Advertisement

পূর্বধলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গ্রাফিতি লিখন কর্মসূচির সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বুধবার (২১ আগষ্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পূর্বধলা উপজেলার সম্বনয়ক নাকিব আহমেদ সেতু বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আকাইদুল ইসলাম রোমান, উজ্জ্বল, সাবেক ছাত্রনেতা মুকুল কায়সার আকন্দ, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাবুল মিয়া, সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম আঙ্গুর, বাদশা, পূর্বধলা সরকারি কলেজে শাখার সাবেক সভাপতি হৃদয় খান নাঈম, নাজিম খান, রুহুল সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম তালুকদার, এমপি আহমেদ হোসেনের সহদর ভাতিজা মিজানুর রহমান মুজিবর, সাবেক ছাত্রনেতা জাহিদ হাসান সাকিন, সাজ্জাদ হোসেন, মো. মনি, হেদায়েত উল্লাহ সিয়ামসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন। স্থানীয় ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট সন্ধ্যার পরে উপজেলার পূর্বধলা বালিকা উচ্চ রোডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে গ্রাফিতি লিখন কর্মসূচি পালন করছিল।

এমন সময় হঠাৎ করে ৮/১০ টা বাইক দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতারা দেওয়ালে লিখা অবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মারধরের ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালাচ্ছে।

মানব সেবায় সক্রিয় অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন এসো আলোর সন্ধানে যুব সংগঠন

মো. নবী হোসেন, নারায়ণগঞ্জ : আজ নারায়ণগঞ্জের আলী আহমদ চুনকা পাঠাগারে আয়োজিত কৃত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মানব সেবায় সক্রিয় অবদানের জন্য এসো আলোর সন্ধানে যুব সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সমাজ সেবামূলক কাজে বর্তমানের তরুনরা এগিয়ে যাচ্ছে ঝড়ের বেগে। যেখানেই সমাজের অবক্ষয় সেখানেই ঝাপিয়ে পরে এই তরুন সংগঠক বৃন্দ।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত রেজিষ্ট্রেশন নং নারায়ণগঞ্জ-৭০/সদর-৩৫ এসো আলোর সন্ধানে যুব সংগঠন।

২০১৫ সালের ৬ জুলাই মো. নবী হোসেনের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংগঠনটি। যা এখন পযর্ন্ত মানব কল্যানে অবদান রেখে চলছে। টুয়েন্টি ফোর কোচিং সেন্টার কর্তৃক আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসো আলোর সন্ধানে যুব সংগঠনকে মানব সেবায় সক্রিয় অবদানের জন্য এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সম্মাননা গ্রহণ করেন এসো আলোর সন্ধানে যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও যুব সদস্য বৃন্দ। টুয়েন্টি ফোর কোচিং সেন্টারের পরিচালক এম এ মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংস্থার সম্পাদক এম এ হায়ার আলী রানা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নাট্যঅঙ্গনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু, টুয়েন্টি ফোর কোচিং সেন্টারের প্রিন্সিপাল মো. আল-আমিন, এসো আলোর সন্ধানে যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো নবী হোসেন, শিক্ষক হাজী আওলাদ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়।

অনুষ্ঠানে এস এস সি পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি দিলরুবা খান

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ) ড. শাহনওয়াজ দিলরুবা খান মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন।

গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। ড. শাহনওয়াজ দিলরুবা খান ১৭তম বিসিএস- এ প্রশাসন ক্যাডারে প্রবেশ করেন।

চাকরিজীবনে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকসহ মাঠ প্রশাসনে তিনি দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, মহিলা বিষক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক, ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি সরকারের একজন সৎ নিঃলোভ ও মানবিক কর্মকর্তা। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার এই কৃতি সন্তান এলাকায়ও সাধ্যমত মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। এলাকার নারী সমাজের উন্নয়নে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ফিরোজা আরিফ মহিলা উন্নয়ন সংস্থা ও ফিরোজা আরিফ টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।

গাজীপুরে হাসিনা কাদেরসহ আ.লীগের শীর্ষ ১৩৫ নেতার নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা

গাজীপুর থেকে আবুল হোসেন চৌধুরী : গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নূর আলম (২২) নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, মেহের আফরোজ চুমকি, রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্ল্যাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা মতিউর রহমান মতিসহ ১৩৫ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত  আরও ১০০-১৩০ জনকে আসামি করে বাসন থানায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় মামলা করেন নিহত নূর আলমের বাবা মো. আমির আলী (৪৪)। বাদীর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের মোল্লাপাড়া মধ্য কুমরপুর এলাকায়। তিনি গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিপাড়া এলাকার চিকিৎসক নাহিদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ২০ জুলাই সকালে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয়জনের নির্দেশে বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, লোহার রড, রামদা, ছেন, চাপাতি, কোপাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের তেলিপাড়াস্থ হানিমুন রেস্টুরেন্টের সামনে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর হামলা করা হয়। এক পর্যায়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ সেখানে উপস্থিত থেকে এবং হুকুম দিয়ে অন্য আসামিদের দিয়ে ছাত্র-জনতার উপর গুলি করান। ওই সময় তাদের ছোড়া গুলি নূর আলমের ডান চোখের উপরের অংশ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে শোকাহত হয়ে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কোনো আইনি সহায়তা নেননি তিনি। পরে বিবাদীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে এবং দেশের বিদ্যমান অরাজকতা পরিস্থিতির কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এবি পার্টিকে ঈগল প্রতীকে নিবন্ধন দিলো নির্বাচন কমিশন

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা : হাইকোর্টের আদেশের পর রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।

নতুন নিবন্ধন পাওয়া এ রাজনৈতিক দলটির প্রতীক ঈগল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ৫০। এর আগে গত সোমবার রাজনৈতিক দল হিসেবে এবি পার্টিকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

এবি পার্টি হলো জামায়াতে ইসলামীর সংস্কারপন্থীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল। ২০২০ সালের ২ মে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য আর সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি।

২০২৩ সালে ২৪ জুলাই দলটির নিবন্ধনের আবেদন খারিজ করে নির্বাচন কমিশন চিঠি দেয়। এই চিঠির বৈধতা নিয়ে দলটির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ওই বছরেরই ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন।

রাজনৈতিক দল হিসেবে এবি পার্টিকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত বছরের ৩১ আগস্ট রুল জারি করেছিল আদালত।

শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল

সুফি আলম মন্ডল, নিজস্ব প্রতিবেদক, টাংগাইল : আজ রবিবার বেলা দশটায় কলেজে বর্তমানে অধ্যায়নরত সকল শিক্ষার্থী উক্ত কলেজের প্রিন্সিপাল বখতিয়ার হোসেনের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদত্যাগের দাবিতে একাডেমিক ভবনের সামনে একত্রিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা সুশৃংখল ভাবে প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে প্রবেশ করে এবং পদত্যাগের কারণসমূহ স্যারের সামনে তুলে ধরে। শিক্ষার্থীদের কারণসমূহ শুনে প্রিন্সিপাল স্যার পদত্যাগের জন্য রাজি হন এবং পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন। শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করা পদত্যাগের কারণসমূহ তুলে ধরা হলো :

১) বৈষম্য বিরোধী যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো প্রকার সাহায্য করা হয়নি এমনকি বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও নিম্নর কোনো প্রকান্তা না করে আমাদের জোরপূর্বক বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আমাদের হল ত্যাগে বাধ্য করেছে।

২) উনি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে ক্যাম্পাসের জন্য বাজেট হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রকার দৃশ্যমান উন্নয়ন করেনি। যেমন : হল, ৬ দফা, একাডেমিক ভবন, সাবস্টেশন, সোলার, জেনারেটর ইত্যাদি।

৩) প্রতি বছর ২ টি মিল ভিজিট আবশ্যিক থাকা সত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাচের মিল ভিজিট করাতে ব্যার্থ হয়েছেন এবং মিল ভিজিটের টাকা কুক্ষিগত করে রেখেছে।

৪) উনার দায়িত্ব নেওয়ার পূর্ববর্তী বছরে বুটেক্সের সকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমুহের মধ্যে আমাদের কলেজ ১ম হয়েছিলো। অথচ উনার দায়িত্বকালীন সময়ে সেশনজট, ফলাফল বিপর্যয় এবং নিয়মিত ইয়ারলসের মত ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে দাড়িয়েছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যথগাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ হয়েছে।

৫) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বাবদ যে টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ও সরকারি ভাবে নেয়া হয় তার যথাযথ ব্যাবহার করা হয়না এবং এর হিসেব জানতে চাইলে পরোক্ষভাবে ইয়ারলসের হুমকি দেয়া হয়।

৬) প্রিন্সিপালের অনিয়ম ও স্বৈরাচারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষার্থী মুখ খুললেই তার নেতৃত্বাধীন গোপন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেই শিক্ষার্থীকে একাডেমিক ও মানষিকভাবে হয়রানি করা হয় এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে রিটেক/ইয়ারলসের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষকদের কম নাম্বার প্রদানে বাধ্য করা হয়।

৭) ক্যাম্পাস ও ছাত্রীহলের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এমনকি পূর্বে ছাত্রী হলে চুরির ঘটনা ঘটা সত্বেও এর সুষ্ঠু সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

৮) ক্যাম্পাসের ল্যাবগুলো প্রায় অচল হওয়া সত্বেও এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

৯) যেকোনো প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উনার সাথে সাক্ষাত করতে চাইলে অনুমতি প্রদান করে না। এ সময় প্রিন্সিপাল স্যারের বিদায় কালে কলেজের প্রত্যেক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্যারকে ফুল দিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।

এবি পার্টিকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার : সকল শর্ত পুরণ সত্বেও অন্যায়ভাবে এবি পার্টিকে নিবন্ধন না দেয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে করা এবি পার্টির রিট মামলার আজ চুড়ান্ত রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

রায়ে এবি পার্টিকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের যৌথ বেঞ্চে আজ ১৯ আগস্ট সোমবার বেলা ২ টায় এই রায় ঘোষণা করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনস্থ ৮ নম্বর কোর্টে এই রায় প্রদান করেন বিচারপতিদ্বয়। রায়ে সকল শর্ত পুরণ এবং নির্বাচন কমিশনের বাছাইয়ের প্রতিটি স্তরে প্রথম অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও এবি পার্টিকে নিবন্ধন না দেয়ার বিষয়টিকে দূঃখজনক বলে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯০ খ(১)(ক)(ই) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬ উপ-বিধি (ঞ)(ই) অনুসারে গত ১৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখে এবি পার্টি নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে।

আবেদনকারী ৯৩ টি রাজনৈতিক দল হতে প্রথম পর্যায়ে ১২ টি এবং অধিকতর যাচাই বাছাইয়ের পর ৪ টি রাজনৈতিক দলকে ইসি চুড়ান্তভাবে মনোনীত করে। সেই ৪ টি দলের ১০ শতাংশ জেলা-উপজেলায় আবার পূণঃতদন্ত করা হয়। প্রতিটি স্তরের যাচাই বাছাইয়ে আইন ও নিয়মানুযায়ী এবি পার্টি যোগ্য বিবেচনায় শীর্ষস্থানে ছিল। কিন্তু সর্বশেষে এসে ইসি এসব যাচাই বাছাইকে তুচ্ছ ও ছেলেখেলা বানিয়ে দিয়ে প্রহসনের আশ্রয় নিয়ে প্রেসক্রাইবড দুটি ভূঁইফোড় দলকে নিবন্ধন দেয়।

সর্বমহলে এ ব্যপারে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় ওঠে। গত ৩১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে এবি পার্টির পক্ষ থেকে রিট আবেদনটি করা হয়। সকল শর্ত পুরণ করা সত্ত্বেও এবি পার্টিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সেদিনই রুল জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। একইসঙ্গে এবি পার্টিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেয়া কেন অবৈধ হবে না, রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। দীর্ঘ এক বছর নানা আইনী প্রক্রিয়া ও যুক্তিতর্ক শেষে গত ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার মামলার চুড়ান্ত শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে আজ মামলাটির চুড়ান্ত রায় দেয়া হয়। রায় ঘোষণার পর মামলার আইনজীবী ও এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ আদালত চত্বরে তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিং করেন।

ব্রিফিংয়ে মামলার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, মাননীয় আদালত আজ যে রায় দিয়েছেন তাতে এবি পার্টির ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন যে হটকারী এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী কাজ করেছেন তা আজ স্পষ্ট হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, পদে পদে বাঁধা দিয়ে নির্বাচন কমিশন আমাদের নিবন্ধন বঞ্চিত করেছিল। এবি পার্টির প্রতি দলান্ধ নির্বাচন কমিশন যে অবিচার করেছে জনগণ তার বিচার করবে। মামলার রায় প্রদানকালে আদালত চত্ত্বরে এবি পার্টির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা শুভেচ্ছা মিছিল করে দলীয় কার্যালয়ে আসেন।

সেনাবাহিনীর উপর হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িত যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বুধবার বিকেলে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী বাজারে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি লোকনাথ মন্দির  এলাকা থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভেদভেদী বাজারে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে ছাত্র জনতার ব্যাপক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে দেশের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী যখন একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করে, ঠিক সেসময় দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
ছাত্রজনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে দাবি করে বক্তারা সেনাবাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে হুমুকের আসামী করে মামলা দায়ের করে জড়িত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদল উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যেই বক্তব্য রাখেন, জেলা জাসাসের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ সাব্বির, ছাত্রদল নেতা অলি আহাদ, আবুল কালাম ছগির, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাইদুল হক বাদশা, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক মো. আবছার হোসেন, যুবদল নেতা মিজানুর রহমান, জেলা মহিলাদলের নেত্রী মনোয়ারা বেগম. ৬নং ওয়ার্ড যুবনেতা মো. জসিম খান, যুবনেতা শ্রাবন, নগর শ্রমিক দলের নেতা নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা অনুতোষ অন্তুসহ ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

রাজনীতিকে কলুষিত করবেন না : মোমিন মেহেদী

স্টাফ রিপোর্টার : নিবন্ধিত ৪৪ ও অনিবন্ধিত ৮০ টি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়ে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাঁধের উপর ভর করে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন যারা দেখছেন তারা রাজনীতিকে কলুষিত করবেন না। এতে করে রাজনীতির উপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ হবে।
নতুনধারার ১২২ তম প্রশিক্ষণ কাউন্সিলে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। ১৬ আগস্ট ২৭/৭ তোপখানা রোডস্থ বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির  চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী।
বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন সেন পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা প্রমুখ।
এসময় মোমিন মেহেদী বলেন, রাজনীতির নামে মানুষকে কষ্টে রাখা কোনো নীতিবান রাজনৈতিক প্লাটফর্মের কাজ নয়। আমরা চাই দেশের মানুষের কথা ভেবে ৫২ হাজার কোটি টাকা পাচারকারী সালমান এফ রহমানের যাবজ্জীবন শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি গণহত্যা ও অর্থপাচারকারীদের বিচারের জন্য ‘বিশেষ ট্রাইবুনাল’ গঠন করে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মত বড় বড় রাঘব- বোয়ালদের দ্রুত বিচারের কার্যক্রম শুরু করুন।

রাঙামাটিতে ২ মেয়র-কাউন্সিলরসহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান-সদস্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সাধারণ ভোটারদের অধিকারহরণ করে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য রাঙামাটিতে জেলা পরিষদ ও দুই পৌরসভায় চেয়ারম্যান-মেয়র পদে তথাকথিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সদস্যদের পদত্যাগে সময় বেঁধে দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারি ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার দুপুরে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি শহরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারি ছাত্র-জনতা পৃথকভাবে আল্টিমেটামের ঘোষণা দেয়। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, জনগণের অধিকারহরণকারি আওয়ামী লীগের কোনো জনপ্রতিনিধি কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। যারা এখনো দায়িত্ব পালন করছে তাদের আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। যদি এর মধ্যে পদত্যাগ না করে, তাহলে ছাত্র সমাজ গণভবনের মতো পৌরসভায়ও সেই অবস্থা তৈরি করবে।
বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা সদরে ঝাঁড়-মিছিল বের করে আন্দোলনকারিরা। মিছিলটি শাপলা চত্বর থেকে বের হয়ে উপজেলা সদর প্রদক্ষিন করে চৌমুহনী মুক্ত মঞ্চে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। উক্ত সমাবেশে বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়রকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবীতে আল্টিমেটাম দিয়েছে সাধারণ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভকারীরা। এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মো নাছির মো. আবু জাহেদ, সেলিম জাবেদ, মো. হারুনুর রশিদ, মো. সবুজ মিয়া, কফিল নুর কবির উদ্দিন প্রমূখ।
অপরদিকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার পরিষদের সকল সদস্য এবং রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ও তার মেম্বারদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাঙামাটি বৈষম্য বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি সমূহ :-
(১) ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সাবেক সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
(২) সংখ্যালঘুদের উপর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী মহাজোটের শরীক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
(৩) প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নূতন সরকার তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
(৪) প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।