Advertisement

আত্রাইয়ে জয় বাংলা ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন; সভাপতি চঞ্চল, সম্পাদক সজল

এমরান মাহমুদ প্রত্যয়, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার আওতাধীন জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ আত্রাই উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রবিউল ইসলাম চঞ্চলকে সভাপতি ও এসএএম সজলকে সম্পাদক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি আগামী ১বছরের জন্য অনুমোদন দিয়েছে নওগাঁ জেলা কমিটি।

জয় বাংলা ঐক্য পরিষদের নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি সাদেকুর রহমান বাধন ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান অন্তর এর সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক মহান মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নীতি আদর্শকে মর্যাদার সাথে প্রতিষ্ঠিত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জয় বাংলা ঐক্য পরিষদের আত্রাই উপজেলা শাখার অনুমোদন দেয়া হয়।

আগামী এক বছরের জন্য জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার আওতাধীন আত্রাই উপজেলা শাখার আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নওগাঁ জেলার দপ্তর সেল এ জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উক্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন টুকু, সহ-সভাপতি মো. আলামিন মল্লিক, সহ-সভাপতি মো. মাহিনুর ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদ উজ্জ্বল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবি হান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের হোসেন ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহাগ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তোফিকুল ইসলাম রিফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এবাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জেমস, প্রচার সম্পাদক মো. মহিদুল ইসলাম মহিদ, প্রচার সম্পাদক মো. সেকেন্দার আলী, ক্রীড়া সম্পাদক কেএম জাইফ আহসান, দপ্তর সম্পাদক মো. নিলয় খন্দকার জনি, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ হোসেন, সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, সদস্য মো. লিমন হোসেন, সদস্য সমিল শেখ, সদস্য আকাশ প্রমূখ।

পটুয়াখালীর গলাচিপায় সুশীলদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মো. নুহু ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার : ১০ জুলাই পটুয়াখালী জেলার গলাচিপায় সুশীলদের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নে বুধবার সকাল দশটায় দশে হরিদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার।

এছাড়া  উপস্থিত ছিলেন গোলখালী বৃহত্তম ইউনিয়নের সভাপতি সভাপতি আব্দুল হালিম হাওলাদার, সকল ইউপি সদস্য সচিব মহিলা ইউপি সদস্য শিক্ষক কাজী সকল ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, সুশীলন এনজিওর মাধ্যমে ইউনিয়নের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ও ঝরে যাওয়া শিশুরা সঠিক কেনান সামগ্রী পায় এতে পরিবারগুলো অনেক আনন্দিত। এই আনন্দ জাতির আমি তাদের সাফল্য কামনা করছি।

সোনারগাঁওয়ে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

জামান ভূঁইয়া, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ : বিএনপি চেয়ারম্যানপার্সন, তিনবারের প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি শিল্পপতি আলহাজ্ব আল মুজাহিদ মল্লিকের আয়োজনে ৬ জুলাই শনিবার বিকাল চারটায় বশিরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন শিল্পপতি জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আল মুজাহিদ মল্লিক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক রুনি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমেন খাঁন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব দলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসান লিটন, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালু, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আজহারুল ইসলাম সানোয়ার হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন বাবু, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইব্রাহিম ভূঁইয়া, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. আশ্রাফ ভূঁইয়া, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার মো. ওসমান ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক মো. রমজান ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. মশিউর রহমান শান্ত।

আরো যারা উপস্থিত ছিলেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম ভূঁইয়া, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. কাওসার আহম্মেদ, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আ. লতিফ মেম্বারসহ অনেক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন এ দোয়া মাহফিলে। প্রায় সহস্রাধিক বিএনপির নেতা কর্মী উপস্থিত থেকে দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করেন। দোয়া পরিচালনা করেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাওলানা মো. ফারুক হোসেন ।

উক্ত দোয়া মাহফিলে বক্তাগণ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির দাবী জানান।

উপস্থিত নেতা কর্মীগন জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি শিল্পপতি আলহাজ্ব আল মুজাহিদ মল্লিকের উপর আস্থা রেখে ভবিষ্যতে বিএনপির সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার উপর গুরুত্ব দেন। তাছাড়া সকলেই আল মুজাহিদ মল্লিক এর দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করেন । দোয়া শেষে উপস্থিত লোকজনের মাঝে বিরিয়ানির বক্স বিতরণ করা হয়।

মতিউরের বিরুদ্ধে পঞ্চম দফা অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক

গোলাম রসুল দিনার, গাজীপুর সদর মেট্রো থানা প্রতিনিধি : মতিউরের বিরুদ্ধে পঞ্চম দফা অনুসন্ধানে দুদক। ছাগলকাণ্ডে আলোচিত ইফাতের কথিত বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চারবার অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিবারই অনুসন্ধান পর্যায় থেকে শেষ হয়েছে কার্যক্রম। এক ধরণের অলিখিত ‘ক্লিনচিট’ দেয়া হয়েছে মতিউরকে। মতিউরের বিরুদ্ধে ফের অনুসন্ধান শুরু করতে চলেছে দুদক। ছাগলকাণ্ডের পর মতিউরের নামে-বেনামে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য সামনে এসেছে। এছাড়া মতিউরের সন্তানদের বিলাসবহুল গাড়ি ও পাখি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এবার পঞ্চম বারের মতো তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হচ্ছে। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ১৮ বছরের ব্যবধানে ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে মোট চারবার অনুসন্ধান করে দুদক। তবে নথিভুক্তির মাধ্যমে এসব অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে দুদক। অর্থাৎ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে মতিউর রহমানকে নিয়ে কমিশনের অনুসন্ধান ও পরবর্তী কার্যক্রম থেমে যায়।

সূত্র জানায়, দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মইন উদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ৪ জুনের কমিশন সভায় মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে পঞ্চম বারের মতো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একজন উপ-পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সদস্যরা কাজও শুরু করেছেন। সূত্র আরো জানায়, অনুসন্ধান টিমের পাশাপাশি পরিসমাপ্তি হওয়া চারটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও তৎসংশ্লিষ্ট নথি খুঁজে বের করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নথি খুঁজে না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানানো হয়েছে।

এদিকে, গতকাল রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

১৯৯৬ ও ১৯৯৭- এই দুই বছর বেনাপোল বন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ছিলেন মতিউর রহমান। ওই সময়ই তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া ঘুস নেয়া ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ আছে, দুই বছর দায়িত্ব পালনকালে বেনাপোল বন্দর থেকেই তিনি অঢেল টাকা কামিয়েছিলেন। দেশে-বিদেশে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ করেছেন এই কর্মকর্তা। এসব সম্পদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক তার বিরুদ্ধে প্রথম অনুসন্ধান টিম গঠন করে ২০০০ সালের দিকে। তখন দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান ঝুলিয়ে রেখে ২০০৪ সালে অভিযোগ পরিসমাপ্তি করা হয়।

মতিউরের কত সম্পদ রয়েছে, সেটি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুরে তার বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়া মতিউরের শেয়ারবাজারে বিপুল বিনিয়োগের খবরও বের হয়েছে। তিনি সরকারি কর্মকর্তা হলেও শেয়ারবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ারের বড় ব্যবসায়ী। তিনি নিজেও বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ওই কোম্পানির মালিকদের কাছ থেকে কম দামে কিনে নিয়ে পরে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে অনেক মুনাফা করেছেন।

নিজের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ধারণা মানুষ হিংসা থেকে এই ধরণের কাজ (অভিযোগ দিচ্ছে দুদকে) করছে। সহকারী কমিশনার থেকে যখন ডেপুটি কমিশনার হচ্ছি তখন আমার বিরুদ্ধে বেনামে চিঠি লেখা হয়েছে। দুদকে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দুদকের শক্তিশালী কর্মকর্তা আক্তার হামিদ এর তদন্ত করেছেন। ডেপুটি কমিশনার থেকে জয়েন্ট কমিশনার হওয়ার সময় ও একই ধরনের বেনামি চিঠি দেয়া হয়। আবার তদন্ত হয়। জয়েন্ট কমিশনার থেকে এডিশনাল কমিশনার হওয়ার সময়ও একই কাজ হয়। এখন আবার আমি এনবিআরের সদস্য হচ্ছি, নানাভাবে আমাকে এখন হয়রানি করা হচ্ছে।

একাধিক সূত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে নিজ নামে অর্ধশত কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে মতিউরের। ছাগলকাণ্ডে আলোচিত ইফাতকে কিনে দিয়েছিলেন প্রাডো, প্রিমিও ও ক্রাউনের মতো চারটি বিলাসবহুল গাড়ি। কিনে দিয়েছেন দামি দামি পাখিও। এসব ছবি ফেসবুকে হয়েছে ভাইরাল।

ফাইল ফটো

হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে হাসপাতালে ভর্তি বেগম খালেদা জিয়া

গোলাম রসুল দিনার, গাজীপুুর সদর মেট্রো থানা প্রতিনিধি : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে তাঁকে সিসিইউতে নেয়া হয়। গত শুক্রবার রাত ৩ টার দিকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপি মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে হাসপাতালে নেয়া হয় বলে জানা গেছে। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়। তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।

১৮ লাখ জলবায়ু বাস্তুচ্যুত ও রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি অক্সফ্যামের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : জোরপুর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক ও জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে গত এক দশকে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো জলবায়ু সংশ্লিষ্ট কারণে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশের ১৮ লাখ মানুষের সংকট নিসরণ ও পুনর্বাসনে পদক্ষেপ গ্রহণে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ। বিশ্ব শরণার্থী দিবস ২০২৪- উপলক্ষে বৃহস্পিতবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

অক্সফ্যামের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যূত সৃষ্টির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মতো বিপর্যয়কে প্রভাবিত করছে। এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার, যা মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমালে ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৪৬ জেলার কৃষির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে যা এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। এটি দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ তৈরি করেছে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে ২০১৭ সাল থেকে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখ (৯৮১,০৬৪) মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষগুলো শতশত রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে সীমানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে, যা দেশের শরণার্থী সঙ্কটে নতুন অস্থিরতা তৈরি করছে। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা ও টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজনের উপর জোর দিচ্ছে অক্সফ্যাম।

অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বৈষম্যগুলো উন্মোচন করে দিয়েছে। ক্রমাগত জলবায়ু সংশ্লিষ্ট দুর্যোগ দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে, একটি দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে। এমন অবস্থায় সংকট নিরসনে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। বিশেষত, ধনী দূষণকারী দেশগুলিকে অবশ্যই তাদের কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে হবে, বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিতে যথাযথ জলবায়ু অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। কারণ জলবায়ু অভিযোজন অর্থের প্রয়োজন; দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতি ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য অর্থায়ন প্রয়োজন।’

পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে জোরপুর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন, উদ্যোগ ও সংহতির প্রয়োজন বলেও মনে করছে অক্সফ্যাম।

দামলে বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সকলকে রক্ষা করতে হবে। তাদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।’

সার্বিকভাবে, বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে একযোগ্য জলবায়ু অন্যায্যতা এবং শরণার্থী সঙ্কট মোকাবিলায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।

এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান কোথায় আছে, তা কেউ জানে না

গোলাম রসুল দিনার, গাজীপুর সদরমেট্রো থানা প্রতিনিধি : গণমাধ্যমে ১৫ লাখ টাকায় একটি কোরবানির ছাগল বিক্রির ঘটনায় নাম আসে ইফাত নামের এক তরুণের। ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকা হলেও ছাগলটি ১২ লাখ টাকায় কেনা ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা ড. মো. মতিউর রহমানের ছেলে। প্রশ্ন ওঠে একজন রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এতো টাকা দিয়ে ছাগল কিনতে পারেন।

দেশজুড়ে যখন তাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, ঠিক সেই সময় তারা কোথায়, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই।

ঈদের দিন বাড়িতে ছিল রঙিন আলোর ঝলকানি। বাড়ির নিচে বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা ছিল বেশ কয়েকটি গরু-ছাগল। কোরবানি হয়েছে সবগুলোই। কিন্তু এক ছাগলকাণ্ডে এখন সবই নিস্তব্ধ। বাসার মূল ফটক বন্ধ, খুলে রাখা হয়েছে নেমপ্লেটও।

একটি সূত্র জানায়, ছাগলকাণ্ডের পর ছেলেকে অস্বীকার করে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী, ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ও ইরফান দেশত্যাগ করেছেন বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

রাজধানীর ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডে ৪১/২ নম্বর ইম্পেরিয়াল সুলতানা ভবনের পাঁচতলায় গতকাল শুক্রবার গিয়ে জানা যায় ইফাতের পরিবার সেখানে নেই।

বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী জানান, মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। যে বাড়িতে ইফাতের জন্ম, সেই বাড়ি ছেড়ে তিনি কোথায় গেছেন তা জানা নেই।

বাড়ির সামনে সাংবাদিকরা অবস্থান করায় একপর্যায়ে ওপর থেকে মলমূত্র ছুড়ে মারা হয়। এই ভবনের পাঁচ তলার পুরো ফ্লোর মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতারের নামে কিনে দামি আসবাব দিয়ে সাজানো হয়েছে বলে জানা যায়।

একটি সূত্র জানায়, ইফাতের ছাগলকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ধানমন্ডির বাসা ছেড়ে কাকরাইলে নিজেদের আরেকটি ফ্ল্যাটে গিয়ে ওঠেন ইফাত, তার মা শাম্মী আখতার ও ছোট ভাই। গতকাল দুপুরে কাকরাইলের স্কাইভিউ মমতা সেন্টার নামে ওই ভবনে গিয়ে জানা যায়, ভবনের ৭/ডি নম্বর ফ্ল্যাটটি তাদের।

ফ্ল্যাটের নিরাপত্তাকর্মী রবিউল ইসলাম জানান, বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত তারা এ বাসায় ছিলেন। এই ফ্ল্যাটে ইফাত, তার মা ও ছোট ভাই মাঝেমধ্যে থাকেন। সেখানে আসেন মতিউর রহমান।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৭/এ নম্বর রোডের ৩৮৪ নম্বর বাড়িতে ৫ কাঠা আয়তনের প্লটে তৈরি করা সাততলা ভবনের এক ফ্লোরে বাস করেন মতিউর রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি। এই বাড়িতে মতিউর, তার স্ত্রী ও ছেলের ৫টি গাড়ি রাখা। কিন্তু গতকাল এই বাসায় মতিউর রহমানকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গলাচিপায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনূর্ধ্ব ১৭ শুভ উদ্বোধন

মো. নুহু ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল একুশে জুন পটুয়াখালী জেলার গলাচিপায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনূর্ধ্ব ১৭র শুভ উদ্বোধন করা হয়।

শুক্রবার বিকেল ৬ টার সময় গলাচিপা পৌরসভার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি এস এম শাহজাদা।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, খেলা একমাত্র আমাদের সুস্থ বিনোদন। খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। খেলাধুলা মাদক, সন্ত্রাস ও ডিজিটাল আসক্তি থেকে আমাদেরকে দূরে রাখে।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান মু. শাহিন, জেলা পরিষদের সদস্য মাইনুল ইসলাম রনো, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুকুজ্জামানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।