Advertisement

উত্তরায় এনট্রাস্ট গ্রুপের জমকালো উদ্বোধন অনুষ্ঠিত কালিমুল্লাহ ইকবাল, টঙ্গী,

কালিমুল্লাহ ইকবাল, টঙ্গী,গাজীপুর : হাউজিং ডেভেলাপমেন্ট জগতে অনন্য অবদান রাখতে গত শনিবার সন্ধ্যায় উত্তরার প্রাণকেন্দ্র এএইচ টাওয়ারের ১২ তলায় এনট্রাস্ট গ্রুপের এক গ্রান্ড ওপেনিং সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনট্রাস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শওকত পারভেজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল বাশার, পরিচালক আমিনুল ইসলাম খোকন, তামিম খান, আব্দুর রাজ্জাক, শামীন আহমেদ ও সৈয়দা মরিয়ম হক, ল্যান্ড ডোনার, শুভাকাঙ্ক্ষী শুভানুদায়ীসহ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার বলেন, আমরা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সুন্দর ও সমমানা মানুষদেরকে নিয়ে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি সাজিয়েছি। আমরা চাই আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের সেবাদানের মাধ্যমে এদেশে অসংখ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী যারা বিজনেসের সাথে জড়িত থাকবেন, তাদের উত্তম সেবা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে।

তিনি সর্বস্তরের মানুষের দোয়া, ভালোবাসা, আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

উদ্বোধন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে মাওলানা ইমতিয়াজ প্রতিষ্ঠান, দেশ ও দশের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

বাগেরহাটে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দেয়ায় বিপাকে এলাকাবাসী

সৈয়দ ওবায়দুল হোসেন, বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট সদর উপজেলার পাটরপাড়া এলাকায় মাদকসহ এক মাদক ব্যবসায়ী ও তার সহযোগীকে ধরিয়ে দেয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। আটকের পর জেল থেকে মুক্তি পেয়েই পাটরপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ী বাদল শেখ (৩০) ও তার লোকজন বিভিন্নভাবে হুমকী দিয়ে আসছে। এই মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে যারা সহযোগীতা করেছেন তাদের প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন।

এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মাদক ব্যবসায়ী বাদল শেখ পাটরপাড়া গ্রামের মো. রশিদ শেখের ছেলে।

জানা যায়, গত ২০ আগস্ট রাত পৌনে ১২টার দিকে বাদল শেখ ও তার সহযোগী মো. জাহাঙ্গীর পাটরপাড়া এলাকায় ৬শত ৮০ গ্রাম গাজাসহ এলাকাবাসীর সহযোগীতায় পুলিশের হাতে আটক হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ডিজিটার পরিমাপক যন্ত্রও পাওয়া যায়। আটককৃতরা স্থানীয় জনগন ও প্রশাসনের সামনে মাদক ব্যবসার কথা স্বীকার করে। প্রশাসন তাদের উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরন করে। মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই বাদল শেখ ও তার লোকজন একাবাসীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী- ধামকী দিয়ে আসছে। এলাকার তানজীল হোসেন, শেখ জিয়াউর নিশানসহ ৮/১০ জন এলাকাবাসীর সহযোগীতায় মাদক ব্যবসায়ী বাদলকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে যারা সহযোগীতা করছে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাগেরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, বাদল শেখ মাদক সেবন ও বিক্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। ২০ তারিখে রাত সাড়ে ১০টা উল্লেখ করে বাগেরহাট কোর্টে যে মামলা করেছে তা সম্পূর্ন ভিত্তীহীন। এলাকাবাসী এ মাদক ব্যবসায়ী ও এদের সাথে যারা যারা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এ ঘটনায় উপস্থিত বাগেরহাট সদর উপজেলা সাবেক বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন মালেক বলেন, এলাকার মাদক ব্যবসায়ী আটক হয়েছে শুনে আমি পাটরপাড়া দক্ষিন পাড়া ঈদগাহ এর সামনে যাই। সেখানে বাদল শেখসহ আরো একজনকে মাদকসহ আটক দেখতে পাই। তারা মাদক সেবন ও বিক্রীর সাথে জড়িত বলে এলাকাবাসীর সামনে স্বীকার করে। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এখন শুনেছি বাদল শেখ বাদী হয়ে এলাকাবাসীর নামে হামলার মামলা দিচ্ছে, এ বিষয়টি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন।

এ ঘটনায় বাগেরহাট সদর থানার এসআই মো. আবু হানিফা কামাল বলেন, ২০ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানতে পারি ২ ব্যক্তিকে মাদকসহ আটকিয়ে রেখেছে এলাকাবাসী। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাদল শেখ ও তার সহযোগী মো. জাহাঙ্গীর ৬শত ৮০গ্রাম গাজা ও ১টি ডিজিটার পরিমাপক যন্ত্র উদ্ধার করি। পরে তাদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয় ও জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ

বিশেষ প্রতিনিধি, নারায়নগঞ্জ : ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ১ মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার পক্ষ থেকে আজ ৫ আগষ্ট ‘২৪ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ছাত্রনেতা সুলতানা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক নাসিমা সরদার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ রাতুল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সংগঠক তাহসান ইসলাম, নিরব, জিসান, স্বপ্ন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শ্রমিক জুম্মান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনা আমাদের জাগিয়ে রাখতে হবে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলেও এখনো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়নি। গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। জনতার গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছে যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ‘২৪ এর পরাজিত শক্তি, ‘৯০ এর পরাজিত শক্তি ও ‘৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।

গাছা থানার ওসিকে অপসারণ চায় ছাত্র জনতা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস পূর্তি উপলক্ষে আজ এই দিনে সারাদেশে কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আন্দোলন চলাকালীন বাংলা ব্লকেট, মার্চ ফর জাস্টিজ, কমপ্লিট শাটডাউন এর মতো কর্মসূচীর কারণে গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের এক মাস পর শহীদদের স্বরণে আজ দেশব্যাপি পালিত হচ্ছে ‘শহীদি মার্চ’। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কর্মসূচী মোতাবেক গাজীপুরেও পালিত হয়েছে এ দিবসটি।

এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাছা থানার বিভিন্ন এলাকা হতে পদযাত্রা করে থানার সামনে মানববন্ধন কর্মসূচীতে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। ছাত্র ও যুব সমাজের কর্মসূচীতে একাত্বতা প্রকাশ করে সকল পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করে।

মানববন্ধনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার পতন আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং ছাত্র জনতার ওপর গুলির নির্দেশদাতা গাছা থানার ওসি জিয়াউল ইসলামের প্রত্যাহার ও এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন অনুষ্ঠানে আন্দোলনকারীরা বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত ওসি জিয়াউল ইসলাম আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন দুষ্কৃতীকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে চাদাবাজি ও গার্মেন্টসের ঝুট ব্যাবসার ভাগ পেয়ে আসছে। এবং বিভিন্ন হামলার সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া সহ ছাত্র জনতার উপর গুলির নির্দেশদাতা ওসি জিয়াউল ইসলামের অবিলম্বে অপসারণ দাবি করছি।

প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে যা ঘটলো ভারতীয় নারী প্রিয়াঙ্কা নস্করের

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রেমের টানে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ভারতীয় তরুণী প্রিয়াঙ্কা নস্কর (২৯)। সীমান্ত এলাকায় বিজিবির হাতে আটক হন তিনি। পরে দুই বছর সাজা ভোগ শেষে তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দর্শনা সীমান্ত চেকপোস্টের শূন্যরেখায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেয়া হয়।

প্রিয়াঙ্কা নস্কর ভারতের হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার গোপীনাথপুর গ্রামের প্রতাব নস্করের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, প্রিয়াঙ্কা নস্করের সঙ্গে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের এক যুবকের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কয়েক মাস মোবাইল ফোনে প্রেমের পরে ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর ভারত থেকে অবৈধভাবে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে দালালের সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন। সেই সময় তিনি মহেশপুর বিজিবি-৫৮ সদস্যদের হাতে আটক হন।

আটকের পর তাকে ঝিনাইদহ জেলা আদালতে হাজির করলে আদালত ২ বছরের সাজা প্রদান করেন। সাজা শেষে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে তাকে তার পরিবারের সদস্য বাবা, মা ও দিদির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুই দেশের পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন বিজিবির দর্শনা সীমান্ত আইসিপি ক্যাম্পের কমান্ডর সুবেদার মোস্তফা মিয়া, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান, কাস্টমস ইন্সপেক্টর কাবিল সাদিক, দর্শনা থানার এসআই ফাহিম হাসান, ঝিনাইদহ জেল পুলিশ সদস্যরা। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফর গেদে ক্যাম্প কমান্ডার এসি তাপশসর, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সঞ্জীব কুমার, কাস্টমস কর্মকর্তা আরপি জাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এএসআই তন্ময় দাস ও এনজিও কর্মী চিত্তরঞ্জন রায় প্রমুখ।

কোম্পানীগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বহাল রাখার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

এমরান আলী, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি : কোম্পানীগঞ্জের জালিয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ-কে বহাল রাখার দাবি এলাকাবাসীর। আজ রবিবার দুপুরে এলাকার সচেতন নাগরিকদের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, জালিয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জনা দেবী দায়িত্বে কর্মরত থাকাকালে বিভিন্ন অনিয়ম, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে অসদাচরণ এবং শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেন বলে অভিযোগ উঠে। শিক্ষিকা অঞ্জনা দেবী ২০১২ সালে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, দাতা সদস্য, স্কুলের শিক্ষকসহ ০৭ জনের বিরুদ্ধে জিডি দায়ের ও পত্রিকা কাটিং করেন। সে সময় তদন্তে জিডির অভিযোগের পক্ষে কোন সত্যতার প্রমাণ না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানীগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি খারিজ করে প্রতিবেদন দেন।তখন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশংকায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস শিক্ষিকা অঞ্জনা দেবীকে ডেপুটেশনে সিলেট সদর উপজেলার মইয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব দেন।

৫ বছর পর ২০১৭ সালে উক্ত শিক্ষিকার ডেপুটেশন বাতিল হলে তিনি আবারও নিজ কর্মস্থল জালিয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। তখন তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তিনি জনৈক আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্ররোচনায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং নিজে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকের দায়িত্ব নিতে উর্ধ্বতন শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফকে বহাল রাখার দাবিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপি প্রদান শেষে উপজেলা পরিষদ মাঠে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি জাফরুল ইসলাম বাবুল, সাবেক মেম্বার শাহনুর আলী, সেবুল আহমদ, আব্দুল কদ্দুস, সাবেক ছাত্র হুজ্জাতুল ইসলাম। এ সময় এলাকাবাসীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে জালিয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন ও জরুরি বৈঠক করেন এবং পরবর্তী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন।

গাজীপুরে গার্মেন্টস কারখানায় নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে কারখানার মালিক, শ্রমিক ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন

এম আমজাদ খান : ৫ সেপ্টেম্বর সকালে গাজীপুর মহানগরর ৩৪নং ওয়ার্ডের ডেগেরচালা রোডের মহাসড়কের মাথায় গার্মেন্টস কারখানায় ভাঙচুর ও মহাসড়ক অবরোধের প্রতিবাদে মালিক, শ্রমিক ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সেনাবাহিনীর টহলরত টীম, পুলিশ ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানানো হয়।

শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে হাজী এমএ হামিদ বলেন, কিছু কুচক্রীমহল ড. ইউনূসের সরকারকে বেকায়দা ফেলার জন্য শান্তিপূর্ণ গার্মেন্টস সেক্টরকে অশান্ত করার জন্য শ্রমিকদের নামে বহিরাগত শ্রমিক ও বাকশালের দোসরদের দিয়ে এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আজ ছাত্র, জনতা, মালিক, শ্রমিক ও এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা। তারই অংশ হিসেবে আজকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সেপাল গ্রুপের সিনিয়র অফিসার এইচ আর এডমিন মশিউর রহমান বলেন, আজ আমরা মালিক, শ্রমিক ও এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কোন কুচক্রী মহলের ফাঁদে আমরা পা দিব না, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আপনাদের সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কারখানার নেতৃবৃন্দের মধ্যে সেপাল গ্রুপের সিনিয়র এইচ আর এডমিন এরশাদুল আলম, বিকেসির ডিরেক্টর গোলাম কিবরিয়া, সিনিয়র ম্যানেজার এডমিন শিব্বির আহমেদ ও নজরুল ইসলাম, দ্বীপ নিটের মুসাব্বির হোসেন মীর, ইন্ডোসোর সোয়েটার লি. এর ম্যানেজার এডমিন শফিকুল ইসলাম, ফিন বাংলার এইচ আর এডমিন শাহিনুর রহমান শাহিন প্রমুখ।

স্থানীয়দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মোকলেছুর রহমান, শাহজাহান সরকার, হাজী কফিল উদ্দিন ও ওসমান খানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পূর্ব শত্রুতার জেরে গাজীপুরে বসতবাড়ীতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট আহত-৫

পূর্বশত্রুতার জেরে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার ৩২নং ওয়ার্ডের মৈরান এলাকায় একটি পরিবারের ৫ সদস্যের উপর হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার (২৭আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় ভূক্তভূগী পরিবারের ইসমাইল (৪০) নামে এক ভুক্তভোগী সদস্য বাদী হয়ে মহানগরীর গাছা মেট্রোপলিটন থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে দশটায় ভূক্তভূগী মৈরান এলাকায় তার নিজ বাড়ীর সামনে অবস্থান করাকালীন মহানগরীর ৩২নং ওয়ার্ডের মৈরান এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে সফর আলী (৫৮), সফর আলীর ছেলে রিটন মিয়া (৪২), মৃত সিরাজ মিয়ার দুই ছেলে শুক্কুর আলী ওরফে বিমল (৪৪) ও শ্যামল মিয়া (৪৭), সফর আলীর ছেলে খোকন মিয়া (৪০), মৃত তাহের আলীর ছেলে ইমন আলী (২০), রিটন এর ছেলে সাজ্জাদ (২১), মনির হোসেন এর ছেলে হাসানসহ (২২) আরও অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক এ হামলায় অংশ নেয়।

প্রতিপক্ষরা ভূক্তভূগী পরিবারের সদস্যদের উপর দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র ( রামদা, ছেন, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় গুরুতর আহত হন ভূক্তভুগী পরিবারের কয়েকজন সদস্য। অভিযোগকারি উল্লেখ করেন অভিযুক্ত সফর আলীর হুকুমে শুক্কুর আলী ওরফে বিমল এর হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে ভূক্তভূগী ইসমাইলকে কোপ দেয়। সেই কোপ ফেরাতে গিয়ে ইসমাইলের জেঠাত ভাই আ. মতিন (৫০) দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন। এসময় আব্দুল মতিন মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তাকে রড দিয়ে বেধম মারধর করা হয়।

এসময় মারধর ফেরাতে এসে গুরুতর আহত হন ইসমাইলের জেঠি বৃদ্ধা মোসা. রেজিয়া বেগম (৬০)। মারধর হতে রক্ষা করতে এগীয়ে এসে আহত হন ভূক্তভূগী অভিযোগকারির চাচাতো বোন মোসা. ইতি (২৬)। এসময় অভিযুক্ত ইমন ইসমাইলের বুক পকেট থেকে ১০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ারও অভিযোগ করেন। মারধর ঠেকাতে এগিয়ে আসেন ভূক্তভূগী ইসমাইলের সহদর বোন মোসা. রহিমা (৪২)। তাকেও লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্রাঘাতে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এছাড়াও অভিযুক্তরা ভূক্তভূগীর বসত বাড়ীঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক (৫০০০০০) টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

এঘটনায় দেশীয় অস্ত্রাঘাতে অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়ে চিৎকার চেচামেচির খবরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভূক্তভূগী পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনা কাউকে জানিয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করলে তাদের প্রাণ নাশ পরবর্তী লাশ গুম করে ফেলারও হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা বলেও অভিযোগ শুত্রে জানা গেছে। ভূক্তভূগী পরিবার জানায় চিকিৎসা গ্রহণ পরবর্তী স্থানীয় গণ্যমান্যদের অবগত করে থানায় অভিযোগে কিছুটা বিলম্ব হলো।

অভিযোগ দেয়ার পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবার আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। রাস্তাঘাটে দেখা হলে প্রতিপক্ষরা বলেন, তোদের বাড়িতে গিয়ে মারধর করেছি কিছুই করতে পারলি না।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় রিটন মিয়া ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বতর্মান আহবায়ক সদস্য। একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি।

এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভূগী পরিবারের স্বজনরা।

এ বিষয় গাছা থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয় মামলা করার জন্য বললে উভয় পক্ষ কিছু দিন সময় নেন বলে আমাদের জানান।

গাজীপুরে গার্মেন্টস কারখানা ভাংচুর, নৈরাজ ও মহাসড়ক অবরোধের প্রতিবাদে বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি

এম. আমজাদ খান :  ৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানা ভাংচুর, নৈরাজ্য ও মহাসড়ক অবরোধের প্রতিবাদে গাজীপুর মহানগর বিএনপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

টংগী পশ্চিম থানা বিএনপি’র উদ্যোগে বিসিক মোড়ে, মহানগরের গাছা থানার উদ্যোগে মালেকের বাড়িতে, বাসন থানার উদ্যোগে চান্দনা চৌরাস্তার শাপলা ম্যানসনের সামনে ও শালনা রোডের ইউটা ফ্যাশনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসকল অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র গাজীপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুরের সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান এর ছেলে মঞ্জুরুল করিম রনি উপস্থিত ছিলেন।

এসময় অবস্থান কর্মসূচি চলাকাল বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন কলকারখানার মালিক, কর্মকর্তা, শ্রমিকদের সাথে কর্মপরিবেশ নিয়ে কথা বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরের স্থিতিশীলতা যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এসব পথ সভায় মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, আওয়ামীগ ক্ষমতা হারিয়ে আজ পাগল হয়ে যাচ্ছে। তারা এ সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা তালবাহানা খুঁজছে। ইতিমধ্যে তারা আনসার হয়ে সচিবালয় ঘেরাও করেছে, রিকশাচালক হয়ে শাহবাগে অবস্থান করছে। এখন তারা বহিরাগতদের দিয়ে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার জন্য পায়তারা করছে। এর পিছনে আওয়ামী লীগের পেতাত্মারা কাজ করছে। বাকশালীদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মালিক, কর্মচারী, ছাত্র জনতা, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও সাধারণ পুলিশকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, আজ গাজীপুর মহানগর বিএনপি দেশনায়ক তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, তারেক জিয়ার নির্দেশে মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আজ কোথায়ও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নাই। আমরা শুনেছি মালেকের বাড়িতে ঘটতেছিল, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে প্রতিহত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা এ সরকারকে সময় দিতে চাই। এই সরকার নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে যে সময় লাগে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির গাজীপুর মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক সুরুজ আহম্মেদ, কাউন্সিল হান্নান মিয়া হান্নু, কাউন্সিল হাসান আজমল ভূইয়া, গাজীপুর মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আকম মোফাজ্জল হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর তানভীর হোসেন, কাউন্সিলর শাহীন আলম, বিএনপি নেতা আখতার হোসেন, বাসন মেট্রো থানার সভাপতি তানভীর সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, টংগী পশ্চিম থানার সভাপতি জাবেদ সরকার সুমন, সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন, বিএনপি সদর মেট্রো থানার সভাপতি এড. মেহেদী হাসান এলিছ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল, সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ খালেক আকন্দ, যুবদল সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান রাজু, যুগ্ম আহবায়ক সবুর ও প্রবাল, কৃষক দলের আহবায়ক খান জাহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব আতাউর রহমান, মহানগর ছাত্র দল সভাপতি রোকনুজ্জামান শুক্কুর, সাধারণ সম্পাদক মিরন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি জাফর ইকবাল জনি প্রমুখ।

প্রশাসনিক ব্যর্থতা স্বীকার করে স্বেচ্ছায় অধ্যক্ষের পদত্যাগ ; বেতন না পেয়ে বিপাকে কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা

সোনালী ভোর প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ হাওলাদার গত ২৭ আগস্ট স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। ঐদিন বিকেলে কলেজের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক, গাজীপুর বরাবরে লেখা পদত্যাগ পত্রে তিনি নিজের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছেন।

বর্তমানে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক পদে বহাল না থাকায় সভাপতি ও অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ।

অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, অধ্যক্ষ হারুর অর রশিদের স্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করার সুবাদে ভিসি হারুনুর রশিদের অনুকম্পায় প্রথমে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। পরে অধ্যক্ষ পদ শূন্য হলে সেই পদে ভারপ্রাপ্ত থাকাবস্থায় প্রসেসিং করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত না দিয়ে নিজের পছন্দের শিক্ষককে বসিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে অধ্যক্ষ পদ ভাগিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ, শিক্ষক গ্রুপিং তৈরি, ফেইসবুক প্রোফাইলে আওয়ামী দলীয়করণের ছবি, ছাত্রদের ব্যবহার করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করা, বিভিন্ন পরীক্ষার সময় অন্য কলেজ থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দূর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে দূর্নীতি দমন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ করে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়াসহ মোট আঠারোটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করছে দূদক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি।

ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজের অধ্যক্ষকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে রিপোর্ট পেশ করেছেন। তবে শুধু সম্পদের তথ্য বিষয়ক আরো বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করার জন্য ডিজি অফিস আরেকটি চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যক্ষ বিএম আব্দুল হান্নান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের কলেজ থেকে প্রাপ্ত বেতন দেয়া বন্ধ করে দেন তিনি। ফলে এমপিওহীন শিক্ষক কর্মচারীগণ গত দুই মাস যাবৎ বেতন না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। নতুন জেলা প্রশাসক যোগদান করার সাথে সাথে এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চান শিক্ষক কর্মচারীগণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ছাত্রলীগ দিয়ে এই আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করার অভিযোগও রয়েছে অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ এর বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পদত্যাগে বাধ্য হন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ।

তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। অভিযোগকারীর নাম ও মোবাইল নাম্বারের কোনো অস্তিত্ব নেই। তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেন।”