Advertisement

দেশের ক্রান্তিলগ্নে যানযট নিরসন, খাবার পানি ও বিস্কুট বিতরণ করেন লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি ও লিও ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ সিটি

শায়েস্তাগঞ্জ এ প্রতিটা মোড়ে ট্রাফিকে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবীরা

তুহিনুর রহমান তালুকদার, স্টাফ রির্পোটার : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ট্রাফিকের দায়িত্ব নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীরা। শুক্রবার (৯ আগস্ট সকাল থেকে শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যানজট নিরসনের জন্য তাদের কাজ করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। কারো হাতে লাঠি, মুখে বাঁশি। ট্রাফিক পুলিশের মতো ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা।

এদিকে রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনকে দেখা যায়নি। তবে সতর্কতা অবস্থানে দেখা গিছে সেনাবাহিনীদের। ট্রাফিকের সমন্বয়কারী হিসেবে যিনি ছিলেন উন্নয়ন সমাজসেবা পরিষদ এর দায়িত্বশীলরা, এইচ.শাহিন আলম প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ও তানভীর আহম্মদ সিনিয়র-সভাপতি, আল আমিন সাঈফী অত্র সংগঠন। ‘সকাল থেকেই শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন মোড়ে উদ্যোগে অবস্থান করি। যাতে যানজট না হয়।’

এতে অনেক সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন অনেক পথচারী এবং দুপুরের কর্মরত শিক্ষার্থীদেরকে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন ফারদিন-মারদিন হোটেলের মালিক,আব্দুল আহাদ।

যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আলিফ সুবান ডিগ্রী কলেজ মিরপুরের BNCC সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট টুমরো সকল, সদস্য বৃন্দ। আরও ছিলেন মহিউদ্দিন,শায়েস্তাগঞ্জ।

বৃন্দাবন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোছাম্মদ মীর শিমু আক্তার। উন্নয়ন সমাজসেবা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাহিন আলম, এদের সকলের মনিটরিং করেছেন: সমন্বনয়ক আল আমিন সাইফী।

এ অবস্থায় শহরবাসীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব বোধ থেকে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না আসা পর্যন্ত এই কাজ চালিয়ে যাব।’

পথচারীরা বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে। এতে আরো বেশি ভালো লাগছে।’ তারা বলেন, নতুন উদ্যোগে, নতুন উদ্যমে দেশটি এগিয়ে যাক। রিকশাচালক কাওসার মিয়া জানান, ছাত্ররা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে, দেখে খুব ভালো লাগছে।।

আদিবাসী স্বীকৃতি নিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের আদিবাসী হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি বাস্তবায়ন করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে পৃথক বিচ্ছিন্ন করে পৃথক রাষ্ট্রে পরিণত করবে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারি চক্র। সুদূর প্রসারি এই চক্রান্ত বাস্তবায়নে জড়িত রয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গোষ্ঠি। শুক্রবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে রাঙামাটিতে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব অভিযোগ করেন।

শুক্রবার দুপুরে রাঙামাটি শহরের বনরূপায় অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটির সাধারণ সম্পাদক মো: তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: হাবীব আজম, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটির সহ-সভাপতি কাজি জালোয়া, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মো: শহিদুল ইসলাম, পৌর শাখার সভাপতি মো: পারভেজ মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

এসময় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আদিবাসী হতে হলে ভূমি সন্তান হতে হয় এবং হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করতে হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, মায়ানমার ও চীন হতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অভিবাসী হিসেবে এসে বসতিস্থাপন করলে ভূমি সন্তান হওয়া যায় না।

মূলতঃ আদিবাসী স্বীকৃতির নামে আলাদা রাষ্ট্র “জুম্মলেন্ড” প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কতিপয় উপজাতীয় ও দেশীয় কুচক্রী মহল। এইসব কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিহত করার আহবান জানান বক্তারা।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা শিক্ষার্থীদের মাঝে মোস্তফা চেয়ারম্যান স্মৃতি সংঘের খাবার বিতরণ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  রাঙামাটিতে মোমবাতি প্রজ্জলন

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দীর্ঘ সংগ্রামে শত শহীদের স্বরণে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি শহরে মোমবাতি প্রজ্জলন ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক (দেশাত্মবোধক গান) অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে কয়েকশো শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণী ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন।

এতে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, সাবেক সভাপতি সামশুল আলম, দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার চীফ রিপোর্টার আলমগীর মানিক, গরবা ট্যুরিজমের ফাউন্ডার এ্যান্ড সিইও টোয়ার সভাপতি বাদশা ফয়সাল, তরুণ উদ্যোক্তা শেখ তাসনিফ হায়দার নির্জন, সাংবাদিক ইয়াছিন রানা সোহেলসহ বিভিন্ন পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নিহতদের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু করা হয়। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও দেশাত্ববোধক গান গেয়ে সন্ধ্যারাতে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলন করে অংশগ্রহণকারিরা।

রাঙামাটি জেলার সমন্বয়ক আব্দুল আহাদ, তানভীর রাহাত, আফিয়া আক্তার, শরিফুল ইসলাম সাকিল, মোস্তফা রাজু, রোমান, মুহাম্মদ জসিম, সিগমা রশীদ তাবিয়া, মুহাম্মদ রাকিব, আবু আবরার আলভী, রোবায়েত হোসেন তুহিন, শাহীনুর আবছার, মুহাম্মদ শাহজাহান, মুহাম্মদ প্রিন্সের নেতৃত্বে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের অন্তবর্তীকালীণ সরকারের প্রথমদিনকে ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে স্মরণীয় করে রাখার পাশাপাশি আগামীতে একটি সম্মৃদ্ধশীল রাঙামাটিতে জবাবদিহিতামূলক সমাজ বিনির্মাণে নিজেদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন প্রায় অর্ধ হাজারো অংশগ্রহণকারি।

গাজীপুরে ব্রি’র মহাপরিচালকের স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন

অধ্যাপক আবুল হোসেন চৌধুরী : বাংলাদেশ ধানগবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. শাহজাহান কবীর স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেছেন।

আজ ১০ আগস্ট (বুধবার) তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।

ব্রি সূত্রে জানা যায়, তিনি ১৯৯৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরিতে যোগ দেন। পরে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট একই প্রতিষ্ঠানে ডিজি পদে দায়িত্ব পান। সর্বশেষ তিনি ওই পদে ডিজি পদেই টানা সাত বছর চাকুরি করে আসছিলেন।

একান্ত ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৮আগস্ট তিনি একান্ত ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেন।
এ পদে যোগদানের আগে তিনি এ প্রশাসন ও সাধারণ পরিষদ হিসেবে ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৮৭ সালে অনার্সসহ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে অনার্সসহ বিএসসি, ১৯৮৮ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ১৯৬৬ সালে নেত্রকোণা জেলার দিগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। ডিজিকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

লুটপাট ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান নতুনধারার

বিশেষ প্রতিনিধি : লুটপাট ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতৃবৃন্দ।

গতকাল ৭ আগস্ট প্রেরিত বিবৃতিতে নতুনধারার চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষকবন্ধু আব্দুল মান্নান আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেন পলাশ, ডা. নূরজাহান নীরা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা প্রমুখ বলেন, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতেই সীমাহীন লুটতরাজ চালাচ্ছে ছাত্র-যুব-জনতা বিরোধী সন্ত্রাসী চক্র।

সেই সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে সাংবাদিকবৃন্দ। এই লুটতরাজ ও সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে এখনই প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহবান জানান নতুনধারার চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাজধানী ঢাকার শতাধিক ভবন, মার্কেট, এমন কি এফডিসির মত প্রতিষ্ঠানও দখলের অভিযোগ উঠেছে। অতএব, এখনই পদক্ষেপ নিন।

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যানযট নিরসন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা রোভার প্রশংসানীয় কার্যক্রম

মো. নবী হোসেন, নারায়ণগঞ্জ : আজ ৭ আগষ্ট বাংলাদেশ স্কাউটস নারায়ণগঞ্জ জেলা রোভারের উদ্যোগে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যানযট নিরসন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা রোভারের সক্রিয় ইউনিটের রোভাররা সেবামূলক কার্যক্রম তথা যানযট নিরসনে আনসার বাহিনীকে সহযোগিতা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা রোভারের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ স্কাউটস নারায়ণগঞ্জ জেলা রোভারের মাননীয় কমিশনার স্কাউটার শরীফ মোহাম্মদ আরিফ মিহির ও নারায়ণগঞ্জ জেলা রোভারের সম্পাদক স্কাউটার এইচ এম ফারুকুল ইসলামের উপস্থিতি ও নেতৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের কোষাধ্যক্ষ স্কাউটার মো. নবী হোসেন ও পিআরএম টাস্ক ফোর্সের সদস্য সচিব রোভার অনিক রোভারদের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা রোভারের মাননীয় কমিশনার স্কাউটার শরীফ মোহাম্মদ আরিফ মিহির বলেন, রোভাররা সব সময় ভালো ভালো কাজ করে থাকে, তোমরা যারা কাজ করবে, রোভাররা সব ধরণের সেবামূলক কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে প্রস্তুত থাকে। নারায়ণগঞ্জ জেলা রোভারের সম্পাদক স্কাউটার এইচ এম ফারুকুল ইসলামের বলেন, আমরা কাউকে খুশি করার জন্য নয় সেবার মনমানসিকতা নিয়ে এই কার্যক্রম সফল ভাবে পরিচালনা করব।

এই বিজয় ছাত্র-জনতার, এই বিপ্লব বেহাত হতে দেয়া যাবে না : খেলাফত মজলিস

স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়াতে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ছাত্র-জনতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শহরে বিজয় মিছিল করেছে খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখা।
খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন বলেন, গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এদেশের ছাত্র-জনতার গণআকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট-স্বৈর শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটেছে। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমরা এই আন্দোলনসহ বিগত সময়ে যত মানুষ অন্যায়ভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করছি। যত মানুষ আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদেরকে আবারো স্মরণ করছি এবং সুস্থতা কামনা করছি। সাম্প্রতিক আন্দোলন সংগ্রামে সাহসিকতার সাথে রাজপথে অংশগ্রহণ করার জন্য আমরা সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এই বিজয় ছাত্র-জনতার। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিনির্মাণের শপথ নিতে হবে। এই অর্জন কুক্ষিগত হতে দেয়া যাবে না। ছাত্র-জনতাকে তা পাহারা দিতে হবে। আমরা অবিলম্বে আন্দোলনরত ছাত্র ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি। একটি কুচক্রী মহল আন্দোলনে ঢুকে পড়ে সহিংসতা চালিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। ছাত্র-জনতা এসব কিছু রুখে দিবে, এই বিপ্লব বেহাত হতে দিবে না ইনশাআল্লাহ।
৬ আগস্ট মঙ্গলবার বাদ যোহর, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন- খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যাপক শাহ আলম, ডা. শামীম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কবির হোসাইন, হানিফ কবির বাবুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল গনী, ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাফেজ মুহাম্মাদ আওলাদ, বন্দর থানা সভাপতি মুফতী আবুল কাসেম, সোনারগাঁও থানা সভাপতি মুফতী সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী যুব মজলিসের মহানগর সভাপতি প্রভাষক মাইদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ, জেলা সভাপতি তৌফিক বিন হারিছ প্রমুখ।

টঙ্গীতে জামায়াতের উদ্যোগে বিজয় ও শোকরানা মিছিল অনুষ্ঠিত