Advertisement

কাপাসিয়ায় ব্রিগে. জেনা. (অব.) আ.স.ম হান্নান শাহ’র ৮ম মৃতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

এম. আমজাদ খান : গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ১১/১ এর প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ.স.ম হান্নান শাহ’র ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণসভায় গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্রিগে. জেনারেল আসম হান্নান শাহ আজীবন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন, শেখ হাছিনা সরকার ধরেনিয়েছিল আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। এজন্য তারা দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছে। আজকে পত্রিকা খুললে শুধু তাদের দুর্নীতির চিত্র। হাছিনা বললো, সে পালায়না। আজ কে হেলিকপ্টার দিয়ে পালিয়েছে? হান্নান শাহ বিএনপি’র সকল দুর্দিনে বেগম খালেদা জিয়ার পাশে ছিল। আজ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামীলীগের কুচক্রী মহলরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বেপারে শতর্ক থাকতে হবে। আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের কাজ হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। আমি পরিস্কার করে বলতে চাই, সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করা হউক। তিনি আরো বলেন, সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যাবস্থা করলেই দেশের মঙ্গল, দেশের মানুষের মঙ্গল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা এম এ কাইয়ুম, বিএনপির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, হুমায়ুন কবির খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কালিয়াকৈর পৌরসভা মেয়র মো. মজিবুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর ফারুক সাফিন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা নায়েবে আমীর মাও. সেফাউল হক, গাজীপুর মহানগর বিএনপি সভাপতি শওকত হোসেন সরকার ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন রাকিব উদ্দীন সরকার পাপ্পু, মমতাজ উদ্দীন রেনুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আ.স.ম হান্নান শাহ ১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর গাজীপুরের কাপাসিয়ার ঘাগটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফকির আব্দুল মান্নান ছিলেন পাকিস্তান সরকারের খাদ্যমন্ত্রী। তার ছোট ভাই শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জেষ্ঠ বিচারপতি। হান্নান শাহ ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন, মুক্তি যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তান কারাগারে বন্দি ছিলেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে বিএনপিতে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ও পাটমন্ত্রী হন। ২০১৬ সালে ৬ সেপ্টেম্বর একটি গায়েবি মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার ডিওএইচএসের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১১ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে রেফেলস হার্ট সেন্টারে ৭৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *