Advertisement

প্রশাসনিক ব্যর্থতা স্বীকার করে স্বেচ্ছায় অধ্যক্ষের পদত্যাগ ; বেতন না পেয়ে বিপাকে কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা

সোনালী ভোর প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ হাওলাদার গত ২৭ আগস্ট স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। ঐদিন বিকেলে কলেজের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক, গাজীপুর বরাবরে লেখা পদত্যাগ পত্রে তিনি নিজের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছেন।

বর্তমানে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক পদে বহাল না থাকায় সভাপতি ও অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ।

অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, অধ্যক্ষ হারুর অর রশিদের স্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করার সুবাদে ভিসি হারুনুর রশিদের অনুকম্পায় প্রথমে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। পরে অধ্যক্ষ পদ শূন্য হলে সেই পদে ভারপ্রাপ্ত থাকাবস্থায় প্রসেসিং করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত না দিয়ে নিজের পছন্দের শিক্ষককে বসিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে অধ্যক্ষ পদ ভাগিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ, শিক্ষক গ্রুপিং তৈরি, ফেইসবুক প্রোফাইলে আওয়ামী দলীয়করণের ছবি, ছাত্রদের ব্যবহার করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করা, বিভিন্ন পরীক্ষার সময় অন্য কলেজ থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দূর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে দূর্নীতি দমন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ করে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়াসহ মোট আঠারোটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করছে দূদক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি।

ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজের অধ্যক্ষকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে রিপোর্ট পেশ করেছেন। তবে শুধু সম্পদের তথ্য বিষয়ক আরো বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করার জন্য ডিজি অফিস আরেকটি চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যক্ষ বিএম আব্দুল হান্নান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের কলেজ থেকে প্রাপ্ত বেতন দেয়া বন্ধ করে দেন তিনি। ফলে এমপিওহীন শিক্ষক কর্মচারীগণ গত দুই মাস যাবৎ বেতন না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। নতুন জেলা প্রশাসক যোগদান করার সাথে সাথে এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চান শিক্ষক কর্মচারীগণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ছাত্রলীগ দিয়ে এই আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করার অভিযোগও রয়েছে অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ এর বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পদত্যাগে বাধ্য হন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ।

তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। অভিযোগকারীর নাম ও মোবাইল নাম্বারের কোনো অস্তিত্ব নেই। তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেন।”

ফকিরহাটে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সৈয়দ ওবায়দুল হোসেন, বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় আনিকা সুলতানা নিশি (২০) নামে নার্সিং পড়ুয়া এক কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং এর শেষ বর্ষের ছাত্রী নিশি ফকিরহাট উপজেলার জয়পুর গ্রামের শেখ আরিফুল ইসলামের মেয়ে।

ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম শেখ নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার ভোররাতে পরিবারের লোকজন নিশিকে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা শেখ আরিফুল ইসলাম জানান, এক বছর আগে আনিকা সুলতানা নিশির সাথে খুলনা পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে গাজী তানজিম শাহেদ সামিও ওরফে জোনায়েদের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হতে থাকে। এরই জের ধরে স্বামীর ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

এদিকে ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার তাদের বিবাহবার্ষিকী ছিলো বলেও জানান তিনি।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে।

রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (আরডিএ) নাগরিক সেবায় ব্যাপক পরিবর্তন

মো. মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী : রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আরডিএ’তে ইমারত নকশা অনুমোদন নাগরিক সেবা জনবান্ধব করতে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে।

গত ২৯ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষের নবাগত চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট অথরাইজড অফিসারের সাথে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

জানা গেছে, এক শ্রেণীর দালাল চক্রের খপ্পরে পরে সেবাগ্রহীতারা আরডিএ’তে গিয়ে প্রকৃত সেবা পায় না। দালালরা বিভিন্ন নামে টাকা দাবি করে এবং চক্রের খপ্পরে পড়ে হয়রানি হয় বলেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে গ্রাহকরা সরাসরি সেবা পাবেন। সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নকশার আবেদন জমা দিতে পারবেন।

দায়িত্বরত কর্মচারী তা গ্রহণ করে রশিদ দিবেন। রশিদ এ আবেদনকারীর করণীয় ও কতদিনের মধ্যে সে সেবা পাবেন তার উল্লেখ থাকবে এবং সেই সময়ের মধ্যেই সেবাটি পাবেন। প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আবেদন নিষ্পত্তিপত্র বা আনুমোদন সংগ্রহ করতে পারবেন।

আবেদন কোথায়, কিভাবে, কত টাকায় পাওয়া যাবে তা হেল্প ডেস্কের সামনের বোর্ডে দেয়া আছে। কোন ধরণের আবেদনের জন্য কত টাকা ফি দিতে হবে তা নোটিশ বোর্ডে উল্লেখ করা আছে। আবেদন জমা দেয়ার জন্য কোনো প্রকার দালাল বা কারো মাধ্যম প্রয়োজন হবে না।

সেবাগ্রহীতা কোনো সেবা পেতে সমস্যা হলে সরাসরি অভিযোগ দিয়ে তার প্রতিকার নিবেন। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী ঘুষ চাইলে বা হয়রানি করলে অভিযোগ বক্সে অভিযোগ দাখিলসহ সরাসরি চেয়ারম্যানকে অবহিত করতে পারবেন।

গণশুনানির মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিকের সেবা নিশ্চিত করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন আরডিএ কতৃপক্ষ। বিভিন্ন সময়ে আরডিএ’তে হয়রানির শিকার হন মর্মে অভিযোগ আসে বলেই এমন উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাটি বাহিরের কিছু দালাল কতৃক হয়রানি বন্ধে নতুন এ পরিবর্তন করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে এমন উদ্দ্যোগ দেখা যায়। এসময় সেবাগ্রহীতা অনেকেই এমন উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে।

জানতে চাইলে অর্থরাইজ অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, যে কোন আবেদনকারী তালিকাভুক্ত যে কোন স্থপতি বা প্রকৌশলী দিয়ে নিজের পছন্দমত নকশা তৈরি করে নিতে পারবেন এবং নিজেই হেল্প ডেস্কে এসে সরাসরি আবেদন জমা দিতে পারবেন। ৷

সরকারের নির্ধারিত ফি পে অর্ডার এর মাধ্যমে জমা দিবেন। অনুমোদনের জন্য অতিরিক্ত কোন টাকা কাউকেই দেয়ার প্রয়োজন নেই। যদি কেউ কোন টাকা দাবি করে তাহলে তাৎক্ষণিক তা চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করবেন।

এব্যপারে জানতে চাইলে নবাগত চেয়ারম্যান এস এম তুহিনুর আলম বলেন, সেবা নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করছি। মনিটরিং করছি। এক্ষেত্রে জনগণেরও সহযোগিতার প্রয়োজন।

গনতন্ত্রের স্বার্থে সুষ্ঠ নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে- কৃষিবিদ শামীম

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেছেন, একটা সুষ্ঠ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকতে হবে। সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপির ইতিহাস গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ইতিহাস। গনতন্ত্রের স্বার্থে সকল নেতাকর্মীকে দলের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান কেন্দ্রীয় এই নেতা।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কালেখার বেড় দীঘির পাড় এলাকায় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান তুহিন, বিএনপি নেতা অজিয়ার রহমান প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।

গাজীপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান

গাজীপুর প্রতিনিধি : অদ্য ৩০ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় গাজীপুর ভাওয়াল রাজবাড়ীর সম্মুখ প্রাঙ্গনে অবস্থিত  গণ “অভ্যুত্থান ২০২৪ গবেষণা কেন্দ্র’র” উদ্যোগে ছাত্র-জনতা ও গণ অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

গণ অভ্যূত্থান ২০২৪ গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য ও গবেষণা সেলের প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা এ এম আশরাফ হোসেন টুলু, মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান জুন্নুরাইন সোহেল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ প্রিন্সিপাল হুমায়ুন কবির, দৈনিক যুগান্তর জেলা প্রতিনিধি শাহ সামসুল হক রিপন, বিশিষ্ট সাংবাদিক অধ্যাপক আবুল হোসেন চৌধুরী, গাজীপুর ট্যুরিষ্ট ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, গাজীপুর ট্যুরিষ্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সস্পাদক অধ্যাপক রফিক আলম, যুগান্তর স্বজন সভাপতি মো. আমান উল্লাহ আমান।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ, মিজানুর রহমান তালুকদার, শেখ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, মেহেদী হাসান সীরাজ, নাদিম মাহমুদ ও সিয়াম খান।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ও উপস্থাপিকা কামরুননাহার মুক্তা এবং সংবাদ পাঠক ও উপস্থাপক শফিউল আলম শফি।

অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্য বিরোধী গণ অভ্যুত্থানে সকল আহতদের সুস্থতা ও সকল শহীদের স্মরণে দোয়া করা হয়।

মরহুম ডা. জাফর উল্লাহর স্ত্রীর বিরুদ্ধে জিডি করে ন্যায় বিচার চাইলেন ডা. নাজিম

কালিমুল্লাহ ইকবাল, টঙ্গী, গাজীপুর : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাসপাতাল থেকে জোর করে পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদে টঙ্গীতে নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ। এর আগে তিনি মরহুম ডা. জাফর উল্লাহর স্ত্রীসহ কয়েকজন ডাক্তারের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন।

সোমবার (২৬ আগষ্ট) বিকেলে টঙ্গীর আনারকলি রোডে নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ।

সম্মেলনে বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফর উল্লাহর মৃত্যুর পর ট্রাস্টি মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২৪ আগষ্ট একদল লোক এসে জোর করে তার নিকট থেকে কাজ না করার কথা লিখে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি জিডিও করেন ডা. নাজিম। জিডিতে মরহুম ডা. জাফর উল্লাহর স্ত্রী ডা. শিরিন হক, ডা. কনা চৌধুরী, ডা. ফরিদা ইয়াসমিন ও ডা. আবুল বাসারের নির্দেশে একদল বহিরাগত লোক জোরপূর্বক অফিসে প্রবেশ করে পদত্যাগের কাগজে স্বাক্ষর নেয়। কাগজে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সকল কাজ থেকে অব্যাহতি নেয়ার কথাও লিখানো হয়েছে।

সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আমিই একমাত্র বৈধ ট্রাস্টি। আমার কাছ থেকে জোরকরে কাজ না করার কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। আমাকে হেনস্তাও করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বর্তমান সরকারের নিকট ন্যায় বিচার দাবী করছি।

সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশতাক, আমজাদ আলী সরকার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. আ. রাজ্জাক মিয়া সহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কখন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

এস এম ইকবাল হোসেন, সম্পাদক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন কখন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়।

গতকাল ২৫ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণ বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের সংকটকালে ছাত্রদের আহ্বানে আমরা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়।

তিনি বলেন, একটা বিষয়ে সবাই জানতে আগ্রহী, কখন আমাদের সরকার বিদায় নেবে। এটার জবাব আপনাদের হাতে, কখন আপনারা আমাদেরকে বিদায় দেবেন। আমরা কেউ দেশ শাসনের মানুষ নই। আমাদের নিজ নিজ পেশায় আমরা আনন্দ পাই। আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীও এই লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই মিলে একটা টিম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, গণরোষের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশ ত্যাগ করার পর আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যেখানে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার থাকবে পুরোপুরি সুরক্ষিত। আমাদের লক্ষ্য একটিই; উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমরা এক পরিবার। আমাদের এক লক্ষ্য। কোনো ভেদাভেদ যেন আমাদের স্বপ্নকে ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র দুই সপ্তাহ শেষ হলো। কর্ম যাত্রার প্রথম পর্যায়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে আপনাদের কাছ থেকে যে সমর্থন পাচ্ছি সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা অনুধাবন করছি যে আমাদের কাছে আপনাদের প্রত্যাশা অনেক। এ প্রত্যাশা পূরণে আমরা বদ্ধপরিকর। যদিও দীর্ঘদিনের গণতন্ত্রহীনতা, ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের জন্য পর্বতসম চ্যালেঞ্জ রেখে গিয়েছে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত। আজ আমি সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করতে আপনাদের সামনে এসেছি। শুধু আমি বলবো আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে।

নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ধৈর্য ধরতে ও সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখনই সব দাবি পূরণ করার জন্য জোর করা, প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যক্তিবিশেষকে হুমকির মধ্যে ফেলা, মামলা গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা, বিচারের জন্য গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আদালতে হামলা করে আগেই এক ধরণের বিচার করে ফেলার যে প্রবণতা তা থেকে বের হতে হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের গৌরব ও সম্ভাবনা এসব কাজে ম্লান হয়ে যাবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টাও এতে ব্যাহত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে সফল আমাদের হতেই হবে।

তিনি বলেন, নড়বড়ে এক কাঠামো। আমি বলব, জনস্বার্থের বিপরীতে গঠিত এক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের দেশ সংস্কারের কাজে হাত দিতে হয়েছে। আমরা এখান থেকেই বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেন এদেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস হয়। বিশ্ব দরবারে একটি মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবারকে জামায়াতের আর্থিক সহায়তা প্রদান

রবিউল ইসলাম, বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও শহীদ পরিবারে নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠান আজ শনিবার বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারকে সান্তনা দিয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, ছাত্র জনতা দীর্ঘ স্বৈরশাসনের পতনের জন্য যে আন্দোলনের বীন বাজিয়েছিল, সেই আন্দোলনে শরিক হয়ে এদেশের ১০০০ ছাত্র-জনতা শাহাদাত বরণ করেছেন। জীবন-মৃত্যুর মালিক একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহই। যারা দেশের প্রয়োজনে স্বৈরশাসক উৎখাতের জন্য জীবন দিয়ে ইমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছেন, তাদেরকে যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষ স্মরণ করবে। হকের জন্য তারা জীবন দিয়েছেষ। তাদেরকে কেউ মৃত বলিও না।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, রক্তের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দৃঢ প্রতিজ্ঞ। নতুন রাষ্ট্র বিনির্মানে এই সরকারকে সহযোগীতা করার অঙ্গীকার করেছে জামায়াতে ইসলামী। এই রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে অসংগতি রয়েছে তা পুনঃগঠনে সময়ের প্রয়োজন। তাই জামায়াতে ইসলামী যতটুকু সময় প্রয়োজন এই সরকারকে সহযোগীতা করবে। সকল অসংগতি দূর হওয়ার পর একটি অবাধ ও সুষ্ঠ, গ্রহন যোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করে। যার ভোট সে দিবে। এতে কেউই বাঁধা হতে পারবে না। এই ভোটের মাঠ সৃষ্টি করতে যত অসংগতি আছে তা দূর করার জন্য এই সরকারকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহয়োগীতা করবে।

এই সরকার যাতে স্থায়ীত্ব পেতে না পারে সে জন্য চক্রান্ত চলেছে। মিলিটারী ক্যু, জুড়িশিয়াল ক্যু শুধু নয় নতুন নতুন চক্রান্ত করে এই সরকারকে হটাতে চাচ্ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধোয়া তুলেছিল জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে। কিন্তু সকল চক্রান্ত নস্যাত করেছে জামায়াত শিবির। বাংলাদেশের মন্দিরে মন্দিরে জামায়াত শিবির পাহারা দিয়েছে। সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশী। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, মুসলমান সকলের এই দেশ। বাংলাদেশে সমান অধিকার নিয়ে বসবাসের অধিকার সবার আছে। মূলত হিন্দুদের জমি দখল, মন্দির ভাংচুর, নির্যাতনের যত ঘটনা সবিই আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ ঘটিয়েছে। মূলত এরাই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধোয়া তুলে সেকুলারদের নিকট ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল। তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবশিত হয়েছে। তাই তারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেই প্রজ্ঞাপন দেয়ার ৪ দিনের মধ্যে সমূলে পলায়ন করেছে আওয়ামীলীগ।

বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রিয় মজলিশের সূরা সদস্য মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়ার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য, খুলনা মহানগরীর সাবেক আমীর ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাও. আবুল কালাম আজাদ, খুলনা মহানগরী আমীর, সাবেক কাব সদস্য ও কেন্দ্রিয় শূরা সদস্য অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, বাগেরহাটের সাবেক জেলা আমীর ও খুলনা অঞ্চল টিমের সদস্য অধ্যক্ষ মাও. মশিউর রহমান খাঁন, জেলা নায়েবে আমীর, কেন্দ্রিয় মজলিশে শূরার সদস্য ও বাগেরহাট -৩ এর সংসদ সদস্য প্রার্থী এ্যাড. মাও. শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা সেক্রেটারী ও সাবেক ছাত্র নেতা শেখ মোহাম্মদ ইউনুস আলী, জেলা সহকারী সেক্রেটারী ও সাবেক ছাত্র নেতা অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, মিজানুর রহমান মল্লিক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম, যুব বিভাগ সভাপতি ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মঞ্জরুল হক রাহাদ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের বাগেরহাট জেলা সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফ, সাবেক কাব সদস্য শেখ এনামুল কবির, বাগেরহাট পৌরসভা আমীর এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ও বাগেরহাট সদর উপজেলা আমীর ডা. ফেরদৌস আলী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, এই ভাঙ্গা-চুরা দেশে আজ গড়ব আমরা নতুন তাজমহল। আমাদের দামাল ছেলেরা তাদের বুকের রক্ত দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ গড়ে দিয়েছে, তা ধরে রাখতে আমারে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাগেরহাট জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৫ শহীদ পরিবারের প্রত্যেক অভিভাবককে দুই লক্ষ করে টাকা প্রদান করেন।

সৌদি আরবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রেড অ্যালার্ট জারি

কামাল খান, সৌদি আরব প্রতিনিধি : সৌদি আরবে ভারী বৃষ্টিপাতে অনেক রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। রাস্তার অনেক স্থানে গাড়ি ডুবে রয়েছে। এর মধ্যে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষেবা মক্কাতে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সকর্তকতা জারি করেছে।

সৌদি আরব প্রতিনিধি কামাল খান আরো জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৌদি আরবের বেশ কিছু অঞ্চলে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তায়েফ, আরদিয়াত, আদম, বনি ইয়াজিদ এবং মেসান অঞ্চল। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর থেকে জারিকৃত এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতেরও সংকেত দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে মক্কার নিজরান, জিঝান, আসির, আল বাহাতে বজ্রপাতের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে সতর্ক করলো জাতিসংঘ ত্রিপুরায় আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে জিঝান, আসির, আল বাহা, মক্কা এবং মদিনাতে মেঘের উপস্থিতি বাড়তে দেখা গেছে। এছাড়া জিঝান এবং আসিরে ব্যাপক বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটে। অনেক স্থানে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে।

ছাত্র-যুব-জনতার গণ অভ্যুত্থানোত্তোর সাম্য ও অধিকারের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এবি যুবপার্টির মতবিনিময়

গোলাম রসুল দিনার, গাজীপুর সদর মেট্রো থানা প্রতিনিধি : গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এবি পার্টির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এবি যুবপার্টির ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও গাজীপুরের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এবি যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদীউজ্জামান (খোকন) এর সঞ্চালনায় যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবিপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক এড. আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা। আরো উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জিসানের বাবা বাবুল সর্দার।

প্রধান অতিথি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি নতুন সুর্যোদয় হয়েছে। আওয়ামী লুটেরা দেশকে মেধা এবং নেতৃত্বশুন্য করতে চেয়েছিল। দেশের অর্থ সম্পদ লুটপাট করে দেশ ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছিল। ছাত্র-জনতার দেশপ্রেমের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে যুবকদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ফেণীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এই ক্রান্তিকালে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। ভারতীয় আগ্রাসন মোকাবেলায় রাজনৈতিক ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। দলমতের উর্ধ্বে উঠে আমাদেরকে দেশপ্রেমের প্রমাণ করতে হবে।

যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেন, যুবকেরা যেইদিন বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, সেইদিনই এই সরকারের পতন নিশ্চিত হয়েছে। তাই দেশের প্রয়োজনে তরুনদের এগিয়ে আসতে হবে। শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে দেশ আমরা পেয়েছি সেই দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি।

তিনি দেশের চলমান ভয়াবহ বন্যায় যুব সমাজকে সম্মিলিতভাবে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

মতবিনিময় সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন,  এবি যুবপার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, প্রচার সম্পাদক এড. তাসমিরুল ইসলাম উদয়, মাসুদ জমাদ্দার রানা, ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক আহমদ, সুলতানা রাজিয়া, গোলাম রসুল দিনার, শাহীনুর আক্তার শীলা, মাহমুদ আজাদ, রাশেদুল ইসলাম, নাছির উদ্দীন গালিব, মিজানুর রহমান, ইমরান হোসেন শিবলু, যুবনেতা শান্ত, শামীম ইকবাল, আরিফুল ইসলাম, নারীনেতৃ আফরোজ জাহান প্রমূখ।