Advertisement

দ্বীপ-২ গার্মেন্টস এর ঝুট ভর্তি ট্রাক সন্ত্রাসীরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুর মহানগরের ৩২নং ওয়ার্ডের ডেগের চালায় অবস্থিত দ্বীপ-২ গার্মেন্টস এর ঝুট ছমির আলী চুক্তি অনুযায়ী ক্রয়করে ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে ট্রাক ভর্তি করে নেয়ার সময় ডেগেরচালা ফকির মার্কেটের ওয়াল্টন শো রুমের সামনে থেকে সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় আলমাছ খা, পিতা সরুপ খা, সোহেল, পিতা আব্দুল হামিদ মন্ডল, সালাহউদ্দিন, পিতা আলাউদ্দীন এর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ট্রাকের গতিরোধ করে ট্রাকটি বোর্ড বাজারের দিকে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ঝুট ব্যবসায়ী ছমির আলী বলেন, আমার নিজস্ব বিল্ডিং দ্বীপ-২ আমার কাছ থেকে ভাড়া নিয়াছে। শুরু থেকেই এর ঝুট কোম্পানির সাথে চুক্তি করে আমি বিক্রি করে আসছি। গতকালই প্রথম আমার বিক্রি করা ঝুট ভর্তি ট্রাক সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়।

তিনি আরোও বলেন, এলাকার কিছু সন্ত্রাসীর যোগসাজশে ট্রাক ছিনতাই করা হয়। তিনি এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে গাজীপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আসাদুজ্জামান আকাশ : বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরে শিক্ষাভবন, ঢাকায় সেসিপ প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ও সরকারি মাধ্যমিক বিভাগের বিভিন্ন শুন্য পদে দ্রুত পদোন্নতি/পদায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শহরের রাজবাড়ী রোডে রাণী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে বক্তারা শিক্ষাভবনে শিক্ষকের উপর হামলাকারীর শাস্তি দাবি করেন যাতে অনুরূপ ঘটনার পুণরাবৃত্তি না ঘটে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরেরর অধীনে সরকারী মাধ্যমিক শাখার বিভিন্ন দপ্তরের শুন্যপদে দ্রুত পদোন্নতি /পদায়নের দাবি জানানো হয়।

উক্ত মানববন্ধনে রানী বিলাশমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইয়েদ আমিনুল এহসান এর সভাপতিত্বে ও মোখলেছুর রহমান চৌধুরী টুটুল এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ, আসাদুজ্জামান, আব্দুল মতিন মিয়া, নাছরিন আঞ্জুমান রুনী, রায়হান উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, মো. রুবেল মিয়া প্রমুখ।

আয়াতুল্লাহ খামেনির মন্তব্যের কড়া নিন্দা জানালো ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যে মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খামেনি যে মন্তব্য করেছে তা অগ্রহণযোগ্য। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণবীর জয়েসওয়াল এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রণবীর জয়েসওয়াল বলেন, “ভারতের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা যে মন্তব্য করেছেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এসব ভুল তথ্য এবং অগ্রহণযোগ্য। যেসব দেশ সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলছে, তাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি, তারা যেন অন্যদের নিয়ে পর্যবেক্ষণ দেয়ার আগে নিজেদের কর্মকাণ্ডের দিকে নজর দেয়।”

ইরানের রাজধানী তেহরানে গত সোমবার ধর্মীয় নেতাদের একটি সমাবেশে বক্তব্য দেন খামেনি। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনের গাজা, ভারত ও মিয়ানমারে মুসলিমদের ‘দুর্দশা’ নিয়ে কথা বলেন। পরে ওই বক্তব্যের অংশ খামেনির এক্স অ্যাকাউন্টেও প্রকাশ করা হয়।

খামেনির ওই পোস্টে বলা হয়েছে, “মিয়ানমার, গাজা, ভারত অথবা অন্য যেকোনো স্থানে মুসলিমরা যে দুর্দশার মধ্যে রয়েছে, তার প্রতি যদি অমনোযোগী হয়ে পড়ি, তাহলে আমরা নিজেদের মুসলিম হিসেবে বিবেচনা করতে পারি না।”

রংপুরে ৩২ জন ছাত্র ও যুবকের এবি পার্টিতে যোগদান

বিশেষ প্রতিনিধি, রংপুর : গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে এবি পার্টি রংপুর মহানগর আহ্বায়ক এডভোকেট আব্দুর রউফ এর রংপুর জজ কোটস্থ চেম্বারে রংপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইমুন ইসলামের নেতৃত্বে ৩২ জন ছাত্র ও যুবক দেশ মেরামতের আহবানে সাড়া দিয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টিতে (এবি পার্টি) যোগদান করেন।

এবি পার্টির কোতোয়ালী মেট্রো থানার আহবায়ক আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির রংপুর মহানগর আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ, রংপুর জেলা আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মারজান ও মহানগর এবি পার্টির অন্যতম নেতা জামান।

যোগদান অনুষ্ঠানে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ সদ্য যোগদানকৃত ছাত্র-যুবকবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং আশা পোষণ করেন যে এভাবে ছাত্র যুবকদের হাত ধরে গড়ে উঠবে তারুণ্য দীপ্ত এক নতুন বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি গাজীপুর জেলা ও মহানগর এর এবি যুব পার্টিতে যোগদানকৃত যুবনেতা গোলাম রসুল দিনার এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে উক্ত ৩২ জন যুবক ও ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবি পার্টিতে যোগদান করেন।

ছাত্রসমাজ ও আলেম সমাজকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে : মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘৫ আগস্ট একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন মানুষের চোখে ভেসে উঠেছে। ছাত্রসমাজ ও আলেম সমাজকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সব ইসলামপন্থি দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেউ যাতে ঐক্য বিনষ্ট করতে না পারে, সেদিকে ছাত্র এবং উলামায়ে কেরামকে সচেতন থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বাগেরহাট জেলা খেলাফত মজলিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিনতাইয়ের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী বন্ধুরূপী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বুকের ওপর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী নীতিমালার আলোকে গণঅভিপ্রায় বিরোধী সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।’

মামুনুল হক বলেন, ‘হিন্দুরা যত ইচ্ছা মূর্তি তৈরি করতে পারবে; কিন্তু মুসলমানের কোনও স্থাপনার সামনে মূর্তি থাকতে পারবে না। হিন্দুদের পূজাকে সামনে রেখে নৈরাজ্যবাদীরা যাতে কোনও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলামসহ সব ইসলামি দলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। হিন্দুদের কোন মুর্তিতে কেউ হাত দেয়ার চেষ্টা করলে সেই হাত ভেঙ্গে দেয়া হবে।’

‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল বিভাজনের রাজনীতি। আমরা আর বিভাজন চাই না, আমরা সবাই মিলে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো। সেখানে সব ধর্মের লোক সমান অধিকার ভোগ করবে।’ বলে উল্লেখ করেন মাওলানা মামুনুল হক।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বাগেরহাট জেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা রমিজউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যয়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একমাসে ১৯৮ অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে 

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের একমাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ১৯৮টি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অতি স্বল্প জনবল নিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করা হলেও প্রথম দিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পাঠানো বিবিধ প্রস্তাব বিষয়ে দ্রুত গতিতে এবং আইনগত সব বাধ্যবাধকতা মেনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত একমাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ১৯৮টি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনপ্রশাসনের ১৩৫ জন অতিরিক্ত সচিব, ২২৭ জন যুগ্মসচিব ও ১২০ জন উপসচিবকে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৯টি জেলার জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নতুন ৫৯ জন জেলা প্রশাসককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৬৭ জন কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ১০ জন যুগ্ম সচিব, ৮ জন অতিরিক্ত সচিব এবং ৬ জন সচিবকে ওএসডি করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের ৮০ জন ডিআইজি, ৩০ জন পুলিশ সুপারসহ ১১০ জনকে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। একজন ডিআইজি, একজন এডিশনাল ডিআইজি এবং চারজন পুলিশ সুপারকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। আইজিপিসহ ১০ জন অতিরিক্ত আইজি, ৮৮ জন ডিআইজি, ২১ জন অ্যাডিশনাল ডিআইজি এবং ১৭৭ জন পুলিশ সুপারসহ মোট ২৯৭ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

ছয়টি কমিশনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সরফরাজ চৌধুরী, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এসব কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। কমিশনগুলোর আলোচনা ও পরামর্শসভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র, শ্রমিক, জনতা আন্দোলনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাজ আগামী পয়লা অক্টোবর থেকে শুরু করতে পারবে বলে আশা করছি এবং এটি পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আমরা ধারণা করছি। কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পরামর্শ সভার আয়োজন করবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র সমাজ, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক তিন থেকে সাত দিনব্যাপী একটি পরামর্শসভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এতে এই রূপরেখা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তার একটি ধারণাও দেয়া হবে।

এই আয়োজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্র পুনঃনির্মাণ তাগিদের ঐক্যবন্ধনে গোটা জাতিকে শক্তিশালী ও আশাবাদী করে তুলবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

 

জলঢাকায় মুকুলের দুটি কিডনি নষ্ট প্রয়োজন কয়েক লাখ টাকা

মানুষ মানুষের জন্য। তাই সকলের সহমর্মিতা ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করলে আর সকলের মতো বেচেঁ থাকার স্বপ্ন পুরন হতো এক সন্তানের জনক দুটি কিডনি নষ্ট  হওয়া মুকুল ইসলাম (৩২ )। নিজের যা ছিল সব কিছু বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়ে চিকিৎসা করলে ও চিকিৎসায়  রোগের কোন প্রতিকার না পেয়ে নিজ বাড়ীতে  ফিরে বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর ঘুনছেন তিনি।
অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধ পিতা মাতা চোঁখের সামনে সন্তানের কষ্ট দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে নির্বাক চোখে অশ্রু ঝরাচ্ছেন।  এদিকে নিরুপায় হয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের নিকট অসুস্থ  ছেলের দুটি কিডনি প্রতিস্থাপনের চিকিৎসার  জন্য আর্থিক সাহায্য ও সহায়তা চেয়েছেন দরিদ্র পরিবারটি৷ কর্মবিহিন অসুস্থ  মুকুল বর্তমানে  ঔষুধ কিনে যে খাবেন তার সেই আর্থিক অবস্থাও নেই।
এদিকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মুকুলকে উন্নত চিকিৎসা ও দুটো কিডনি প্রতিস্থাপনের ঙ জন্য দেশের বাহিরে নিয়ে চিকিৎসা করালে হয়তো নতুন এক জীবন ফিরে পেতে পারে। কিন্তূ উন্নত চিকিৎসা করাবেন সে সামর্থও নেই অসহায় মুকুলের। মুকুলের এমন অসহায়ত্ব দেখে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রম।
এলাকাবাসীর এ  কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে  এ যেন বাংলায় নির্মিত চলচিত্রের দুঃখী সিনেমার কল্প কাহিনীর বাস্তব চিত্র।
জানা যায়, দরিদ্র অসহায় দুটি কিডনি নষ্ট হওয়া মুকুলের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর চেড়েঙ্গা ময়দানের পাড় এলাকার হাজীপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার নুর মোহাম্মদ ধোঁদা ( ৭৮ ) এর তৃতীয় পুত্র। বৈবাহিক জীবনে মুকুল ৫ বছর বয়সের এক পুত্র সন্তানের জনক। সে কপি চায়ের মেশিন কিস্তিতে কিনে তা দিয়ে এলাকায়  ব্যবসা করে কোন মতে সংসার চালাচ্ছিলেন। এঅবস্থায় মুকুল গত ৩ বছর পূর্বে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ার ২ বছর পর পরীক্ষা করে জানতে পারেন তার দুটি কিডনি নষ্ট  হয়ে গেছে। গত ৩ বছর ধরে চিকিৎসা করে কোন প্রতিকার না পেয়ে আর্থিক সংকটের কারণে দেশের বাহিরে গিয়ে  চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ না থাকায় মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে ঘরের বিছানায় কাতরাচ্ছে।
মুকুলের পিতা নুর মোহাম্মদ ধোঁদা অশ্রু সিক্ত নয়নে প্রতিনিধিকে বলেন, ছেলের কষ্ট ও যন্ত্রণা দেখে মোর নিজের একটা কিডনি দিতে চাছুং বাবা। আমি শারীরিক অসুস্থতা থাকার কারণে ডাক্তার বলেছে এখানে হবে না, ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করালে সুস্থ হবে। কিন্তূ হামার সে সামর্থ নেই। আমরা গরিব মানুষ এতো টাকা কোটে পামো। এ জন্য আমি৷ দেশের  সকল শ্রেণী পেশার মানুষের নিকট ছেলের চিকিৎসার  জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন।
ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম জানান, আমাদের গ্রামের মধ্যে সব চেয়ে গরীব ও দরিদ্র মুকুলের পরিবার। চোঁখের সামনে ছেলেটার এমন মৃত্যু যন্ত্রণা এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই আমি সকলের প্রতি অনুরোধ করছি আপনাদের একটু আর্থিক সহযোগিতায় পারে দরিদ্র রোগাক্রান্ত মুকুলের জীবন রক্ষা করতে। পৌরসভার ৭ং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল মোশফেকুর রহমান বলেন, আমরা এলাকাবাসী উদ্দ্যেগ নিয়েছি আর্থিক সহযোগিতার। পাশাপাশি সকল মানুষের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি অসহায় মুকুলের পাশে একটু দাঁড়াতে।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, এ রোগিকে উপজেলা সমাজ সেবা অফিস কর্তৃক আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পূর্ণাবিত্তি দরখাস্ত আহবানের মাধ্যমে রোগী আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করলে নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সহ নগদ আর্থিক সহায়তা পাওয়া সুযোগ আছে।
অসহায় দারিদ্র্য মুকুল মিয়াকে আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শাখা জনতা ব্যাংকের হিসাব নাম্বার ০১০০১৯০০০১৫০০ বিকাশ ও নগদ  নম্বর ০১৭৪৮১৫১৪৫৯,  ০১৭৪৮১৫১৪৫৯

সাতক্ষীরায় স্বর্ণালঙ্কার ও মটরসাইকেল ছিনাইয়ের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের রাজ কুমার দেবনাথ গংয়ের বিরুদ্ধে চাঁদার টাকা না দেওয়া এক ব্যক্তির রাস্তা আটকে নগদ টাকা এবং মোটর সাইকেলসহ স্বর্ণের গহনা ছিনতায়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলানয়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কালিগঞ্জের বামনহাট গ্রামের মৃত অমল দেবনাথের ছেলে রঞ্জন দেবনাথ এই অভিযোগ করেন। তিনি এঘটনার প্রতিকারের দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি চাকুরির সুবাধে সাতক্ষীরা শহরে বসবাস করি এবং মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে যাই। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে থেকে একই গ্রামের (বামনহাট) কান্তিলাল দেবনাথের ছেলে রাজ কুমার দেবনাথ ও দেব কুমার দেবনাথ, মৃত অসিত কুমার দেবনাথের ছেলে কিংকর দেবনাথ আমার কাছে ৪লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতো।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ সেপ্টেম্বর গ্রামের বাড়ি থেকে সাতক্ষীরা আসার পথে বানিয়াজাংলা এলাকায় পৌছালে উল্লেখিত ব্যক্তিরা অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার গতিরোধ করে। এসময় তারা পুনরায় আমার কাছে চাঁদার টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বেদমমারপিট করে। এসময় আমার কাছে থাকা নগদ ৬৭ হাজার ৭শ’ টাকা, গলায় থাকা ১৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, (মূল্য-৯০ হাজার টাকা) একটি আংটি (৫৫ হাজার টাকা) এবং আমার ব্যবহৃত ২ লক্ষ ১০
হাজার টাকা মূল্যের সুজুকি জিক্সার ১৫৫ সিসি মোটর সাইকেল (সাতক্ষীরা ল-১২-৫৪৭০) জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।

রঞ্জন দেবনাথ আরো বলেন, ঘটনার সময় তাদের কাছে থাকা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ফাঁকা একটি প্যাডে আমার স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। এছাড়া একটি ভিডিও ধারণ করে নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। এসব বিষয়ে থানা পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে রাজ কুমার গংরা। এসময় আমি জীবনের ভয়ে সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে তারা আমাকে সাথে করে নিয়ে কালিগঞ্জ পার দেয়। যাতে আমি থানায় যেতে না পারি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পরের দিন কালিগঞ্জ গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বললেও তাদের কাছ থেকে কোন সহযোগিতার আশ্বাস পায়নি। ফলে এখন পর্যন্ত আমার মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পারিনি। তিনি ওই ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের কবল থেকে মোটরসাইকেল, নগদ টাকা এবং স্বর্ণের গহনা উদ্ধার পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামানা করেন।

এঘটনায় বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেন জানান, কান্তি দেবনাথের ছেলের চাকরি দেওয়ার কথা বলে রঞ্জন ও পলাশ ৫ লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু আজ ৮ মাস হয়ে গেল চাকরি ও টাকা কোনটাই দেয় না। গত ৭ সেপ্টেম্বর রঞ্জন গ্রামে আসলে লোকজন তাকে নিয়ে আমার পরিষদে আসেন। সেখানে একটা শালিস করা হয় এবং টাকা আগামী ১ মাসের মধে দিবে বলে. আঙ্গীকার করে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে লিখিত দেয়। তার মটর সাইকেলটি আমার জিম্মায় আছে। টাকা দিয়ে
মটরসাইকেল নিয়ে যাবে।

প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গত ১ সেপ্টেম্বর দেশ বার্তা নামক একটি অনলাইন পোর্টালে “মামলা তুলে নিতে বাদীকে অপহরণ” নরসিংদী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।

সংবাদটিতে আমাকে জড়িয়ে যে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদটি কারো প্ররোচনায় করা হয়েছে এটা সু-স্পষ্ট।

কারণ প্রতিবেদক আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই ছাড়া এমনকি আমার বক্তব্য গ্রহণ না করে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এতে প্রতিবেদক আমার উপর অবিচার করেছেন বলে আমি মনে করি।

আমি প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মনজুর এলাহী
সদস্য সচিব
নরসিংদী জেলা বিএনপি।

গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ ২৫ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

গাজীপুরে বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় কারখানায় ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার টঙ্গী, মহানগর, শ্রীপুর জয়দেবপুর এর বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের আন্দোলন শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সকাল ৯টা থেকে গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৩ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে এমট্রানেট গ্রুপ লিমিটেড নামে কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন পিনাকি গ্রুপ, ড্রেস ম্যান ও নোমান গ্রুপের শ্রমিকরা। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শ্রমিকও অংশ নেন। দুপুর আড়াইটার দিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ, পুলিশ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের দাবি মেনে নেন। পর এমট্রানেট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা সুজন, লাকি, সফিউল্লাহ, সুমন, পিএম মো. রানা, রফিক, সুপারভাইজার মুসা, নিলুফা, শান্তা, পিএম ফরিদ ও ওয়াহিদের পদত্যাগের দাবিতে বিকেল ৩টার পর থেকে আবারও আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা।
টঙ্গীর এমট্রানেট গ্রুপের শ্রমিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবিগুলো কয়েক বছর যাবৎ মৌখিক ও লিখিতভাবে উপস্থাপন করে আসছি। আজ মঙ্গলবার সকালে আমরা পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা একত্রে মিলে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছি।
অপরদিকে,শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার মেঘনা গ্রুপের হাই ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকরা ১৪ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী হাউ আর ইউ টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকদের বের করে আনতে গেলে হামলার শিকার হন হাই ফ্যাশনের শ্রমিকরা। এতে উত্তেজিত শ্রমিকরা হাউ আর ইউ টেক্সটাইলে ঢুকে ভাঙচুর চালান।
এদিকে, জেলার জয়দেবপুর থানার নতুন বাজার এলাকার এসএম নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় কারখানায় প্রবেশ করে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে অ্যাসরোটেক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা দুপুর ১২টার দিকে কারখানার প্রধান গেটে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে এসএম নিটওয়্যার ও অ্যাসরোটেক্স  লিমিটেডের শ্রমিকরা এ্যাপারেলস্-২১ লি. ও গ্রিন ফাইবার কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার গেটে গেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই দুটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেন। পরে দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকরা যার যার অবস্থান থেকে সরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন,  কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর দুপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, বিজিবির সঙ্গে মিলে পুলিশ কাজ করছে।