Advertisement

বাগেরহাটের বিএনপি-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হামলা, ছাত্রশিবিরের ১৫ জন আহত

বাগেরহাটের রামপালে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডাকা মিছিলে যোগ না দেওয়ায় ছাত্রশিবিরের ইউনিয়ন সভাপতিসহ ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রদলের পরিচয়ে চলা সন্ত্রাসীরা। বুধবার দুপুরে ছাত্রদল ও বিএনপির লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপের একটি অংশ গৌরম্ভা কলেজের এক শিক্ষকের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এ সময়ে ছাত্র শিবির ও জামায়াতের লোকদের ওই মিছিলে যোগ দিতে বলে। কিন্তু ওই মিছিলে কেউ যোগ না দেওযায় ছাত্রদল ও বিএনপির পরিচয়ে চলা ওই গ্রুপটি লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিবিরের ছেলেদের উপর হামলা করে। এতে শিবিরের গৌরম্ভা ইউনিয়ন সভাপতি নকিব তালুকদারসহ ৭/৮ জন আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিমাংসার বৈঠকে বসলে বিকালে পুন:রায় বিএনপি নেতা লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজন হামলা চালায় এতে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আবু মুসা আকুঞ্জী, শিবির নেতা মুরসালিম,বাপ্পী গাজীসহ ৫/৬ জন আহত হয়। আহতদের গুরুতর অবস্থায় প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা আবু মুসা আকুঞ্জী জানান, বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী মুজিবর জোয়ার্দ্দার, যুবদল নেতা বাহাদুর ইসলাম কুট্টি, আমিরুল ইসলাম কুট্টি ও রুবেল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে ছাত্রদল, বিএনপি ও যুবদলের পরিচয়ে চলা সন্ত্রাসীরা ছাত্রশিবিরের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময়ে ১৫ জন শিবির ও জামায়াতের নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময়ে ওই সন্ত্রাসীরা স্থানীয় জামায়াত অফিস ভাংচুর করেছে বলে আবু মুসা জানান।

এ ব্যাপারে গৌরম্ভা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী ও থানা আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজিবর জোয়ার্দ্দার জানান, তিনি জেলা বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলামের একনিষ্ঠ সমর্থক। এদিনের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ছাত্রদলের মিছিল চলাকালে শিবির নেতৃবৃন্দ তাতে বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তবে তেমন কেউ আহত হয়েছে কি না তার জানা নেই।
অপরদিকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আকরাম হোসেন তালিম তিনি ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তার তীব্র নিন্দা জানান। ঘটনার বিস্তারিত জেনে সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ্ করেন।

সুপেয় পানির রিজার্ভ ট্যাংকি হিসাবে খ্যাত পঁচাদীঘিতে কেমিক্যাল দিয়ে বরশি বেয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি 

দেশের উপকুলীয় জেলার অন্যত্বম জেলা বাগেরহাট। এ জেলায় খাবার পানির তীব্র সংকট রয়েছে। খাবার বা সুপেয় পানির জন্যে এ জেলার মানুষ পুকুরের পানি ব্যবহার করে থাকে। সুপেয় পানির জন্যে প্রশিদ্ব রয়েছে, হযরত খানজান আলী (রহঃ) এর আমলে তারই খননকৃত বাগেরহাট শহরের পাশে “পঁচা দীঘি”। আর এ পঁচা দীঘি বাগেরহাট পৌরবাসীর সুপেয় পানির রিজার্ভ ট্যাংকি হিসাবে খ্যাত।এই দীঘি থেকে পানি নিয়ে জীবন বাচান হাজার হাজার এলাকাবাসী

এ দিঘিতে বরশি দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নেওয়ায় ফুসে উঠেছে এলাকা বাসী। আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দুই দিন ১১৫ টি ঘাটে মোট ২৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সৌখিন বৈশ্যেলদের জন্য বরশিবাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এলাকাবাসী জানান, এই পঁচা দীঘির পানি আমাদের এই আসপাশের জন সাধারন ব্যাবহার করেন। বরশি বাওয়ার কারনে পানি দুষিত হয় আমরা পানি খেতে পারি না। সৈরাচার হাসিনা সরকারের সময় শেখ পরিবারের সহযোগীতায় বরশি বাওয়া হতো এসময় আমরা এই দীঘির পানি ব্যাবহার করতে পারিনাই। সে সময় শেখ পরিবারের বিরুদ্বে কথা বলতে পারিনাই। এখন অন্তবর্তিকালিন সরকারের সময় ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে বরশি দিয়ে মাছ ধরছে এটা কি ধরনের আচরন।
এবিষয়ে কাড়াপাড়া মির্জাপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সদস্য শুকুমার বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসক মহদয়ের সাথে আমাদের যে শর্ত ছিল সেখানে ৭ নং সর্তে বলা হয়েছে জনস্বাস্থ্য হানিকর ও পানি দূষন কারী কোন দ্রব্য ব্যাবহার করতে পারবেন না। সেখানে কেমিক্যাল দিয়ে বিভিন্ন চার বানিয়ে বরশি বাইলে পানি দূষন করা হবে। তাহলে আমরা ৭ নং শর্ত অনুযায়ী এ শর্ত ভঙ্গ করা হল বলে মনে করি।

কাড়াপাড়া মির্জাপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ দিদারুল আলম বলেন, ২০১১ সালে আমরা আমাদের এই সমিতি প্রতিষ্ঠা করি। আমরা প্রতিদুই বছর পর পর এই সমিতির কমিটি গঠন করি আমাদের এই সমিতির মোট ২১ জন সদস্য রয়েছে তাদের মধ্য থেকে আমরা সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত করি। সম্প্রতি এই সমিতি দেকভাল করেন আলমগীর হোসেন এবছরের কোন হিসাব নিকাশ আমরা পাই নাই বিভিন্ন সময় এই আলমগী আমাদের না জানিয়ে কমিটি উপহার দেয় এটা কি করে সম্ভাব নিয়োম নিতির তোয়াক্কা নাকরে মন গড়া কমিটি দাখিল করছে। এই যে, বরশি বাওয়া দিয়েছে আমাদের কমিটির সাথে কোন আলোচনা না করে কি করে আলমগীর মাছ ধরছে এটা সম্পূর্ণ অনিয়ম আমরা এবিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

নাম প্রকাশ না শর্তে এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমাদের এলাকার খাবার পানি উপযুগি একমাত্র পুকুর “পচাদীঘি”। এ পুকুরে পানি আমরা খাই এবং গৃহস্থলির কাজে ব্যবহার করি।কিন্তু একটি স্বার্থনেশ্বীমহল এ পুকুরে মেডিসিন দিয়া টিকিটের বিনিময় মাছ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ পুকুরে মেডিসিন দিয়া মাছ ধরলে পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে যাবে। এ পুকুরের পানি নষ্ট হলে আমাদের কষ্টের সীমা থাকবে না।

এদিকে জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর বাগেরহাট এর নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত মল্লিক বলেন, ২০২১-২০২২ সালের অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যায়ে পৌর বাসির জন্য পঁচা দীঘিতে সুপেয় পানির জন্য রিজার্ভ ট্যাংকি স্থাপন করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, পঁচা দীঘিতে যদি কেমিক্যাল ব্যবহার করে বরশি দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি চলে থাকে, তার কারণে যদি পানি নষ্ট হয় আমি বিষয়টি বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

বাগেরহাটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোতে বেতন বৈষম্য, মানহীন ও নিম্নমানের মালামালের কারণে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা নিরসনসহ অভিন্ন চাকরিবিধি এবং চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পোলঘাট এলাকার প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। সমিতির প্রধান কার্যালয়সহ ১০টি জোনাল ও একটি সাব-জোনাল অফিসের কয়েকশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতিতে যোগ দেন।

এ সময় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম শহিদুল ইসলাম, এজিএম সিফাতুল্লাহ, পারভেজ আলম, রিপন বিশ্বাস, লাইন টেকনিশয়ান রাজীব রায়, রাজু আহম্মেদ, শারমিন কেয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বৈষম্যের কোন স্থান নাই’। একই দেশে দুই আইন থাকতে পারে না। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সমিতি সমূহে শোষন, নির্যাতন, নিপীড়ন অব্যহত রেখেছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্য দূরীকরণ ও অভিন্ন সার্ভিস কোড অবশ্যই প্রয়োজন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান আন্দোলনরতরা। তবে জরুরি গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।