Advertisement

গাছায় জুট ব্যবসার আদিপত্য নিয়ন্ত্রনে যুবদলের সভাপতি প্রার্থীর

আলাদিনের চেরাগ ক্ষ্যাত জুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রন, দখলবাজি সংক্রান্ত সংবাদ মাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রচারিত হলে রুপরেখা পরিবর্তন করেছে জুট নিয়ন্ত্রণকারীরা। রাজনীতি থেকে পারিবারিক কিংবা সামাজিক বা বংশীয় প্রভাব কাটিয়ে আবার আ’লীগ বিএনপির সমন্বয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জুট বাণিজ্য। রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পেশি শক্তির কারণে থামছেইনা এ ব্যবসার সংশয়।

তাদের মধ্যে গাছা থানা এলাকার জুট ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ও মদদদাতা সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও গাজীপুরের গাছা থানা যুবলীগ সভাপতি পদপ্রার্থী ও আওয়ামী সরকারের আমলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান জুয়েল মণ্ডল। সরকার পতনের পর গাছা এলাকার জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে মূখ্য অবস্থানে দাড় করিয়েছেন জুয়েল মন্ডলের শ্যালক ডিস ব্যবসায়ী ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের গাছা থানা সভাপতি পদ প্রত্যাশী রাব্বি চৌধুরী। এ যেন ভগ্নিপতি রামরাজত্ব থেকে আড়ালে গিয়ে শ্যালক হাল ধরার চেষ্টায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ই আগস্ট এর পূর্বে নগরীর ৩৭ নং ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ঝুট নিতেন রাব্বি চৌধুরীর ভগ্নিপতি সাবেক কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান জুয়েল মণ্ডল। আ’লীগ সরকার পতনের পর সাবেক কাউন্সিলর এর ছত্রছায়ায় রাব্বি চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় দলবল নিয়ে “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস এর জুটের নিয়ন্ত্রন নিতে কারখানার সামনে অবস্থান নেন।

এ বিষয়ে রাব্বি চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফ্যাক্টরির জমি আমাদের, গার্মেন্টস আমাদের সাথে চুক্তিপত্র ও গেটপাস করে জুট দিয়েছে। যেহেতু ফ্যাক্টরীর জমি ও জুট দখলের জন্য কিছু লোক হুমকি দিয়েছে এ বিষয়ে গতকাল থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমরা আমাদের ব্যবসা স্থলে গিয়েছি নিরাপত্তার স্বার্থে। সংবাদকর্মীগণ মালিকানা সংক্রান্ত ও চুক্তিপত্র দেখতে চাইলে রাব্বি চৌধুরী কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় ইন্টারফ্যার গামেন্টর্স এর জুট নিয়ে দুই পক্ষের সাংঘর্ষিক অবস্থানের সংবাদ প্রচারিত হলে নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় বিএনপি।

এ বিষয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস সম্পর্কে রাব্বি চৌধুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় উভয় পক্ষ আসলে তাদেরকে শান্তি শৃঙ্কলা বিঘ্ন হয় এমন কার্যক্রমে থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছি। যদি শান্তি শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে তাহলে আইন শৃঙ্খলা ও জনগনের স্বার্থে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব। উভয়ের সম্মতিতে বিএনপির গাছা থানার সাবেক সভাপতি, রাব্বি চৌধুরীর মামা ও জুয়েল মন্ডলের আপন বড় ভাই আসাদ কে ঘটনা যাচাই বাচাই করে স্থানীয় ভাবে সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা আসাদ জানান, স্থানীয় ছাত্র লীগের নেতা কামরুল ও তার দলবল নিয়ে গার্মেন্টস জুট দখল করতে আসলে রাব্বি চৌধুরীর ও পরিবারের লোকজন সাথে নিয়ে গার্মেন্টসের সামনে অবস্থান নেন। আমি উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের বিষয়ে জানানো হবে।