Advertisement

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে বক্তব্য স্পষ্ট করলেন রাষ্ট্রপতি

শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিসয়টিকে মীমাংসিত উল্লেখ করে এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করা এবং সরকারকে অস্থিতিশীল বা বিব্রত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃস্টি করেছে। এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পস্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের গত ৮ আগস্ট, ২০২৪ এর আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।

‘উল্লেখ্য, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৮ আগস্ট, ২০২৪ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এই মতামত দিয়েছিলেন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃস্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’

বাগেরহাটে মাকছুদ এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটে জামায়েত নেতা ও ইমাম শহীদ ক্বারী মাকছুদুর রহমানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ক্বারী মাকসুদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বাখরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় স্থানীয় নওশের শেখ, শহীদ কারী মাকছুদের ছেলে নাজমুল শেখ, ব্যবসায়ী আলফাজ শেখ, আবুল কালাম, লুৎফর রহমান ঠান্ডা, সাইদুল ইসলাম, শিমুল তরফদার, ফরিদ ফকির, শেখ রবিউল ইসলাম, জনি শেখ, মোবাশ্বের শেখ, মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, আনারুল ইসলাম সহ সহস্রাধিক এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে ২০১৩ সালে জামায়েত নেতা কারী মাকছুদুর রহমানকে মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালাকে বাকরগঞ্জ বাজারে তার হা ,পা ও রগ কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন বাহিনী ও তার সহযোগী আফজাল, সুজন, সাথী লিটু, নজু, সোহেল ও তার সহযোগীরা।

এ সময় হত্যার সাথে যারা যারা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

গাছায় গলার ও মাথায় আঘাত করে অপহরণের চেষ্ঠা

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুর মহানগরে গাছা থানা এলাকার অবস্থিত সিদ্দিক মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরন করে চাপাতি দিয়ে মাথায় আঘাত ও জবাই করার উদ্দেশ্যে দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে গলায় পোচ দেওয়া মুমূর্ষু অবস্থায় সাইদুল নামে এক ব্যক্তিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করেছে গাছা থানার টহল পুলিশ।

পরবর্তীতে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ই অক্টোবর বুধবার।

সরে জমিন অনুসন্ধান করে ঘটনার প্রত্যক্ষ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে এবং এফ আই এর কপি থেকে জানা যায়, গত মঙ্গলবার মোঃ নিশাত খান, নবী হোসেন, মোঃ শাকিল খান ও মোহাম্মদ রাকিব হোসেন সহ তাদের সহযোগী আমার আরো ৬/৭ জন আসামি ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে ১৬/১০/২৪ ইং গাছা থানার একটি মামলা হয়। পরবর্তী তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে তথ্য দাতা হিসেবে সাইদুলকে সন্দেহ করে তার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।

অপহরণ ও আক্রমণকারীরা হলেন, গাজীপুর গাছা এলাকার আন্ত: জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য, ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ে রোডে একাধিক ডাকাতির অভিযুক্ত, সরকার পতনের পর গাছা থানা এলাকার ডাকাতির আতঙ্ক সৃষ্টিকারী, সরকারী বিভিন্ন মালামাল চুরির দায়ে অভিযুক্ত, এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের যোগানদাতা ও মাদক সম্পর্কে প্রতিবাদ করতে গেলে মানুষকে নির্যাতনের করা, গার্মেন্টস নারী কর্মীদের কাছ থেকে বেতনের টাকা জোরপূর্বক ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া, রাস্তাঘাটে অলিতে-গলিতে নারীদের শ্লীলতাহানি , একাধিক মামলার আসামি, দেশীয় অস্ত্র ক্রয় বিক্রয় চক্রের সক্রিয় সদস্য, সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত গাছা এলাকার দক্ষিণ কলমেশ্বর এলাকার মোঃ শাহিন আহাদ, মোঃ আতিকুল, মোঃ জুবায়ের, রিনা আক্তার, খাদিজা আক্তার, মোঃ ফারুক, নিশাত খান, নবী হোসেন, মোহাম্মদ রাকিব হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা আরও সাত থেকে আটজন।

গত ১৬ অক্টোবর বুধবার আনুমানিক ৪টার সময় দক্ষিণ কলমেশ্বর সিদ্দিক মার্কেটের সামনে পথ রোধ করে দলবদ্ধভাবে লোহার রোড, বাসের লাঠি, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি সহ দেশী অস্ত্রশয্যা সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও আঘাত করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় চাপাতি ও গলায় ছুরি দিয়ে গুরুতর যখন করেন।

প্রত্যেক্ষদর্শীরা গাছা থানায় সংবাদ দিলে গাছা থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আসামীগণ দৌড়াইয়া পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় নারী পুলিশ সদস্য কর্তৃক আসামি রিনা আক্তার (৪৫) ও খাদিজা আক্তার (১৯) কে আটক করে। হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বিবাদিদের ফেলে যাওয়া ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, ১টি কোড়াল, ও রামদা এবং ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল সহ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে গাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে থেকে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে চুরিকৃত নগদ টাকা সহ মালামাল এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ব্যপারে গাছা থানায় ০৯-১৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে মামলা হয়। পরবর্তী তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

গাজীপুরে বাইতুল মামুর জামে মসজিদ ও ইসলামীয়া মাদ্রাসা ওয়াকফ এস্টেট এর কমিটি বাতিল

গাজীপুরে গাছা থানার পূর্ব কমলেশ্বর বাইতুল মামুর জামে মসজিদ ও ইসলামীয়া মাদ্রাসা ওয়াকফ্ এস্টেট এর কমিটি বাতিল করা হয়েছে নতুন কমিটি গঠন করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অত্র কমিটির মোতায়াল্লি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ সাগর।

গতকাল মঙ্গলবার ১৫-১০-২০২৪ইং মাগরিবের নামাজের আগমুহূর্তে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় , মোতায়াল্লী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ সাগর বলেন বায়তুল মামুর জামে মসজিদ ও ইসলামীয়া মাদ্রাসা ওয়াকফ এস্টেট এর মসজিদ বন্ধ করে সাধারণ সম্পাদক মাদ্রাসাতুল মাদিনা নামে মাদ্রাসা পরিচালনা করে এবং ইসলামিয়া মাদ্রাসার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের তার মাদ্রাসায় ভর্তি করে। এ কারণে মসজিদ কমিটি বাতিল ঘোষণা করেন মোতায়াল্লি।

পূর্বের কমিটির ১৩ মাস থাকতে মীর ওসমান গনি কাজল (কাউন্সিল) এর নিদেশে সৈয়দ বজলুল রশিদ, আব্দুল রশিদ, কমিটি ভেঙে দেয় এবং বতমান সভাপতি আঃরশিদ ও মাওলানা ছিদিকুর রহমন, আক্তারুজ্জামান মামুন মোতায়াল্লিকে প্রান-নাসের ভয় দেখিয়ে কমিটি বাতিল ঘোষণা করে ২মাসে কমিটি ছাড়া থাকে পরবর্তীতে নতুন কমিটি অনুমোদন করার জন্য হাজী মুছা সই করিয়ে নেয়। কমিটির মেয়াদ ২বছর।

বায়তুল মামুর জামে মসজিদ ও ইসলামীয়া মাদ্রাসা ওয়াকফ্ এস্টেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওঃ সিদ্দিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন আমি কমিটির বাকি যতদিন মেয়াদ আছে আমরা বলবৎ থাকবো।

তার এই বক্তব্যে মুসল্লিদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয় বলেও জানিয়েছেন মসজিদের ভেতরে থাকা নামাজী মুসল্লিরা।

গাজীপুরে মানব প্রাচার ধর্ষন হত্যা অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামী গ্রেফতার

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও গাজীপুরে ছাত্র আন্দোলনে নষ্যাৎ ও আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ি মসজিদের পূর্ব পাশে কয়েকশত সন্ত্রাসী সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র- শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা ও হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করিয়া ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে গুরুতর যখমের লক্ষে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ এবং হুকুম প্রদানের অপরাধে গাছা থানার ১৮(৯)২৪ ( তারিখ-২৩/০৯/২০২৪) নং মামলায় এজহার ভুক্ত ২১নং আসামী ফ্যাসিস্ট সরকারের চিহিৃত সন্ত্রাসী ও গাজীপুর মহানগরীরর ত্রাস, মানব পাচার ধর্ষন হত্যা অস্ত্র চাঁদাবাজি নারী ও শিশু নির্যাতন সহ একাধিক মামলার আসামী ভাঙ্গারী মিলন কে গ্রেফতার করেছে গাছা থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গাছা থানার অফিসা ইনচার্জ আলী রাশেদ এর নির্দেশনায় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক মোঃ সুমন খান সহ একদল চৌকস পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে ও অক্লান্ত পরিশ্রমে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারটার দিকে গাছা থানা এলাকায় বোর্ড বাজার বড় মসজিদ রোড মেম্বার বাড়ী সংলগ্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৩৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী যুবলীগের সক্রিয় সদস্য ফরহাদুল ইসলাম মিলন ওরফে ভাঙ্গারী মিলন (৪০)।

গাছা থানার বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ফারুক খান জানান, ভাঙ্গারী মিলন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী এলাকার আতঙ্ক হিসেবে বিরাজ করতেছিলো। ভাঙ্গারি মিলনের নামে অনেক মামলা, জিডি, ও অভিযোগের অভাব নেই। উল্লিখিত মামলা সমুহের মধ্যে দুইটি অস্ত্র, দুইটি চাঁদাবাজি, মানব পাচার, মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ একাধিক মামলা রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২৪ শে জুলাই দুপুর আনুমানিক তিনটায় স্থানীয় কাউন্সিলর মীর ওসমান গনি কাজল ও ভাঙ্গারি মিলনের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে প্রত্যেকের হাতে থাকা রড, দাড়ালো দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্রসহ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে হামলা করে । আমাকে না পেয়ে আমার বাসায় দেশীয় অস্ত্রদিয়ে এলোপাতারি আক্রমন করে বাড়ীর লোহার গেইট ভেঙ্গে ফেলে বাসায় থাকা ভাড়াটিয়াদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করাসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোঃ সুমন খান বলেন, একাধিক মামলাসহ চলমান ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যূত্তানে ১৮(৯)২৪ নং মামলার এজহার নামীয় ২১ নং আসামী এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ভাঙ্গারী মিলনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিধি মোতাবেক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গাজীপুরের ত্রাস ভাঙ্গারী মিলন গ্রেফতার জনমনে স্বস্তি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও গাজীপুরে ছাত্র আন্দোলনে নষ্যাৎ ও আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ি মসজিদের পূর্ব পাশে কয়েকশত সন্ত্রাসী সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র- শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা ও হত্যার উদ্দেশ্য গুলি করিয়া ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে গুরুতর যখমের লক্ষে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ এবং হুকুম প্রদানের অপরাধে গাছা থানার ১৮(৯)২৪ ( তারিখ-২৩/০৯/২০২৪) নং মামলায় এজহার ভুক্ত ২১নং আসামী ফ্যাসিস্ট সরকারের চিহিৃত সন্ত্রাসী ও গাজীপুর মহানগরীরর ত্রাস, মানব পাচার ধর্ষন হত্যা অস্ত্র চাঁদাবাজি নারী ও শিশু নির্যাতন সহ একাধিক মামলার আসামী ভাঙ্গারী মিলন কে গ্রেফতার করেছে গাছা থানা পুলিশ। মামালা হওয়ার পর স্বৈরাচার সরকার পতনের পর মন্ত্রী এমপিদের মতো গা ঢাকা দিয়ে আত্নগোপনে ছিল শীর্ষ সন্ত্রাসী ভাঙ্গারী মিলন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গাছা থানার অফিসা ইনচার্জ আলী রাশেদ এর নির্দেশনায় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক মোঃ সুমন খান সহ একদল চৌকস পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে ও অক্লান্ত পরিশ্রমে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারটার দিকে গাছা থানা এলাকায় বোর্ড বাজার বড় মসজিদ রোড মেম্বার বাড়ী সংলগ্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৩৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী যুবলীগের সক্রিয় সদস্য ফরহাদুল ইসলাম মিলন ওরফে ভাঙ্গারী মিলন (৪০)।

গাছা থানার বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ফারুক খান জানান, ভাঙ্গারী মিলন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। এলাকার আতঙ্ক হিসেবে বিরাজ করতেছিলো। ভাঙ্গারি মিলনের নামে অনেক মামলা, জিডি, ও অভিযোগের অভাব নেই। উল্লিখিত মামলা সমুহের মধ্যে দুইটি অস্ত্র, দুইটি চাঁদাবাজি, মানব পাচার, মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ মোট ১৫টি মামলাসহ একাধিক সাধারণ ডায়রী/অভিযোগ রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২৪ শে জুলাই দুপুর আনুমানিক তিনটায় স্থানীয় কাউন্সিলর মীর ওসমান গনি কাজল ও ভাঙ্গারি মিলনের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে প্রত্যেকের হাতে থাকা রড, দাড়ালো দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্রসহ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে হামলা করে । আমাকে না পেয়ে আমার বাসায় দেশীয় অস্ত্রদিয়ে এলোপাতারি আক্রমন করে বাড়ীর লোহার গেইট ভেঙ্গে ফেলে বাসায় থাকা ভাড়াটিয়াদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করাসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোঃ সুমন খান বলেন, একাধিক মামলাসহ চলমান ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যূত্তানে ১৮(৯)২৪ নং মামলার এজহার নামীয় ২১ নং আসামী এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ভাঙ্গারী মিলনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিধি মোতাবেক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গাছায় জুট ব্যবসার আদিপত্য নিয়ন্ত্রনে যুবদলের সভাপতি প্রার্থীর

আলাদিনের চেরাগ ক্ষ্যাত জুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রন, দখলবাজি সংক্রান্ত সংবাদ মাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রচারিত হলে রুপরেখা পরিবর্তন করেছে জুট নিয়ন্ত্রণকারীরা। রাজনীতি থেকে পারিবারিক কিংবা সামাজিক বা বংশীয় প্রভাব কাটিয়ে আবার আ’লীগ বিএনপির সমন্বয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জুট বাণিজ্য। রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পেশি শক্তির কারণে থামছেইনা এ ব্যবসার সংশয়।

তাদের মধ্যে গাছা থানা এলাকার জুট ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ও মদদদাতা সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও গাজীপুরের গাছা থানা যুবলীগ সভাপতি পদপ্রার্থী ও আওয়ামী সরকারের আমলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান জুয়েল মণ্ডল। সরকার পতনের পর গাছা এলাকার জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে মূখ্য অবস্থানে দাড় করিয়েছেন জুয়েল মন্ডলের শ্যালক ডিস ব্যবসায়ী ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের গাছা থানা সভাপতি পদ প্রত্যাশী রাব্বি চৌধুরী। এ যেন ভগ্নিপতি রামরাজত্ব থেকে আড়ালে গিয়ে শ্যালক হাল ধরার চেষ্টায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ই আগস্ট এর পূর্বে নগরীর ৩৭ নং ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ঝুট নিতেন রাব্বি চৌধুরীর ভগ্নিপতি সাবেক কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান জুয়েল মণ্ডল। আ’লীগ সরকার পতনের পর সাবেক কাউন্সিলর এর ছত্রছায়ায় রাব্বি চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টায় দলবল নিয়ে “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস এর জুটের নিয়ন্ত্রন নিতে কারখানার সামনে অবস্থান নেন।

এ বিষয়ে রাব্বি চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফ্যাক্টরির জমি আমাদের, গার্মেন্টস আমাদের সাথে চুক্তিপত্র ও গেটপাস করে জুট দিয়েছে। যেহেতু ফ্যাক্টরীর জমি ও জুট দখলের জন্য কিছু লোক হুমকি দিয়েছে এ বিষয়ে গতকাল থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমরা আমাদের ব্যবসা স্থলে গিয়েছি নিরাপত্তার স্বার্থে। সংবাদকর্মীগণ মালিকানা সংক্রান্ত ও চুক্তিপত্র দেখতে চাইলে রাব্বি চৌধুরী কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় ইন্টারফ্যার গামেন্টর্স এর জুট নিয়ে দুই পক্ষের সাংঘর্ষিক অবস্থানের সংবাদ প্রচারিত হলে নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় বিএনপি।

এ বিষয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “ইন্টারফ্যাব” গার্মেন্টস সম্পর্কে রাব্বি চৌধুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় উভয় পক্ষ আসলে তাদেরকে শান্তি শৃঙ্কলা বিঘ্ন হয় এমন কার্যক্রমে থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছি। যদি শান্তি শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে তাহলে আইন শৃঙ্খলা ও জনগনের স্বার্থে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হব। উভয়ের সম্মতিতে বিএনপির গাছা থানার সাবেক সভাপতি, রাব্বি চৌধুরীর মামা ও জুয়েল মন্ডলের আপন বড় ভাই আসাদ কে ঘটনা যাচাই বাচাই করে স্থানীয় ভাবে সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা আসাদ জানান, স্থানীয় ছাত্র লীগের নেতা কামরুল ও তার দলবল নিয়ে গার্মেন্টস জুট দখল করতে আসলে রাব্বি চৌধুরীর ও পরিবারের লোকজন সাথে নিয়ে গার্মেন্টসের সামনে অবস্থান নেন। আমি উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের বিষয়ে জানানো হবে।

বাগেরহাটের বিএনপি-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হামলা, ছাত্রশিবিরের ১৫ জন আহত

বাগেরহাটের রামপালে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডাকা মিছিলে যোগ না দেওয়ায় ছাত্রশিবিরের ইউনিয়ন সভাপতিসহ ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রদলের পরিচয়ে চলা সন্ত্রাসীরা। বুধবার দুপুরে ছাত্রদল ও বিএনপির লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপের একটি অংশ গৌরম্ভা কলেজের এক শিক্ষকের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এ সময়ে ছাত্র শিবির ও জামায়াতের লোকদের ওই মিছিলে যোগ দিতে বলে। কিন্তু ওই মিছিলে কেউ যোগ না দেওযায় ছাত্রদল ও বিএনপির পরিচয়ে চলা ওই গ্রুপটি লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিবিরের ছেলেদের উপর হামলা করে। এতে শিবিরের গৌরম্ভা ইউনিয়ন সভাপতি নকিব তালুকদারসহ ৭/৮ জন আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিমাংসার বৈঠকে বসলে বিকালে পুন:রায় বিএনপি নেতা লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজন হামলা চালায় এতে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আবু মুসা আকুঞ্জী, শিবির নেতা মুরসালিম,বাপ্পী গাজীসহ ৫/৬ জন আহত হয়। আহতদের গুরুতর অবস্থায় প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা আবু মুসা আকুঞ্জী জানান, বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা লায়ন ফরিদুল ইসলামের গ্রুপ হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী মুজিবর জোয়ার্দ্দার, যুবদল নেতা বাহাদুর ইসলাম কুট্টি, আমিরুল ইসলাম কুট্টি ও রুবেল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে ছাত্রদল, বিএনপি ও যুবদলের পরিচয়ে চলা সন্ত্রাসীরা ছাত্রশিবিরের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময়ে ১৫ জন শিবির ও জামায়াতের নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময়ে ওই সন্ত্রাসীরা স্থানীয় জামায়াত অফিস ভাংচুর করেছে বলে আবু মুসা জানান।

এ ব্যাপারে গৌরম্ভা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী ও থানা আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজিবর জোয়ার্দ্দার জানান, তিনি জেলা বিএনপি নেতা ফরিদুল ইসলামের একনিষ্ঠ সমর্থক। এদিনের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ছাত্রদলের মিছিল চলাকালে শিবির নেতৃবৃন্দ তাতে বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তবে তেমন কেউ আহত হয়েছে কি না তার জানা নেই।
অপরদিকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আকরাম হোসেন তালিম তিনি ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তার তীব্র নিন্দা জানান। ঘটনার বিস্তারিত জেনে সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ্ করেন।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদিউজ্জামানের আমল নামা

বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট : কোটিপতি হওয়া ওসিদের দৌড়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বদিউজ্জামানের। নাম রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জের যেসব কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, রেলওয়ের স্থাপনাসহ পাথর লুট, সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র ধ্বংসের মাস্টারমাইন্ড, পাথর কোয়ারিগুলোতে পাথর-বালু লুটপাট থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা আয়ের অভিযোগ রয়েছে।

অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন ছাড়াও সীমান্তবর্তী থানায় মামলা রুজু, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ভারতীয় চোরাই চিনি, ভারতীয় নাছির বিড়ি, মদ, ফেনসিডিল, কাপড়, গরু-মহিষ, কসমেটিকস্, ঔষধ, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকেও মাসোয়ারা গ্রহণ করতেন তিনি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদে ঢুকতে চেষ্টা করলে কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেন তিনি। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও বিএনপি, জামায়াতসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের থানায় এনে সমঝোতা করেন। যার ফলে থানায় কোন ধরণের হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি।

ইতিপূর্বে তিনি এসআই হিসেবে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মরত অবস্থায় ব্যাপক ঘুষ, দুর্নীতি, মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতার অভিযোগে তাকে থানা হতে পুলিশ লাইন ক্লোজড করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নিজের খোলস পরিবর্তন করেন তিনি। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বদিউজ্জামানকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।