Advertisement

রাঙামাটিতে ২ মেয়র-কাউন্সিলরসহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান-সদস্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সাধারণ ভোটারদের অধিকারহরণ করে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য রাঙামাটিতে জেলা পরিষদ ও দুই পৌরসভায় চেয়ারম্যান-মেয়র পদে তথাকথিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সদস্যদের পদত্যাগে সময় বেঁধে দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারি ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার দুপুরে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি শহরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারি ছাত্র-জনতা পৃথকভাবে আল্টিমেটামের ঘোষণা দেয়। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, জনগণের অধিকারহরণকারি আওয়ামী লীগের কোনো জনপ্রতিনিধি কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। যারা এখনো দায়িত্ব পালন করছে তাদের আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। যদি এর মধ্যে পদত্যাগ না করে, তাহলে ছাত্র সমাজ গণভবনের মতো পৌরসভায়ও সেই অবস্থা তৈরি করবে।
বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা সদরে ঝাঁড়-মিছিল বের করে আন্দোলনকারিরা। মিছিলটি শাপলা চত্বর থেকে বের হয়ে উপজেলা সদর প্রদক্ষিন করে চৌমুহনী মুক্ত মঞ্চে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। উক্ত সমাবেশে বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়রকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবীতে আল্টিমেটাম দিয়েছে সাধারণ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভকারীরা। এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মো নাছির মো. আবু জাহেদ, সেলিম জাবেদ, মো. হারুনুর রশিদ, মো. সবুজ মিয়া, কফিল নুর কবির উদ্দিন প্রমূখ।
অপরদিকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার পরিষদের সকল সদস্য এবং রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ও তার মেম্বারদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাঙামাটি বৈষম্য বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি সমূহ :-
(১) ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সাবেক সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
(২) সংখ্যালঘুদের উপর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী মহাজোটের শরীক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
(৩) প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নূতন সরকার তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
(৪) প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *