Advertisement

বাগেরহাটের বিএনপি-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হামলা, ছাত্রশিবিরের ১৫ জন আহত

বাগেরহাটের রামপালে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডাকা মিছিলে যোগ না দেওয়ায় ছাত্রশিবিরের ইউনিয়ন সভাপতিসহ ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রদলের পরিচয়ে চলা সন্ত্রাসীরা। বুধবার দুপুরে ছাত্রদল ও বিএনপির লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপের একটি অংশ গৌরম্ভা কলেজের এক শিক্ষকের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এ সময়ে ছাত্র শিবির ও জামায়াতের লোকদের ওই মিছিলে যোগ দিতে বলে। কিন্তু ওই মিছিলে কেউ যোগ না দেওযায় ছাত্রদল ও বিএনপির পরিচয়ে চলা ওই গ্রুপটি লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিবিরের ছেলেদের উপর হামলা করে। এতে শিবিরের গৌরম্ভা ইউনিয়ন সভাপতি নকিব তালুকদারসহ ৭/৮ জন আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিমাংসার বৈঠকে বসলে বিকালে পুন:রায় বিএনপি নেতা লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজন হামলা চালায় এতে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আবু মুসা আকুঞ্জী, শিবির নেতা মুরসালিম,বাপ্পী গাজীসহ ৫/৬ জন আহত হয়। আহতদের গুরুতর অবস্থায় প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা আবু মুসা আকুঞ্জী জানান, বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী মুজিবর জোয়ার্দ্দার, যুবদল নেতা বাহাদুর ইসলাম কুট্টি, আমিরুল ইসলাম কুট্টি ও রুবেল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে ছাত্রদল, বিএনপি ও যুবদলের পরিচয়ে চলা সন্ত্রাসীরা ছাত্রশিবিরের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময়ে ১৫ জন শিবির ও জামায়াতের নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময়ে ওই সন্ত্রাসীরা স্থানীয় জামায়াত অফিস ভাংচুর করেছে বলে আবু মুসা জানান।

এ ব্যাপারে গৌরম্ভা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী ও থানা আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজিবর জোয়ার্দ্দার জানান, তিনি জেলা বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলামের একনিষ্ঠ সমর্থক। এদিনের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ছাত্রদলের মিছিল চলাকালে শিবির নেতৃবৃন্দ তাতে বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তবে তেমন কেউ আহত হয়েছে কি না তার জানা নেই।
অপরদিকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আকরাম হোসেন তালিম তিনি ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তার তীব্র নিন্দা জানান। ঘটনার বিস্তারিত জেনে সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ্ করেন।

সুপেয় পানির রিজার্ভ ট্যাংকি হিসাবে খ্যাত পঁচাদীঘিতে কেমিক্যাল দিয়ে বরশি বেয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি 

দেশের উপকুলীয় জেলার অন্যত্বম জেলা বাগেরহাট। এ জেলায় খাবার পানির তীব্র সংকট রয়েছে। খাবার বা সুপেয় পানির জন্যে এ জেলার মানুষ পুকুরের পানি ব্যবহার করে থাকে। সুপেয় পানির জন্যে প্রশিদ্ব রয়েছে, হযরত খানজান আলী (রহঃ) এর আমলে তারই খননকৃত বাগেরহাট শহরের পাশে “পঁচা দীঘি”। আর এ পঁচা দীঘি বাগেরহাট পৌরবাসীর সুপেয় পানির রিজার্ভ ট্যাংকি হিসাবে খ্যাত।এই দীঘি থেকে পানি নিয়ে জীবন বাচান হাজার হাজার এলাকাবাসী

এ দিঘিতে বরশি দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নেওয়ায় ফুসে উঠেছে এলাকা বাসী। আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দুই দিন ১১৫ টি ঘাটে মোট ২৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সৌখিন বৈশ্যেলদের জন্য বরশিবাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এলাকাবাসী জানান, এই পঁচা দীঘির পানি আমাদের এই আসপাশের জন সাধারন ব্যাবহার করেন। বরশি বাওয়ার কারনে পানি দুষিত হয় আমরা পানি খেতে পারি না। সৈরাচার হাসিনা সরকারের সময় শেখ পরিবারের সহযোগীতায় বরশি বাওয়া হতো এসময় আমরা এই দীঘির পানি ব্যাবহার করতে পারিনাই। সে সময় শেখ পরিবারের বিরুদ্বে কথা বলতে পারিনাই। এখন অন্তবর্তিকালিন সরকারের সময় ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে বরশি দিয়ে মাছ ধরছে এটা কি ধরনের আচরন।
এবিষয়ে কাড়াপাড়া মির্জাপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সদস্য শুকুমার বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসক মহদয়ের সাথে আমাদের যে শর্ত ছিল সেখানে ৭ নং সর্তে বলা হয়েছে জনস্বাস্থ্য হানিকর ও পানি দূষন কারী কোন দ্রব্য ব্যাবহার করতে পারবেন না। সেখানে কেমিক্যাল দিয়ে বিভিন্ন চার বানিয়ে বরশি বাইলে পানি দূষন করা হবে। তাহলে আমরা ৭ নং শর্ত অনুযায়ী এ শর্ত ভঙ্গ করা হল বলে মনে করি।

কাড়াপাড়া মির্জাপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ দিদারুল আলম বলেন, ২০১১ সালে আমরা আমাদের এই সমিতি প্রতিষ্ঠা করি। আমরা প্রতিদুই বছর পর পর এই সমিতির কমিটি গঠন করি আমাদের এই সমিতির মোট ২১ জন সদস্য রয়েছে তাদের মধ্য থেকে আমরা সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত করি। সম্প্রতি এই সমিতি দেকভাল করেন আলমগীর হোসেন এবছরের কোন হিসাব নিকাশ আমরা পাই নাই বিভিন্ন সময় এই আলমগী আমাদের না জানিয়ে কমিটি উপহার দেয় এটা কি করে সম্ভাব নিয়োম নিতির তোয়াক্কা নাকরে মন গড়া কমিটি দাখিল করছে। এই যে, বরশি বাওয়া দিয়েছে আমাদের কমিটির সাথে কোন আলোচনা না করে কি করে আলমগীর মাছ ধরছে এটা সম্পূর্ণ অনিয়ম আমরা এবিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

নাম প্রকাশ না শর্তে এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমাদের এলাকার খাবার পানি উপযুগি একমাত্র পুকুর “পচাদীঘি”। এ পুকুরে পানি আমরা খাই এবং গৃহস্থলির কাজে ব্যবহার করি।কিন্তু একটি স্বার্থনেশ্বীমহল এ পুকুরে মেডিসিন দিয়া টিকিটের বিনিময় মাছ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ পুকুরে মেডিসিন দিয়া মাছ ধরলে পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে যাবে। এ পুকুরের পানি নষ্ট হলে আমাদের কষ্টের সীমা থাকবে না।

এদিকে জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর বাগেরহাট এর নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত মল্লিক বলেন, ২০২১-২০২২ সালের অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যায়ে পৌর বাসির জন্য পঁচা দীঘিতে সুপেয় পানির জন্য রিজার্ভ ট্যাংকি স্থাপন করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, পঁচা দীঘিতে যদি কেমিক্যাল ব্যবহার করে বরশি দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি চলে থাকে, তার কারণে যদি পানি নষ্ট হয় আমি বিষয়টি বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ ২৫ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

গাজীপুরে বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় কারখানায় ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার টঙ্গী, মহানগর, শ্রীপুর জয়দেবপুর এর বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের আন্দোলন শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সকাল ৯টা থেকে গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৩ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে এমট্রানেট গ্রুপ লিমিটেড নামে কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন পিনাকি গ্রুপ, ড্রেস ম্যান ও নোমান গ্রুপের শ্রমিকরা। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শ্রমিকও অংশ নেন। দুপুর আড়াইটার দিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ, পুলিশ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের দাবি মেনে নেন। পর এমট্রানেট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা সুজন, লাকি, সফিউল্লাহ, সুমন, পিএম মো. রানা, রফিক, সুপারভাইজার মুসা, নিলুফা, শান্তা, পিএম ফরিদ ও ওয়াহিদের পদত্যাগের দাবিতে বিকেল ৩টার পর থেকে আবারও আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা।
টঙ্গীর এমট্রানেট গ্রুপের শ্রমিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবিগুলো কয়েক বছর যাবৎ মৌখিক ও লিখিতভাবে উপস্থাপন করে আসছি। আজ মঙ্গলবার সকালে আমরা পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা একত্রে মিলে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছি।
অপরদিকে,শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার মেঘনা গ্রুপের হাই ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকরা ১৪ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী হাউ আর ইউ টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকদের বের করে আনতে গেলে হামলার শিকার হন হাই ফ্যাশনের শ্রমিকরা। এতে উত্তেজিত শ্রমিকরা হাউ আর ইউ টেক্সটাইলে ঢুকে ভাঙচুর চালান।
এদিকে, জেলার জয়দেবপুর থানার নতুন বাজার এলাকার এসএম নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় কারখানায় প্রবেশ করে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে অ্যাসরোটেক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা দুপুর ১২টার দিকে কারখানার প্রধান গেটে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে এসএম নিটওয়্যার ও অ্যাসরোটেক্স  লিমিটেডের শ্রমিকরা এ্যাপারেলস্-২১ লি. ও গ্রিন ফাইবার কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার গেটে গেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই দুটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেন। পরে দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকরা যার যার অবস্থান থেকে সরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন,  কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর দুপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, বিজিবির সঙ্গে মিলে পুলিশ কাজ করছে।

পূর্ব শত্রুতার জেরে গাজীপুরে বসতবাড়ীতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট আহত-৫

পূর্বশত্রুতার জেরে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার ৩২নং ওয়ার্ডের মৈরান এলাকায় একটি পরিবারের ৫ সদস্যের উপর হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার (২৭আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় ভূক্তভূগী পরিবারের ইসমাইল (৪০) নামে এক ভুক্তভোগী সদস্য বাদী হয়ে মহানগরীর গাছা মেট্রোপলিটন থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে দশটায় ভূক্তভূগী মৈরান এলাকায় তার নিজ বাড়ীর সামনে অবস্থান করাকালীন মহানগরীর ৩২নং ওয়ার্ডের মৈরান এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে সফর আলী (৫৮), সফর আলীর ছেলে রিটন মিয়া (৪২), মৃত সিরাজ মিয়ার দুই ছেলে শুক্কুর আলী ওরফে বিমল (৪৪) ও শ্যামল মিয়া (৪৭), সফর আলীর ছেলে খোকন মিয়া (৪০), মৃত তাহের আলীর ছেলে ইমন আলী (২০), রিটন এর ছেলে সাজ্জাদ (২১), মনির হোসেন এর ছেলে হাসানসহ (২২) আরও অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক এ হামলায় অংশ নেয়।

প্রতিপক্ষরা ভূক্তভূগী পরিবারের সদস্যদের উপর দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র ( রামদা, ছেন, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় গুরুতর আহত হন ভূক্তভুগী পরিবারের কয়েকজন সদস্য। অভিযোগকারি উল্লেখ করেন অভিযুক্ত সফর আলীর হুকুমে শুক্কুর আলী ওরফে বিমল এর হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে ভূক্তভূগী ইসমাইলকে কোপ দেয়। সেই কোপ ফেরাতে গিয়ে ইসমাইলের জেঠাত ভাই আ. মতিন (৫০) দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন। এসময় আব্দুল মতিন মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তাকে রড দিয়ে বেধম মারধর করা হয়।

এসময় মারধর ফেরাতে এসে গুরুতর আহত হন ইসমাইলের জেঠি বৃদ্ধা মোসা. রেজিয়া বেগম (৬০)। মারধর হতে রক্ষা করতে এগীয়ে এসে আহত হন ভূক্তভূগী অভিযোগকারির চাচাতো বোন মোসা. ইতি (২৬)। এসময় অভিযুক্ত ইমন ইসমাইলের বুক পকেট থেকে ১০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ারও অভিযোগ করেন। মারধর ঠেকাতে এগিয়ে আসেন ভূক্তভূগী ইসমাইলের সহদর বোন মোসা. রহিমা (৪২)। তাকেও লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্রাঘাতে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এছাড়াও অভিযুক্তরা ভূক্তভূগীর বসত বাড়ীঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক (৫০০০০০) টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

এঘটনায় দেশীয় অস্ত্রাঘাতে অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়ে চিৎকার চেচামেচির খবরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভূক্তভূগী পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনা কাউকে জানিয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করলে তাদের প্রাণ নাশ পরবর্তী লাশ গুম করে ফেলারও হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা বলেও অভিযোগ শুত্রে জানা গেছে। ভূক্তভূগী পরিবার জানায় চিকিৎসা গ্রহণ পরবর্তী স্থানীয় গণ্যমান্যদের অবগত করে থানায় অভিযোগে কিছুটা বিলম্ব হলো।

অভিযোগ দেয়ার পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবার আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। রাস্তাঘাটে দেখা হলে প্রতিপক্ষরা বলেন, তোদের বাড়িতে গিয়ে মারধর করেছি কিছুই করতে পারলি না।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় রিটন মিয়া ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বতর্মান আহবায়ক সদস্য। একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি।

এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভূগী পরিবারের স্বজনরা।

এ বিষয় গাছা থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয় মামলা করার জন্য বললে উভয় পক্ষ কিছু দিন সময় নেন বলে আমাদের জানান।

রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (আরডিএ) নাগরিক সেবায় ব্যাপক পরিবর্তন

মো. মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী : রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আরডিএ’তে ইমারত নকশা অনুমোদন নাগরিক সেবা জনবান্ধব করতে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে।

গত ২৯ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষের নবাগত চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট অথরাইজড অফিসারের সাথে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

জানা গেছে, এক শ্রেণীর দালাল চক্রের খপ্পরে পরে সেবাগ্রহীতারা আরডিএ’তে গিয়ে প্রকৃত সেবা পায় না। দালালরা বিভিন্ন নামে টাকা দাবি করে এবং চক্রের খপ্পরে পড়ে হয়রানি হয় বলেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে গ্রাহকরা সরাসরি সেবা পাবেন। সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নকশার আবেদন জমা দিতে পারবেন।

দায়িত্বরত কর্মচারী তা গ্রহণ করে রশিদ দিবেন। রশিদ এ আবেদনকারীর করণীয় ও কতদিনের মধ্যে সে সেবা পাবেন তার উল্লেখ থাকবে এবং সেই সময়ের মধ্যেই সেবাটি পাবেন। প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আবেদন নিষ্পত্তিপত্র বা আনুমোদন সংগ্রহ করতে পারবেন।

আবেদন কোথায়, কিভাবে, কত টাকায় পাওয়া যাবে তা হেল্প ডেস্কের সামনের বোর্ডে দেয়া আছে। কোন ধরণের আবেদনের জন্য কত টাকা ফি দিতে হবে তা নোটিশ বোর্ডে উল্লেখ করা আছে। আবেদন জমা দেয়ার জন্য কোনো প্রকার দালাল বা কারো মাধ্যম প্রয়োজন হবে না।

সেবাগ্রহীতা কোনো সেবা পেতে সমস্যা হলে সরাসরি অভিযোগ দিয়ে তার প্রতিকার নিবেন। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী ঘুষ চাইলে বা হয়রানি করলে অভিযোগ বক্সে অভিযোগ দাখিলসহ সরাসরি চেয়ারম্যানকে অবহিত করতে পারবেন।

গণশুনানির মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিকের সেবা নিশ্চিত করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন আরডিএ কতৃপক্ষ। বিভিন্ন সময়ে আরডিএ’তে হয়রানির শিকার হন মর্মে অভিযোগ আসে বলেই এমন উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাটি বাহিরের কিছু দালাল কতৃক হয়রানি বন্ধে নতুন এ পরিবর্তন করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে এমন উদ্দ্যোগ দেখা যায়। এসময় সেবাগ্রহীতা অনেকেই এমন উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে।

জানতে চাইলে অর্থরাইজ অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, যে কোন আবেদনকারী তালিকাভুক্ত যে কোন স্থপতি বা প্রকৌশলী দিয়ে নিজের পছন্দমত নকশা তৈরি করে নিতে পারবেন এবং নিজেই হেল্প ডেস্কে এসে সরাসরি আবেদন জমা দিতে পারবেন। ৷

সরকারের নির্ধারিত ফি পে অর্ডার এর মাধ্যমে জমা দিবেন। অনুমোদনের জন্য অতিরিক্ত কোন টাকা কাউকেই দেয়ার প্রয়োজন নেই। যদি কেউ কোন টাকা দাবি করে তাহলে তাৎক্ষণিক তা চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করবেন।

এব্যপারে জানতে চাইলে নবাগত চেয়ারম্যান এস এম তুহিনুর আলম বলেন, সেবা নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করছি। মনিটরিং করছি। এক্ষেত্রে জনগণেরও সহযোগিতার প্রয়োজন।

বাগেরহাটে শেখ হাসিনার বিচারের দাবীতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার : শেখ হাসিনার বিচারের দাবীতে বাগেরহাটে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন বিএনপি। 

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আয়োজনে বুধবার সকাল ১১টায় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এই  অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাগেরহাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে এসে জড়ো হয় নেতাকর্মীরা।

অবস্থান কর্মসূচির শুরুতে জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম সালামসহ আরো অনেকে। বক্তারা ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচারের দাবী জানান।

দেশের ক্রান্তিলগ্নে যানযট নিরসন, খাবার পানি ও বিস্কুট বিতরণ করেন লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি ও লিও ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ সিটি

শায়েস্তাগঞ্জ এ প্রতিটা মোড়ে ট্রাফিকে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবীরা

তুহিনুর রহমান তালুকদার, স্টাফ রির্পোটার : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ট্রাফিকের দায়িত্ব নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীরা। শুক্রবার (৯ আগস্ট সকাল থেকে শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যানজট নিরসনের জন্য তাদের কাজ করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। কারো হাতে লাঠি, মুখে বাঁশি। ট্রাফিক পুলিশের মতো ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা।

এদিকে রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনকে দেখা যায়নি। তবে সতর্কতা অবস্থানে দেখা গিছে সেনাবাহিনীদের। ট্রাফিকের সমন্বয়কারী হিসেবে যিনি ছিলেন উন্নয়ন সমাজসেবা পরিষদ এর দায়িত্বশীলরা, এইচ.শাহিন আলম প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ও তানভীর আহম্মদ সিনিয়র-সভাপতি, আল আমিন সাঈফী অত্র সংগঠন। ‘সকাল থেকেই শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন মোড়ে উদ্যোগে অবস্থান করি। যাতে যানজট না হয়।’

এতে অনেক সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন অনেক পথচারী এবং দুপুরের কর্মরত শিক্ষার্থীদেরকে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন ফারদিন-মারদিন হোটেলের মালিক,আব্দুল আহাদ।

যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আলিফ সুবান ডিগ্রী কলেজ মিরপুরের BNCC সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট টুমরো সকল, সদস্য বৃন্দ। আরও ছিলেন মহিউদ্দিন,শায়েস্তাগঞ্জ।

বৃন্দাবন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোছাম্মদ মীর শিমু আক্তার। উন্নয়ন সমাজসেবা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাহিন আলম, এদের সকলের মনিটরিং করেছেন: সমন্বনয়ক আল আমিন সাইফী।

এ অবস্থায় শহরবাসীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব বোধ থেকে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না আসা পর্যন্ত এই কাজ চালিয়ে যাব।’

পথচারীরা বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে। এতে আরো বেশি ভালো লাগছে।’ তারা বলেন, নতুন উদ্যোগে, নতুন উদ্যমে দেশটি এগিয়ে যাক। রিকশাচালক কাওসার মিয়া জানান, ছাত্ররা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে, দেখে খুব ভালো লাগছে।।

পাহাড়ি ঢলে তলিয়েছে সড়ক; সাজেকে  আটকে পড়েছে কয়েকশো পর্যটক

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাচাঁলং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আবারো ভয়াবহ বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে।

এরই মধ্যে সাজেক দিঘীনালা সড়কসহ অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাঘাইছড়ির সাথে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সাজেকে আটকে পড়েছে ৩৮৪ পর্যটক।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার পর্যটকদের আটকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজেকে গত দুইদিনে ৩৮৪ জন পর্যটক বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছে।

টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত ছয় মাসে তৃতীয় বারের মতো বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে বাঘাইছড়ি।

এদিকে মারিশ্যা দিঘিনালা সড়ক ও আসপাশের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের আশংকা দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে এছাড়া মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কে যানচলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

টঙ্গীতে পরিবেশ নদী বায়ু দূষণ ডেঙ্গু মশার উৎপাতে জনসচেতনতার দাবিতে মানববন্ধন

কালিমুল্লাহ ইকবাল, টঙ্গী, গাজীপুর : গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী এলাকার বিসিক শিল্প নগরীর ফকির মার্কেট এলাকায় পরিবেশ নদী বায়ু দূষণ ডেঙ্গু মশার উৎপাতে জনসচেতনতার দাবিতে সাধারণ আলেম-ওলামা ঐক্য পরিষদ মানববন্ধন করেছে।

বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই সকাল সাড়ে ১১ টায় ফকির মার্কেট সংলগ্ন টঙ্গী বিসিকে গাজীপুর মহানগর জেলা শাখার সাধারণ আলেম-ওলামা ঐক্য পরিষদের ক্বারী মাওলানা আমির হোসেনের নেতৃত্বে ও সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নদী বাঁচাল আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবাল, শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মো. ইউসুফ, ছাত্র পরিষদ থেকে বক্তব্য রাখেন মো. ইয়াসিন সহ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিল্প বর্জ্যে প্রতিনিয়তই আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে। শিল্প বর্জ্য পরিশোধন না করেই সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন কারখানার মালিকদের উদাসিনতায় পরিবেশ ক্ষতি হচ্ছে। তারা আইন না মেনে যত্রতত্র বর্জ্য অপসারণ করছেন।

এ সময় বক্তারা কারখানার মালিকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। বক্তারা আরো বলেন, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ, আবাসন তৈরি ও যেখানে-সেখানে বর্জ্য ফেলার কারণে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে সাধারণ মানুষ দূর্ভোগে পড়ছে, বর্তমান এই বর্ষা মৌসুমের ডেঙ্গু মশার উৎপাত বেড়ে চলছে। তাই এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।