Advertisement

গাজীপুরে শিল্প কারখানায় দুষ্কৃতকারীদের বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে বিএনপির শান্তিপূর্ণ শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

এম. আমজাদ খান : গতকাল ২৮ অক্টোবর বিকেলে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠে গার্মেন্টস-ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুষ্কৃতকারীদের বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়মিত পরিশোধের দাবীতে গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শেখ হাসিনা পালাইলেও তার দোসররা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত! তাদেরকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। না হলে আবারও তারা ফ্যাসিবাদের আগ্রাসন চালাবে। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি করবো শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করার ব্যাবস্থা করতে হবে। তাহলেই দীর্ঘ আন্দোলনের সু-ফল আমরা পাব। বহু রক্তের বিনিময়ে আজকে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি।

নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস অনেক বড় মাপের মানুষ। আমরা চাই তিনি দ্রুত রাষ্ট্রের সংস্থার করে একটি সুন্দর নির্বাচন ব্যবস্থা করবেন। এটাই আমাদের পরিস্কার বক্তব্য। আমার ভোট আমি দেব এর মাধ্যমেই দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। এর জন্য আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে হবে। শ্রমিক সমাবেশে বিএনপি শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন এড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, গাজীপুর জেলার সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন, গাজীপুর মহানগর বিএনপি সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকার, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসাইন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহ রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এম. মনজুরুল করিম রনির প্রতিনিধি, গাজীপুর জেলা শ্রমিক দল সভাপতি মো. মিনার উদ্দীন, গাজীপুর মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ সরকার।

শ্রমিক সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বিএনপির সহ-শ্রমবিষক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দীন সরকার, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, বিএনপির নেতা রাকিব উদ্দীন সরকার পাপ্পু প্রমুখ।

মৌলভীবাজার জেলা জমিয়তের শায়খুল হিন্দ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

মুহাম্মদ আমির উদ্দিন কাশেম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্দ্যোগে শায়খুল হিন্দ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) শহরের রুমেল কমিউনিটি সেন্টারে জেলার সদস্য সচিব মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী ও যুগ্ম সদস্য সচিব মুফতি আশরাফুল হকের যৌথ সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আহবায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল ইসলাম।

এতে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের আমির ও জেলা জমিয়তের উপদেষ্ঠা মুফতি রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। জমিয়তের সকল নেতাকর্মীকে শায়খুল হিন্দের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি প্রধান বক্তার দীর্ঘ বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী ছিলেন বিদগ্ধ আলেমে দ্বীন, ভারতবর্ষ স্বাধীনতার এক মহান সেনানী এবং রেশমী রুমাল আন্দোলনের পুরোধা।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, সিলেট জেলা সভাপতি মুফতি মজিবুর রহমান, সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা তাফহিমুল হক প্রমুখ।

রাঙামাটিতে জামায়াত-শিবির কর্মীদের মিডিয়া বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো জামায়াত-শিবিরের বাছাইকৃত কর্মীদের গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙামাটি জেলা শাখা। সাংগঠনিকভাবে দলীয় কর্মীদের নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ে আগ্রহী ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জামায়াত নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে রাঙামাটির বনরূপায় জামায়াতের কার্যালয়ের হলরুমে মিডিয়াকর্মী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম। এতে অন্যান্যের মধ্যে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সেক্রেটারি মনসুরুল হক, প্রচার সেক্রেটারি এড. হারুনুর রশিদসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আনোয়ার আল হক, প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য ও এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোলায়মান, দৈনিক মানবজমিন, এশিয়ান টিভির রাঙামাটি প্রতিনিধি ও সিএইচটি টাইমস টোয়েন্টি ফোর ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক আলমগীর মানিক।

কর্মশালায় রাঙামাটির সরকারী কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট, পৌর এলাকা, সদর উপজেলাসহ কাপ্তাই, লংগদু, নানিয়ারচর, রাজস্থলী, চন্দ্রঘোনাসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামায়াত ও শিবিরের বাছাইকৃত ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এই কর্মশালার মাধ্যমে তাদের নেতাকর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে যাতে ভবিষ্যতে এই প্রশিক্ষণার্থীরা সংগঠনের প্রচার সেলকে আরো শক্তিশালী করতে পারে এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম মিডিয়ায় তুলে ধরতে পারে।

এছাড়াও প্রত্যেকের এলাকার সফলতার গল্প এবং দূর্ভোগের চিত্র দেশ তথা সারাবিশ্বে তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবেন। জামায়াত-শিবিরের এই মিডিয়া প্রশিক্ষণার্থীরাই আগামীতে নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবে বলেও মন্তব্য করেছেন রাঙামাটির জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

গাজীপুরে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো যুগলের লাশ পরিকল্পিত খুন বলে দাবি স্বজনদের

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন দক্ষিণ ছয়দানার হাজির পুকুর এলাকার বিল্লাল মিয়ার ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে গাছা থানা পুলিশ।

নিহতরা হলেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার সিমলা গ্রামের বাবুল শেখের ছেলে মোহাম্মদ বিল্লাল শেখ (২৫) ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার বীরপুরন্দ গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে শ্যামলী আক্তার (২৭)।

জানা যায়, গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা এলাকায় মা বাবা ভাই বোন সাথে নিয়ে মোহাম্মদ বিল্লাল শেখ আক্তার মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আশা ছিল ইলেকট্রনিক্স এর কাজ শিখে বিদেশে যাবে। সেই মতেই চলছিল সবকিছু। হঠাৎ যেন কালো অন্ধকার নেমে এলো তাদের পরিবারে। রহস্যজনকভাবে লাশ মিলল পাশের বাসার বিল্লাল শেখের। এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিল্লাল শেখের বাবা এবং তার পরিবারের লোকজন। স্বজনের শোকে পরিবারের অনেক সদস্য বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।

বিল্লাল শেখের মা বলেন, মৃত্যুর পরে আমার ছেলেটাকে আমি একটু চোখের দেখাও দেখতে পারি নাই! পুলিশের কাছে দেখতে চাইলে তারা বলেন, আগে কেন দেখে রাখেন নি? এখন দেখার দরকার নেই। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। আমি মামলাটা পর্যন্ত দিতে পারলাম না। আমি এর বিচার এই সরকারের কাছে চাই।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার পাশের বাসার একটি কক্ষে বিল্লাল শেখ ২৫ এবং শ্যামলী আক্তার ২৭ কে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। শ্যামলী আক্তার বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে প্রীতি সোয়েটার লিমিটেড নামের একটি পোষাক তৈরি কারখানায় কাজ করতেন। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া জুয়েল মিয়া ও অন্য রুমের লোক রান্না করতে উঠলে হঠাৎ পাশের রুম থেকে চিৎকারের শব্দ আসে। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে সজোরে দুইজন মিলে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে বিল্লাল মিয়া ও শ্যামলীকে প্রায় অর্ধ উলঙ্গ দেখে তারা বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে দেন যাতে পালিয়ে যেতে না পারে। পরবর্তীতে তারা দরজা খুলে তাদের মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পান বলে জানিয়েছেন পাশের লোকজন।

পরে তারা বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে তারা ছুটি আসেন বাড়ি মালিক বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কেউ এই বাড়ি থাকি না। শুনেছি বিল্লাল শেখ নাকি মারা যাওয়ার আগের রাতে ছাদে বসেছিল। ঘটনাস্থল থেকে ছেলের কোন কাপড় পাওয়া যায়নি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যান।

উপ-পরিদর্শক মো. সুমন খান জানান, বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো অবস্থায় যুগলের লাশ উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মোহাম্মাদ রাশেদ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে যায় এবং দুটি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।

বিআরটিসি পাবলিক স্কুল, গাজীপুর এর নবনির্মিত ভবন এর শুভ উদ্বোধন

এস এম ইকবাল হোসেন, সম্পাদক  : অদ্য ২৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মহানগরের বিআরটিসি কার্যালয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন পাবলিক স্কুল এর নবনির্মিত ভবন ও প্রধান ফটক এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসি (গ্রেড-১) এর চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমি বিআরটিসির সর্বক্ষেত্রে দূর্নীতিকে শতভাগ নির্মূল করতে না পারলেও শূন্যের কাছাকাছি পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার দাবি পূরণে আমি আগেও সোচ্চার ছিলাম, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআরটিসি (আইসিডব্লিউএস ও ট্রেনিং) এর জিএম ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন পাবলিক স্কুল, গাজীপুর এর সভাপতি প্রকৌশলী ফাতেমা বেগম।

সার্বিক তত্ত্বাবধানে থেকে উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন অত্র স্কুল এর প্রধান শিক্ষক এস. এম ফয়জুল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও এবি পার্টি গাজীপুর জেলা ও মহানগর এর সদস্য সচিব সাংবাদিক এম. আমজাদ খান।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গাজীপুর এর ম্যানেজার (ট্রেনিং) প্রকৌশলী মুহাম্মদ মশিউজ্জামান ও ম্যানেজার (ডিপো) রাকিবুল ইসলাম শুভ।

কাপাসিয়ায় সাংবাদিক নেতা মিজানুর রহমানের এবি পার্টিতে যোগদান

বিশেষ প্রতিনিধি, কাপাসিয়া, গাজীপুর : গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) তে যোগদান করেন। তিনি এবি পার্টির কার্যক্রম দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই পার্টিতে যোগদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সদস্য সচিব ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য এবং এবি পার্টি গাজীপুর জেলা ও মহানগর এর সদস্য সচিব এম. আমজাদ খান, গাজীপুর জেলা ও মহানগর এর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ইকবাল হোসেন, এবি পার্টি গাজীপুর মহানগর এর বাসন থানার সদস্য সচিব সাংবাদিক মো. মমিন মিয়া ও কাপাসিয়া উপজেলার সমন্বয়ক আলী আকবর মাস্টার।

এসময় সদ্য যোগদানকৃত নেতা মিজানুর রহমান বলেন, আমি এবি পার্টিতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে সচেষ্ট থাকব এবং কাপাসিয়া উপজেলার একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে এবি পার্টির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

কাপাসিয়ায় ব্রিগে. জেনা. (অব.) আ.স.ম হান্নান শাহ’র ৮ম মৃতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

এম. আমজাদ খান : গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ১১/১ এর প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ.স.ম হান্নান শাহ’র ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণসভায় গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্রিগে. জেনারেল আসম হান্নান শাহ আজীবন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন, শেখ হাছিনা সরকার ধরেনিয়েছিল আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। এজন্য তারা দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছে। আজকে পত্রিকা খুললে শুধু তাদের দুর্নীতির চিত্র। হাছিনা বললো, সে পালায়না। আজ কে হেলিকপ্টার দিয়ে পালিয়েছে? হান্নান শাহ বিএনপি’র সকল দুর্দিনে বেগম খালেদা জিয়ার পাশে ছিল। আজ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামীলীগের কুচক্রী মহলরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বেপারে শতর্ক থাকতে হবে। আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের কাজ হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। আমি পরিস্কার করে বলতে চাই, সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করা হউক। তিনি আরো বলেন, সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যাবস্থা করলেই দেশের মঙ্গল, দেশের মানুষের মঙ্গল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা এম এ কাইয়ুম, বিএনপির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, হুমায়ুন কবির খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কালিয়াকৈর পৌরসভা মেয়র মো. মজিবুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর ফারুক সাফিন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা নায়েবে আমীর মাও. সেফাউল হক, গাজীপুর মহানগর বিএনপি সভাপতি শওকত হোসেন সরকার ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন রাকিব উদ্দীন সরকার পাপ্পু, মমতাজ উদ্দীন রেনুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আ.স.ম হান্নান শাহ ১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর গাজীপুরের কাপাসিয়ার ঘাগটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফকির আব্দুল মান্নান ছিলেন পাকিস্তান সরকারের খাদ্যমন্ত্রী। তার ছোট ভাই শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জেষ্ঠ বিচারপতি। হান্নান শাহ ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন, মুক্তি যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তান কারাগারে বন্দি ছিলেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে বিএনপিতে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ও পাটমন্ত্রী হন। ২০১৬ সালে ৬ সেপ্টেম্বর একটি গায়েবি মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার ডিওএইচএসের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১১ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে রেফেলস হার্ট সেন্টারে ৭৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের শোক প্রকাশ

বিশেষ প্রতিনিধি, গাজীপুর : সিনিয়র সাংবাদিক ও বিএফইউজে’র সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আমজাদ খান এবং সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সোনালী ভোর এর সম্পাদক এস এম ইকবাল হোসেন।

উল্লেখ্য, রুহুল আমিন গাজী রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তারা বলেন, রুহুল আমিন গাজী ছিলেন সংবাদপত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ছিলেন।

সারাজীবন তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদকর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে পতিত স্বৈরাচার সরকারের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সরব ছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে স্বৈরাচার সরকারের রোষানলে পড়ে তিনি দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ জীবন যাপন করেন। দীর্ঘ কারাবাসে থাকাবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ও মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

আন্দোলনের মুখে তামীরুল মিল্লাত টঙ্গীতে পদত্যাগ করেছেন মাওলানা মহতাব উদ্দিন

বিশেষ প্রতিনিধি : তামীরুল মিল্লাত টঙ্গীতে মাদ্রাসা ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গীর সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মহতাব উদ্দিন।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ছাত্রদের আন্দোলনে উত্তাল ছিল তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গী ক্যাম্পাস। ছাত্রদের একদফা এক দাবি ছিল সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মহতাব উদ্দিন এর পদত্যাগ। সময়ের পরিক্রমায় আন্দোলন আর সুদৃঢ় হতে থাকলে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান এর নিকট পদত্যাগ পত্র জমা দেন মাওলানা মহতাব উদ্দিন। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, মাওলানা মহতাব উদ্দিন তার চাকরীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। বারবার তিনি মুচলেকা দিয়ে চাকরিতে ফিরে আসলেও দুর্নীতি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেননি। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নেরও অনেক চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন বিগত দিনগুলোতে। তিনি স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের সহযোগিতায় মাদ্রাসার সকল বিভাগীয় জায়গায় একক আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। তার ভয়ে শিক্ষকরা পর্যন্ত কোন কথা বলার সাহস করতেন না। তার ব্যবহার ছিল খুবই নিম্ন পর্যায়ের।

আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফজাল জানান, অসংখ্য ছাত্রের নাম সংশোধনের নামে হয়রানি করেছেন তিনি। ছাত্রদের কাছ থেকে অধিক পরিমাণে টাকা আত্মসাৎ করতেন। যেই কাজে খরচ ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা সেই কাজে অফিসে বসে তার দালালদের মাধ্যমে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা করে নেয়ার রেকর্ডও আছে তার। আমার এক বড় ভাই সাব্বির আহমেদ গত রমজানে যখন অফিসে যোগাযোগ করে, তার সার্টিফিকেটের ফ্রেশ কপি তথা চার কপি কাগজ তুলবে যার জন্য তার কাছে চাওয়া হয়েছে ৬৫০০ টাকা। সে মাদ্রাসা অফিসে খবর নিয়ে জানতে পারলো যে অফিসিয়াল খরচ সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা। ততক্ষণে সাব্বির আহমেদ মাদ্রাসা ভিপি মহোদয়কে বিষয়টা অবগত করা হয়। তিনি অফিসে এসে কথা বললে ৬৫০০ টাকার কাজ ৩৩০০ টাকায় সম্পূর্ণ করে দেয়ার আশ্বাস দেন। তবুও নানান অজুহাতে তাকে হয়রানি করা হয়। এভাবে মাদ্রাসার সকল অফিসিয়াল জায়গায় দিনের পর দিন কোন এক অজানা শক্তিকে পুঁজি করে দুর্নীতি করে আসছিলেন মাওলানা মহতাব উদ্দিন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের থেকে মাদ্রাসার এক সিনিয়র কামিল শ্রেণীতে পড়ুয়া আকরাম খান জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আমি এই ক্যাম্পাসে পড়ালেখা করে আসছি। মাওলানা মহতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা সময় নানান অভিযোগ কিছু দিন পর পর উঠে আসে। দীর্ঘদিন পড়ার সুবাদে মাদ্রাসার দায়িত্বশীল সম্মানিত শিক্ষকদের সাথে মাদ্রাসার নানান বিষয়ে কথা বলার সুযোগ হয়। নাম জানাতে অনিচ্ছুক কিছু শিক্ষক আমাকে সোনালী ভোর এর প্রতিনিধিকে করেছেন এই অভিযুক্ত মাহতাব উদ্দিন মাদ্রাসার নির্মাণের কাজে লক্ষ লক্ষ টাকার কমিশন খেয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। নির্মাণ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, হোস্টেল এবং অফিসে একক আধিপত্য বিস্তার ছাত্র এবং অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছিলেন তিনি।

ফাজিল শ্রেণীতে পড়ুয়া নাহিদ হাসান জানান, বিগত স্বৈরাচারের দোসরদের সাথে গভীর সম্পর্ক রেখে মাহতাব উদ্দিন নানান অপকর্ম করে আসছেন। আমরা কিছুদিন আগে মাদ্রাসার ভিপি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ এর এক বক্তব্যতে শুনেছি কে-বা কারা নাকি আমাদের ক্যাম্পাসের অফিসিয়াল কাগজপত্র নিয়ে দীর্ঘদিন ঝামেলা করে আসছিল। ক্যাম্পাসকে সামনের দিকে পথ চলতে বাধাগ্রস্ত করে রেখেছেন। পরবর্তীতে আমরা কিছু ছাত্র এই বিষয়ে অধিক আগ্রহ থেকে তদন্ত করতে থাকি কে এমন ক্ষতি করলো আমাদের ক্যাম্পাসের এতদিন অফিসিয়াল কাগজপত্র আটকিয়ে রেখে। আমরা এক পর্যায়ে জানতে পারি মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মহতাব উদ্দিন একক ক্ষমতার মাধ্যমে আওয়ামী স্বৈরাচার দোসরদের সাথে গভীর সম্পর্ক করে এমন কাজ করেছেন।

মাদ্রাসা কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংসদ (টাকাসু)’র ভিপি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মহতাব উদ্দিনকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে নানান লেখালেখি করে আসছিল ছাত্র এবং অভিভাবকরা। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত বেশ কিছু দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত তথ্য প্রমাণসহ সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে একদফা এক দাবি মাওলানা মহতাব উদ্দিনের পদত্যাগ চাই। একপর্যায়ে মাওলানা মহতাব উদ্দিন সকল অভিযোগ গ্রহণ করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ পত্র জমা দেন মাদ্রাসা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর নিকট।

সুপেয় পানির রিজার্ভ ট্যাংকি হিসাবে খ্যাত পঁচাদীঘিতে কেমিক্যাল দিয়ে বরশি বেয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি 

দেশের উপকুলীয় জেলার অন্যত্বম জেলা বাগেরহাট। এ জেলায় খাবার পানির তীব্র সংকট রয়েছে। খাবার বা সুপেয় পানির জন্যে এ জেলার মানুষ পুকুরের পানি ব্যবহার করে থাকে। সুপেয় পানির জন্যে প্রশিদ্ব রয়েছে, হযরত খানজান আলী (রহঃ) এর আমলে তারই খননকৃত বাগেরহাট শহরের পাশে “পঁচা দীঘি”। আর এ পঁচা দীঘি বাগেরহাট পৌরবাসীর সুপেয় পানির রিজার্ভ ট্যাংকি হিসাবে খ্যাত।এই দীঘি থেকে পানি নিয়ে জীবন বাচান হাজার হাজার এলাকাবাসী

এ দিঘিতে বরশি দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নেওয়ায় ফুসে উঠেছে এলাকা বাসী। আগামী ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দুই দিন ১১৫ টি ঘাটে মোট ২৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সৌখিন বৈশ্যেলদের জন্য বরশিবাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এলাকাবাসী জানান, এই পঁচা দীঘির পানি আমাদের এই আসপাশের জন সাধারন ব্যাবহার করেন। বরশি বাওয়ার কারনে পানি দুষিত হয় আমরা পানি খেতে পারি না। সৈরাচার হাসিনা সরকারের সময় শেখ পরিবারের সহযোগীতায় বরশি বাওয়া হতো এসময় আমরা এই দীঘির পানি ব্যাবহার করতে পারিনাই। সে সময় শেখ পরিবারের বিরুদ্বে কথা বলতে পারিনাই। এখন অন্তবর্তিকালিন সরকারের সময় ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে বরশি দিয়ে মাছ ধরছে এটা কি ধরনের আচরন।
এবিষয়ে কাড়াপাড়া মির্জাপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর সদস্য শুকুমার বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসক মহদয়ের সাথে আমাদের যে শর্ত ছিল সেখানে ৭ নং সর্তে বলা হয়েছে জনস্বাস্থ্য হানিকর ও পানি দূষন কারী কোন দ্রব্য ব্যাবহার করতে পারবেন না। সেখানে কেমিক্যাল দিয়ে বিভিন্ন চার বানিয়ে বরশি বাইলে পানি দূষন করা হবে। তাহলে আমরা ৭ নং শর্ত অনুযায়ী এ শর্ত ভঙ্গ করা হল বলে মনে করি।

কাড়াপাড়া মির্জাপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ দিদারুল আলম বলেন, ২০১১ সালে আমরা আমাদের এই সমিতি প্রতিষ্ঠা করি। আমরা প্রতিদুই বছর পর পর এই সমিতির কমিটি গঠন করি আমাদের এই সমিতির মোট ২১ জন সদস্য রয়েছে তাদের মধ্য থেকে আমরা সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত করি। সম্প্রতি এই সমিতি দেকভাল করেন আলমগীর হোসেন এবছরের কোন হিসাব নিকাশ আমরা পাই নাই বিভিন্ন সময় এই আলমগী আমাদের না জানিয়ে কমিটি উপহার দেয় এটা কি করে সম্ভাব নিয়োম নিতির তোয়াক্কা নাকরে মন গড়া কমিটি দাখিল করছে। এই যে, বরশি বাওয়া দিয়েছে আমাদের কমিটির সাথে কোন আলোচনা না করে কি করে আলমগীর মাছ ধরছে এটা সম্পূর্ণ অনিয়ম আমরা এবিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

নাম প্রকাশ না শর্তে এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমাদের এলাকার খাবার পানি উপযুগি একমাত্র পুকুর “পচাদীঘি”। এ পুকুরে পানি আমরা খাই এবং গৃহস্থলির কাজে ব্যবহার করি।কিন্তু একটি স্বার্থনেশ্বীমহল এ পুকুরে মেডিসিন দিয়া টিকিটের বিনিময় মাছ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ পুকুরে মেডিসিন দিয়া মাছ ধরলে পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে যাবে। এ পুকুরের পানি নষ্ট হলে আমাদের কষ্টের সীমা থাকবে না।

এদিকে জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর বাগেরহাট এর নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত মল্লিক বলেন, ২০২১-২০২২ সালের অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যায়ে পৌর বাসির জন্য পঁচা দীঘিতে সুপেয় পানির জন্য রিজার্ভ ট্যাংকি স্থাপন করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, পঁচা দীঘিতে যদি কেমিক্যাল ব্যবহার করে বরশি দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি চলে থাকে, তার কারণে যদি পানি নষ্ট হয় আমি বিষয়টি বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।