বশত্রুতার জেরে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার ৩২নং ওয়ার্ডের মৈরান এলাকায় একটি পরিবারের ৫ সদস্যের উপর হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার (২৭আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় ভূক্তভূগী পরিবারের ইসমাইল (৪০) নামে এক ভুক্তভোগী সদস্য বাদী হয়ে মহানগরীর গাছা মেট্রোপলিটন থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে দশটায় ভূক্তভূগী মৈরান এলাকায় তার নিজ বাড়ীর সামনে অবস্থান করাকালীন মহানগরীর ৩২নং ওয়ার্ডের মৈরান এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে সফর আলী (৫৮), সফর আলীর ছেলে রিটন মিয়া (৪২), মৃত সিরাজ মিয়ার দুই ছেলে শুক্কুর আলী ওরফে বিমল (৪৪) ও শ্যামল মিয়া (৪৭), সফর আলীর ছেলে খোকন মিয়া (৪০), মৃত তাহের আলীর ছেলে ইমন আলী (২০), রিটন এর ছেলে সাজ্জাদ (২১), মনির হোসেন এর ছেলে হাসানসহ (২২) আরও অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক এ হামলায় অংশ নেয়।

প্রতিপক্ষরা ভূক্তভূগী পরিবারের সদস্যদের উপর দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র ( রামদা, ছেন, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় গুরুতর আহত হন ভূক্তভুগী পরিবারের কয়েকজন সদস্য। অভিযোগকারি উল্লেখ করেন অভিযুক্ত সফর আলীর হুকুমে শুক্কুর আলী ওরফে বিমল এর হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে ভূক্তভূগী ইসমাইলকে কোপ দেয়। সেই কোপ ফেরাতে গিয়ে ইসমাইলের জেঠাত ভাই আ. মতিন (৫০) দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন। এসময় আব্দুল মতিন মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তাকে রড দিয়ে বেধম মারধর করা হয়।

এসময় মারধর ফেরাতে এসে গুরুতর আহত হন ইসমাইলের জেঠি বৃদ্ধা মোসা. রেজিয়া বেগম (৬০)। মারধর হতে রক্ষা করতে এগীয়ে এসে আহত হন ভূক্তভূগী অভিযোগকারির চাচাতো বোন মোসা. ইতি (২৬)। এসময় অভিযুক্ত ইমন ইসমাইলের বুক পকেট থেকে ১০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ারও অভিযোগ করেন। মারধর ঠেকাতে এগিয়ে আসেন ভূক্তভূগী ইসমাইলের সহদর বোন মোসা. রহিমা (৪২)। তাকেও লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্রাঘাতে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এছাড়াও অভিযুক্তরা ভূক্তভূগীর বসত বাড়ীঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক (৫০০০০০) টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

এঘটনায় দেশীয় অস্ত্রাঘাতে অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়ে চিৎকার চেচামেচির খবরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভূক্তভূগী পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনা কাউকে জানিয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করলে তাদের প্রাণ নাশ পরবর্তী লাশ গুম করে ফেলারও হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা বলেও অভিযোগ শুত্রে জানা গেছে। ভূক্তভূগী পরিবার জানায় চিকিৎসা গ্রহণ পরবর্তী স্থানীয় গণ্যমান্যদের অবগত করে থানায় অভিযোগে কিছুটা বিলম্ব হলো।

অভিযোগ দেয়ার পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবার আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। রাস্তাঘাটে দেখা হলে প্রতিপক্ষরা বলেন, তোদের বাড়িতে গিয়ে মারধর করেছি কিছুই করতে পারলি না।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় রিটন মিয়া ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বতর্মান আহবায়ক সদস্য। একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি।

এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভূগী পরিবারের স্বজনরা।

এ বিষয় গাছা থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয় মামলা করার জন্য বললে উভয় পক্ষ কিছু দিন সময় নেন বলে আমাদের জানান।

বাগেরহাটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোতে বেতন বৈষম্য, মানহীন ও নিম্নমানের মালামালের কারণে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা নিরসনসহ অভিন্ন চাকরিবিধি এবং চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পোলঘাট এলাকার প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। সমিতির প্রধান কার্যালয়সহ ১০টি জোনাল ও একটি সাব-জোনাল অফিসের কয়েকশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতিতে যোগ দেন।

এ সময় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম শহিদুল ইসলাম, এজিএম সিফাতুল্লাহ, পারভেজ আলম, রিপন বিশ্বাস, লাইন টেকনিশয়ান রাজীব রায়, রাজু আহম্মেদ, শারমিন কেয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বৈষম্যের কোন স্থান নাই’। একই দেশে দুই আইন থাকতে পারে না। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সমিতি সমূহে শোষন, নির্যাতন, নিপীড়ন অব্যহত রেখেছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্য দূরীকরণ ও অভিন্ন সার্ভিস কোড অবশ্যই প্রয়োজন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান আন্দোলনরতরা। তবে জরুরি গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।