Advertisement

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদিউজ্জামানের আমল নামা

বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট : কোটিপতি হওয়া ওসিদের দৌড়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বদিউজ্জামানের। নাম রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জের যেসব কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, রেলওয়ের স্থাপনাসহ পাথর লুট, সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র ধ্বংসের মাস্টারমাইন্ড, পাথর কোয়ারিগুলোতে পাথর-বালু লুটপাট থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা আয়ের অভিযোগ রয়েছে।

অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন ছাড়াও সীমান্তবর্তী থানায় মামলা রুজু, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ভারতীয় চোরাই চিনি, ভারতীয় নাছির বিড়ি, মদ, ফেনসিডিল, কাপড়, গরু-মহিষ, কসমেটিকস্, ঔষধ, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকেও মাসোয়ারা গ্রহণ করতেন তিনি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদে ঢুকতে চেষ্টা করলে কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেন তিনি। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও বিএনপি, জামায়াতসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের থানায় এনে সমঝোতা করেন। যার ফলে থানায় কোন ধরণের হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি।

ইতিপূর্বে তিনি এসআই হিসেবে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মরত অবস্থায় ব্যাপক ঘুষ, দুর্নীতি, মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতার অভিযোগে তাকে থানা হতে পুলিশ লাইন ক্লোজড করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নিজের খোলস পরিবর্তন করেন তিনি। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বদিউজ্জামানকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।