Failed to load content.

Advertisement

শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল

সুফি আলম মন্ডল, নিজস্ব প্রতিবেদক, টাংগাইল : আজ রবিবার বেলা দশটায় কলেজে বর্তমানে অধ্যায়নরত সকল শিক্ষার্থী উক্ত কলেজের প্রিন্সিপাল বখতিয়ার হোসেনের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদত্যাগের দাবিতে একাডেমিক ভবনের সামনে একত্রিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা সুশৃংখল ভাবে প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে প্রবেশ করে এবং পদত্যাগের কারণসমূহ স্যারের সামনে তুলে ধরে। শিক্ষার্থীদের কারণসমূহ শুনে প্রিন্সিপাল স্যার পদত্যাগের জন্য রাজি হন এবং পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন। শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করা পদত্যাগের কারণসমূহ তুলে ধরা হলো :

১) বৈষম্য বিরোধী যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো প্রকার সাহায্য করা হয়নি এমনকি বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও নিম্নর কোনো প্রকান্তা না করে আমাদের জোরপূর্বক বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আমাদের হল ত্যাগে বাধ্য করেছে।

২) উনি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে ক্যাম্পাসের জন্য বাজেট হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রকার দৃশ্যমান উন্নয়ন করেনি। যেমন : হল, ৬ দফা, একাডেমিক ভবন, সাবস্টেশন, সোলার, জেনারেটর ইত্যাদি।

৩) প্রতি বছর ২ টি মিল ভিজিট আবশ্যিক থাকা সত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাচের মিল ভিজিট করাতে ব্যার্থ হয়েছেন এবং মিল ভিজিটের টাকা কুক্ষিগত করে রেখেছে।

৪) উনার দায়িত্ব নেওয়ার পূর্ববর্তী বছরে বুটেক্সের সকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমুহের মধ্যে আমাদের কলেজ ১ম হয়েছিলো। অথচ উনার দায়িত্বকালীন সময়ে সেশনজট, ফলাফল বিপর্যয় এবং নিয়মিত ইয়ারলসের মত ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে দাড়িয়েছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যথগাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ হয়েছে।

৫) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বাবদ যে টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ও সরকারি ভাবে নেয়া হয় তার যথাযথ ব্যাবহার করা হয়না এবং এর হিসেব জানতে চাইলে পরোক্ষভাবে ইয়ারলসের হুমকি দেয়া হয়।

৬) প্রিন্সিপালের অনিয়ম ও স্বৈরাচারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষার্থী মুখ খুললেই তার নেতৃত্বাধীন গোপন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেই শিক্ষার্থীকে একাডেমিক ও মানষিকভাবে হয়রানি করা হয় এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে রিটেক/ইয়ারলসের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষকদের কম নাম্বার প্রদানে বাধ্য করা হয়।

৭) ক্যাম্পাস ও ছাত্রীহলের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এমনকি পূর্বে ছাত্রী হলে চুরির ঘটনা ঘটা সত্বেও এর সুষ্ঠু সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

৮) ক্যাম্পাসের ল্যাবগুলো প্রায় অচল হওয়া সত্বেও এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

৯) যেকোনো প্রয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উনার সাথে সাক্ষাত করতে চাইলে অনুমতি প্রদান করে না। এ সময় প্রিন্সিপাল স্যারের বিদায় কালে কলেজের প্রত্যেক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্যারকে ফুল দিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *