Advertisement

টঙ্গীতে পরিবেশ নদী বায়ু দূষণ ডেঙ্গু মশার উৎপাতে জনসচেতনতার দাবিতে মানববন্ধন

কালিমুল্লাহ ইকবাল, টঙ্গী, গাজীপুর : গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী এলাকার বিসিক শিল্প নগরীর ফকির মার্কেট এলাকায় পরিবেশ নদী বায়ু দূষণ ডেঙ্গু মশার উৎপাতে জনসচেতনতার দাবিতে সাধারণ আলেম-ওলামা ঐক্য পরিষদ মানববন্ধন করেছে।

বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই সকাল সাড়ে ১১ টায় ফকির মার্কেট সংলগ্ন টঙ্গী বিসিকে গাজীপুর মহানগর জেলা শাখার সাধারণ আলেম-ওলামা ঐক্য পরিষদের ক্বারী মাওলানা আমির হোসেনের নেতৃত্বে ও সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নদী বাঁচাল আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবাল, শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মো. ইউসুফ, ছাত্র পরিষদ থেকে বক্তব্য রাখেন মো. ইয়াসিন সহ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিল্প বর্জ্যে প্রতিনিয়তই আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র নষ্ট হচ্ছে। শিল্প বর্জ্য পরিশোধন না করেই সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন কারখানার মালিকদের উদাসিনতায় পরিবেশ ক্ষতি হচ্ছে। তারা আইন না মেনে যত্রতত্র বর্জ্য অপসারণ করছেন।

এ সময় বক্তারা কারখানার মালিকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। বক্তারা আরো বলেন, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণ, আবাসন তৈরি ও যেখানে-সেখানে বর্জ্য ফেলার কারণে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে সাধারণ মানুষ দূর্ভোগে পড়ছে, বর্তমান এই বর্ষা মৌসুমের ডেঙ্গু মশার উৎপাত বেড়ে চলছে। তাই এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

একতরফা চুক্তির ফলে ভারতের প্রতি ক্ষোভ এবং কোটার কারণে নাগরিকদের মধ্যকার শ্রেণীবৈষম্য আরও প্রকট হবে : এবি পার্টি’

স্টাফ রিপোর্টার : কানেকটিভিটি’র কথা বলে ভারতের স্বার্থরক্ষাকারী একতরফা চুক্তিগুলোর কারণে জনমনে প্রতিনিয়ত ভারত বিরোধী ক্ষোভ বাড়বে এবং অন্যায্য কোটা পদ্ধতি পুণর্বহালের প্রতিক্রিয়ায় দেশের নাগরিকদের মধ্যকার শ্রেণীবৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে এবি পার্টি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় রাজধানীর বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত গণশুনানিতে এই অভিমত ব্যক্ত করেন সর্বস্তরের নাগরিক ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।

এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে ট্রানজিটের নামে ভারতকে একতরফা করিডোর দেয়া, বৈষম্যমূলক কোটা পুন:প্রবর্তন, বেনজীর-আজিজ-মতিউরের মত হাজারো আওয়ামী দুর্নীতিবাজদের লুটপাট এবং লাগাতার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ ডামি সরকারের দু:শাসনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদী গণশুনানির আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, পথচারী সাধারণ নাগরিক ও দলীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

গণশুনানি পরিচালনা করেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে ট্রেনে করে ভারতের নাগরিকগণ তাদের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চলাচল করতে চাইলে বাংলাদেশের জনগণও ভারতের মধ্যদিয়ে নেপাল, ভুটান ও চীনে সড়কপথে যাতায়াতের রাস্তা পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলো ক্ষমতাসীন সরকার ভারতের কাছ থেকে আমাদের স্বার্থ আদায়ে মনোযোগী নন। সীমান্তে বাংলাদেশী অসহায় নাগরিকদের নির্বিচার হত্যা বন্ধে ভারতের কাছ থেকে সরকার গত ১৫ বছরে কোন প্রতিশ্রুতি আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশের সাথে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়েও সরকার জোর গলায় ভারতের কাছ থেকে কোন দাবি আদায় করতে পারেনি। তিনি বলেন, এই সরকার যেহেতু জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় আসেনি তাই জনগণের অধিকার নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নাই। সরকারের এই নতজানু মনোভাব দেশের মানুষকে আওয়ামীলীগ ও ভারতের বিরুদ্ধে আরও বেশী বিক্ষুব্ধ করে তুলছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। কোটা পদ্ধতিকে সংবিধান পরিপন্থী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই কোটা সংস্কার করা না হলে নাগরিকদের মধ্যকার বিদ্যমান শ্রেণীবৈষম্য আরও প্রকট আকার ধারণ করবে যা কোন না কোন সময় গৃহযুদ্ধের পরিণতি ডেকে আনবে।

সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক বলেন, জনগণের প্রশ্ন হলো এই সরকারের সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক কেন শুধু ভারতের স্বার্থে? ভারতের সাথে যৌথ স্যাটেলাইট চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ কী? এতে আমাদের কী উপকার হবে? এই চুক্তি কি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি নয়? জনগণ এসব বিষয়ে জানতে চায়। তিনি অবিলম্বে একতরফা এসকল সমঝোতা স্মারক বাতিলের দাবি জানান।

গনশুনানীতে অংশ নিয়ে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ডামি প্রধানমন্ত্রী ১৯৬ জন প্রতিনিধি নিয়ে বেইজিং গিয়ে যে টাকার ভিক্ষা নিয়ে আসছেন তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা বেনজির, আজিজ, মতিউররা একেকজন লুট করেছে। তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম একটি গণ প্রজাতন্ত্রী দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু এখন তা একদল লুটেরাদের মাধ্যমে শেখ পরিবারের রাজতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা এই রাজতন্ত্র মেনে নেবোনা। তিনি কোটা বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের উপর ন্যাক্কারজনক পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা জানান।

দলের কেন্দ্রীয় নেতা লে. কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম বলেন, একটি ভোটার বিহীন সরকারের করা ভারতের সাথে একতরফা রেল করিডোর চুক্তি দেশের জনগণ মেনে নেবেনা।

গণশুনানীতে অংশ নিয়ে আইনজীবী প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা বলেন, ছাত্রদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে কোর্টের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ধ্বংস করতে চাওয়ার প্রয়াসের নিন্দা জানাই।

নারী উদ্যাক্তা আমেনা বেগম বলেন, দিন দিন আমাদের ব্যয় বাড়ছে, কিন্তু সে অনুযায়ী আয় বাড়ছেনা। আমরা ঋণের জালে আটকে যাচ্ছি।

ছাত্র প্রতিনিধি খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা কোটা বিরোধী আন্দোলন করছি সেটা থামাতে সরকার আজ সারাদেশে পুলিশ দিয়ে ছাত্রদের উপর হামলে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে দেশবাসী সোচ্চার হোন।

শ্রমিক প্রতিনিধি মজিবর রহমান মল্লিক বলেন, ছেলে-মেয়েদের বাজার করে খাওয়াতে পারছিনা। সবাই মিলে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে আর কোন উপায় নাই। সিকিউরিটি গার্ডদের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি মাসে এখন ৫/৬ হাজার টাকা ঋণ করে চলছি। নিত্যপন্য জিনিস পত্রের দাম অনেক বেশি। এ অবস্থা চলতে পারেনা।

গণশুনানিতে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক, মশিউর রহমান মিলু, আমেনা বেগম, রিপন মাহমুদ, যুবনেত্রী শাহিনুর আক্তার শীলা, মহানগর নেতা মুন্সি আব্দুল কাদের, সিএমএইচ আরিফ, রনি মোল্লাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

রাঙামাটিতে প্রবাসীর বউ ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি : সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্যা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়েদ হোসেন জাবেদকে তার দায়িত্বরত সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১জুলাই) দুপুরে কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রণি হোসেন বলেন,  বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।  মামলা হয়ে থাকলে উপজেলা ছাত্রলীগকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ আছে।
এর আগে গত ৩ জুলাই ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়েদ সৌদি প্রবাসি মিজানুর রহমানের স্ত্রী আইরিন সুলতানা রুপাকে  চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগর এলাকার ইউনাইটেড কমার্শিয়াল  ব্যাংকের সামনে থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ওই দিন প্রবাসী মিজান রাঙ্গুনিয়া থানায় নারী ও  শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপরাধীকে আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

আত্রাইয়ে জয় বাংলা ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন; সভাপতি চঞ্চল, সম্পাদক সজল

এমরান মাহমুদ প্রত্যয়, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার আওতাধীন জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ আত্রাই উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রবিউল ইসলাম চঞ্চলকে সভাপতি ও এসএএম সজলকে সম্পাদক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি আগামী ১বছরের জন্য অনুমোদন দিয়েছে নওগাঁ জেলা কমিটি।

জয় বাংলা ঐক্য পরিষদের নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি সাদেকুর রহমান বাধন ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান অন্তর এর সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক মহান মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নীতি আদর্শকে মর্যাদার সাথে প্রতিষ্ঠিত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জয় বাংলা ঐক্য পরিষদের আত্রাই উপজেলা শাখার অনুমোদন দেয়া হয়।

আগামী এক বছরের জন্য জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার আওতাধীন আত্রাই উপজেলা শাখার আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নওগাঁ জেলার দপ্তর সেল এ জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উক্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন টুকু, সহ-সভাপতি মো. আলামিন মল্লিক, সহ-সভাপতি মো. মাহিনুর ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদ উজ্জ্বল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবি হান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের হোসেন ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহাগ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তোফিকুল ইসলাম রিফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এবাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জেমস, প্রচার সম্পাদক মো. মহিদুল ইসলাম মহিদ, প্রচার সম্পাদক মো. সেকেন্দার আলী, ক্রীড়া সম্পাদক কেএম জাইফ আহসান, দপ্তর সম্পাদক মো. নিলয় খন্দকার জনি, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ হোসেন, সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, সদস্য মো. লিমন হোসেন, সদস্য সমিল শেখ, সদস্য আকাশ প্রমূখ।